ক্যানভাস ডেস্ক
ইশো বাংলাদেশে তার চার বছরের যাত্রায় টেকসই জীবনযাত্রার সমাধান তৈরি করেছে। শুরু থেকেই আধুনিক জীবনযাত্রার জন্য আসবাব ডিজাইন ও প্রস্তুতকারী হিসেবে সুপরিচিত ব্র্যান্ড ইশো তার গ্রাহকদের কাছে গতানুগতিক কারুশিল্পের বাইরে উদ্ভাবনীয় বৈশ্বিক মানের আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা দেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলো।
এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বাংলাদেশের শিল্প ও সংস্কৃতি খাতকে সম্প্রসারিত করার লক্ষ্যে নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ইশো। চালু হচ্ছে ইশো প্ল্যাট-ফর্মস (https://plat-forms.com)। ইশো-র তৈরি এই ভার্চুয়াল স্পেসের লক্ষ্য হলো শিল্পের আবিষ্কার, উপলব্ধি ও অধিগ্রহণকে নতুন করে উদ্ভাবন করা। আকর্ষণীয় ও চিত্তাকর্ষক শিল্পের খোঁজ করা শিল্পী, কিউরেটর ও শিল্পোৎসাহী ব্যক্তিদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করা।
শূন্যস্থানের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে নতুন ধরনের আধুনিকতার সাথে নিত্যদিনের জীবনকে নতুন করে আবিষ্কার করাই ইশো-র প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রায়ানা হোসেনের লক্ষ্য। তার বৈপ্লবিক দৃষ্টিভঙ্গির ফলে তার প্রকল্পগুলো পৌঁছে গেছে বৈশ্বিক উচ্চতায়। তার নতুন উদ্যোগ ইশো প্ল্যাট-ফর্মস বিভিন্ন ধারার শিল্পী, শিল্পোৎসাহী ব্যক্তি এবং কিউরেটরদের যুক্ত করবে এবং তাদের প্রয়োজন পূরণ করবে। ভৌগোলিক সীমাবদ্ধতা পেরিয়ে ইশো প্ল্যাট-ফর্মস ভার্চুয়াল গ্যালারি, প্রদর্শনী, ডিজিটাল মার্কেটপ্লেস এবং চিন্তাভাবনা শেয়ার করার জন্য ইন্টারঅ্যাক্টিভ হাবের মাধ্যমে সুযোগ সৃষ্টি করতে পারবে বলে প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বাস করে।
ইশো-র প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রায়ানা হোসেন বলেন, “প্ল্যাট-ফর্মস চালু করতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। এটি বাংলাদেশের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে উৎসাহিত করে। শিল্পের প্রতি আমাদের আবেগ এবং এর পরিবর্তনকারী শক্তিতে আমাদের বিশ্বাস থেকে ইশো প্ল্যাট-ফর্মস এর সৃষ্টি। আমাদের লক্ষ্য হলো শিল্পের জগতের গণতান্ত্রিকীকরণ, নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশের জন্য শিল্পীদের ক্ষমতায়ন এবং তাদের সৃজনশীলতা উপলব্ধি ও সমর্থন করে এমন একটি কমিউনিটি গড়ে তোলা।”
২০১৭ সালে ই-কমার্স ডিটুসি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে যাত্রা শুরু করে ইশো। তখন দেশের বাজারে নতুন প্রজন্মের ভোক্তাদের চাহিদা পূরণের মতো সমসাময়িক, আধুনিক ও মিনিমালিস্টিক ডিজাইনের আসবাবপত্রের ঘাটতি ছিল। ইশো-র লক্ষ্য ছিল সেই ঘাটতি পূরণে কাজ করা। ডিজাইন ও মানের ব্যাপারে ইশো-র উদ্ভাবনী ধারণা খুব দ্রুতই সবার নজর কাড়ে এবং ব্র্যান্ডটি জনপ্রিয় হতে শুরু করে। ২০১৯ সালে ঢাকার বারিধারায় ইশো-র প্রথম স্টোর চালু হয়। ২০২২ সালে ধানমণ্ডিতে ইশো-র প্রথম এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার চালু করা হয়। গ্রাহকদের বাসস্থান সাজানোর জন্য পরামর্শমূলক অভিজ্ঞতা দেওয়ার জন্য এটি ডিজাইন করা হয়েছিল যা ব্র্যান্ডের ডিজাইন সংক্রান্ত দর্শন এবং নান্দনিকতাকে তুলে ধরে।
আধুনিক জীবনধারার চাহিদা এবং বাজারে ঐতিহ্যবাহী ধরনের পণ্যের প্রাপ্যতার মধ্যকার দূরত্ব ঘুচিয়ে দেওয়াই ইশো-র লক্ষ্য। স্বল্প সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় লাইফস্টাইল ব্র্যান্ডগুলোর একটি হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইশো। এখন দেশজুড়ে ইশো-র বেশ কয়েকটি স্টোর এবং এক্সপেরিয়েন্স জোন আছে। সমাজের জীবনযাত্রার মানকে সম্ভাব্য সব উপায়ে উন্নত করে তোলার জন্য নতুন পরিকল্পনা ও প্রকল্পকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। জয়পুর রাগস-এর মতো আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের সাথে মিলিতভাবে ইশো একই সাথে ইতিবাচক অগ্রগতির দিকে পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং দুই অঞ্চলের মিলিত ঐতিহ্য উদযাপন করছে। এই সহযোগিতার মাধ্যমে সৃষ্ট ডিজাইনগুলোতে “লালবাগ দুর্গ”কে তুলে ধরা হয়েছে, যা ভারত ও বাংলাদেশের মিলিত মোগল ঐতিহ্যের একটি অংশ।
টেকসই কার্যক্রম এবং উদ্ভাবনে অনুপ্রাণিত ব্র্যান্ড ইশো তাদের বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে বর্জ্য কমানো এবং পরিবেশবান্ধব আচরণকে উত্সাহিত করে। নদীর বর্জ্য কমানো, উপকরণ পুনর্ব্যবহার বা টেকসই উৎস থেকে প্রাপ্ত উপকরণ ব্যবহার করা — সবক্ষেত্রেই একটি সার্কুলার ইকোনমি তৈরিতে ব্র্যান্ডটি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এখানে তারা উৎপন্ন বর্জ্য পুনর্ব্যবহার করছে।
বিগত চার বছরে ইশো-র বৃদ্ধি এবং উদ্ভাবনের যাত্রা গুণমান, উদ্ভাবন এবং টেকসই কার্যক্রমের প্রতি ব্র্যান্ডটির প্রতিশ্রুতির প্রমাণ। এর সাফল্যের সাথে বাংলাদেশের আসবাবপত্র খাতে একটি আমূল পরিবর্তন এসেছে এবং দেশটি এখন বিশ্বজুড়ে উন্নত মানের আসবাবপত্র উৎপাদনের কেন্দ্র হিসেবে স্বীকৃত।
ইশো প্ল্যট-ফর্মের সাথে শিল্পের বৈচিত্র্যময় এবং অনুপ্রেরণাদায়ক জগতে যোগ দিন। ব্র্যান্ডটির চমৎকার সংগ্রহের সাথে আপনার জীবনযাত্রার অভিজ্ঞতাকে বৈশ্বিক মানে উন্নত করুন। প্রযুক্তি এবং সৃজনশীলতা মিলিত হয়ে ইশো হয়ে উঠেছে আপনার বসতবাড়ি এবং অফিসের স্পেসগুলিকে নতুন করে চরিত্রায়ন করার জন্য একটি আদর্শ ক্ষেত্র।