বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে কারুশিল্পী সাইমন ইমরান হায়দার ২৪ জুলাই ২০২১ তারিখ সকালে গিনেস কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত আবেদনের মাধ্যমে ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের বলরুমে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের জন্য তার প্রচেষ্টা শুরু করেন। ‘আগ্রহ’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের স্বেচ্ছাসেবীদের সহযোগিতায় তিনি লাল ও সবুজ খাম দিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা তৈরি করেন। যা গোটা পৃথিবীর জন্যেও সর্ববৃহৎ।
এই নতুন রেকর্ডের শিরোনাম হলো ‘লার্জেস্ট এনভেলোপ মোজাইক ফ্ল্যাগ’। মানে খাম দিয়ে তৈরি সর্ববৃহৎ পতাকা। এই পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নে প্রায় ১৬ হাজার খাম দিয়ে ২৪০ বর্গমিটার আকারের একটি পতাকা তৈরি করতে হয়েছে।
গত কয়েক বছরে সাইমন ইমরান হায়দার নিজেই সমস্ত খাম তৈরি করেছিলেন। তার তৈরি খাম বাণিজ্যিকভাবেও পাওয়া যায়। ২০ মিটার দৈর্ঘ্য ১২ মিটার প্রস্থের বাংলাদেশের এই জাতীয় পতাকা তৈরি করতে পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় লেগেছে।
দেশপ্রেম থেকে উদ্বুদ্ধ দীক্ষিত অনুষ্ঠানের নাম ছিল ‘দুর্নিবার বাংলাদেশ’। সেখানে গণ্যমান্য ব্যক্তি ও গণমাধ্যম কর্মীদের পাশপাশি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ডা. মো. মুরাদ হাসান, এমপি, প্রতিমন্ত্রী, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রনালয়। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজী মোহাম্মদ ফখরুল, এমপি এবং বিশিষ্ট লেখক, ইতিহাসবিদ, শিক্ষাবিদ ড. মুনতাসির মামুন।
অতিথিরা তাদের বক্তব্যে ব্যক্ত করেন যে, ‘আজকের এই প্রচেষ্টা ও অর্জন কেবল বাংলাদেশের মানুষকে আনন্দিতই করবে না বরং সেই সঙ্গে বিশ্বব্যাপী নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে আরও বাড়িয়ে তুলবে’।
আনুষ্ঠানিক ঘোষণা, নাম লিপিবদ্ধকরণ এবং প্রশংসাপত্র প্রাপ্তির জন্য সমস্ত প্রমাণ, চিত্রায়ন এবং নিরীক্ষা-রিপোর্ট ইতোমধ্যে কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও জৈব সুরক্ষা নিশ্চিত করে সীমিত সীমাবদ্ধ অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি ছিল সাধারণ দর্শক ও অতিথি শূন্য। যেখানে কোভিড-১৯ এর জন্য জিডব্লিউআর নির্দেশিকা এবং ডব্লিউএইচও-এর সুরক্ষা প্রটোকল বজায় রেখে সম্পূর্ণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। অনুমোদিত বা ইভেন্টের ক্রিয়াকলাপের সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যক্তিরা ছাড়া সেখানে কোনো সাধারণ মানুষকে অনুমতি দেওয়া হয়নি।
অনুষ্ঠানের অংশীদাররা হলেন আগ্রহ, আমুর আর্কিটেকচার, ডান সামদানি, এফএন্ডসি, ড্রিম ওয়েভার, ইএফএ, গ্রিটিংস স্টুডিও, ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা কেএফসি, মল্লিক পেপার ও স্যাভলন।
কারুশিল্পী সাইমন ইমরান হায়দার ঘোষণা করেন যে তিনি এই কাজটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উৎসর্গ করেছেন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার যে কোনো ইতিবাচক কাজ ও সৃষ্টির অনুপ্রেরণা।
সাইমন আরও কয়েকটি প্রকল্প নিয়ে কাজ করছেন যা বৈশ্বিক অঙ্গনে বাংলাদেশের নাম জাগ্রত করবে বলে তিনি জানান।