বাঁশির সুরে বছর শেষের গল্প। করুণ! আবার নতুনের আহ্বানে দারুণ উচ্ছ্বাস। সেলিব্রেশনের আর বেশি বাকি নেই। কী করবেন বছরের শেষ দিনে, ভেবেছেন? অনেক ভাবেই হতে পারে উদযাপন। পরিবারের সঙ্গে, বন্ধু-বান্ধবের সান্নিধ্যে কিংবা একা! ঠিক যেভাবে মনের ইচ্ছা, সেভাবেই হোক হাজির বিদায়ের ক্ষণ।
দাওয়াতে একসঙ্গে
সমমনা কয়েকজন মিলে আয়োজন করতে পারেন হাউস পার্টি। যেহেতু দিনটি রোববার, তাই কর্মদিবসে হোস্ট সব চাপ একা না নিয়ে ভাগ করে নিতে পারেন সবার সঙ্গে। ওয়ান ডিশ পার্টি কালচার এখন আর আমাদের কাছে অচেনা নয়। চেনা। এই ফিলোসফিতে আয়োজন করলে একার উপরে সব কাজের চাপ পড়বে না। আবার অনেক ধরনের স্বাদও পাওয়া যাবে।
হতে পারে স্টে-ওভার। বন্ধু, কলিগ, কাজিনরা মিলে একসঙ্গে রাতে থেকে যাওয়ার পরিকল্পনা করতে পারেন। দীর্ঘ সময় আড্ডার ইচ্ছা থাকলে এই অপশন ক্লিক করা যেতে পারে। এখানেও খাবারের খবর নিয়ে ভাবা চাই। আর, এত সময় ধরে যদি আলাপ চলে, সেখানে তো স্ন্যাকিং মাস্ট! চাহিদা অনুযায়ী লাইট ফুড আর বেভারেজ রাখতে পারেন। সঙ্গে ডিনার আয়োজন অবশ্যই।
তুমি-আমি-আমরা
পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে যেতে পারেন পছন্দের রেস্টুরেন্টে। সবাই মিলে যদি একই কুজিন খেতে চান, তাহলে তো দারুণ। অথবা মাল্টি কুজিনেই ভরসা। স্বচ্ছন্দ থাকতে চাইলে আগে থেকেই বুকিং দিয়ে রাখতে পারেন। তবে থার্টি ফার্স্ট নাইটে যেহেতু নানা রকম নিষেধাজ্ঞা থাকে, তাই খুব বেশি দূরে না যাওয়াই ভালো। কাছে কোথাও, একই শহরে নিরিবিলি কোনোখানে! শুধু দুজনই যদি যাওয়ার পরিকল্পনা থাকে, তাহলে ক্যান্ডেল লাইট ডিনার কিন্তু বেশ রোমান্টিক আইডিয়া।
এক কাপ কফিতে তোমাকে চাই
মনের মধ্যে খুব আলাদা যার জন্যে, তার সঙ্গে এক কাপ কফি খেয়ে বাড়ি ফেরার পরিকল্পনা করা যেতেই পারে। কোজি কফি শপে, অ্যারোমা আর হালকা সুরে শুধু দুজনে। যদি কোনো কফি কাপে মেশানো স্মৃতি থাকে দুজনের মনে, তাহলে সেই পুরনো ঠিকানাই সই। নয়তো আপনার আর তার অফিস বা বাসার পথ মেশে যেখানে, তার আশেপাশে কাটুক কিছু সময় নির্জনে।
নিজের সঙ্গে, ক্ষতি কি তাতে!
একদম নিজে নিজেও কি হতে পারে না সেলিব্রেশন? অবশ্যই পারে। এমনটা চাইলে সঙ্গে রাখতে পারেন প্রিয় বই, প্রিয় মুভি অথবা গান! ইচ্ছেমতো খাবার ফরমায়েশ করে নিতে পারেন ফুড সার্ভিসের অ্যাপ থেকে। আর লাইটিং, অর্থাৎ রুমের লাইট ডেকোরেশনে আনতে পারেন নতুনত্ব। বদলে নিতে পারেন বিছানার চাদর। হিউমিডিফায়ারে প্রিয় সুবাস!
- সারাহ্/ ক্যানভাস অনলাইন