বর্ষাকালের অনেক ভালো দিক আছে। ঝম ঝম বৃষ্টি, খিচুড়ি-ডিম ভাজা, অফিস কিংবা ব্যালকুনিতে বসে চা- কফি-পাকোড়া কত কি মনে আসে। তবে কিছু সমস্যা থেকেই যায়। মাস জুড়ে শোবার ঘরে দড়ি টাঙ্গিয়ে সারি সারি জামাকাপড়। কাপড় ধোয়ার পর কখনও কখনও শুকাতে দেরি হয়। আর তখন সারা বাড়িতে কেমন যেন একটা বোটকা গন্ধ নামে! রোদ না পেয়ে রীতিমতো ছ্যাতলা পড়ে ওয়াডরোবের সব সাধের পোশাকে। কীভাবে বাঁচবেন এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি থেকে?
জেনে নিন সহজ কিছু উপায়-
খেয়াল রাখবেন ঘরে যেন হাওয়া ঢোকে।
বর্ষায় কাপড় চোপড় ঘরে ফ্যানের বাতাসে শুকোলে সেই ঘরের জানলা দরজা যতটা সম্ভব খোলা রাখার চেষ্টা করুন। যাতে কাপড় শুকোতে গিয়ে ঘরে দুর্গন্ধ না ছড়িয়ে পড়ে। ঘরে যাতে বাতাস প্রবেশ করে সেদিকে খেয়াল রাখুন।
কাপড় ধোয়ার পর ডেটল জাতীয় জীবাণু নাশক তরলে কাপড় ধুয়ে তারপর শুকোতে দিন। বর্ষাকালে শুকোনো কাপড় আলমারিতে রাখলে তা অন্য পোশাককে নষ্ট করে দেয়। তাই মাঝেমধ্যে কাপড় বাইরে রাখুন অথবা আলমারির দরজা কিছুক্ষণ খুলে রাখুন।
বর্ষার কাচা কাপড় আলমারিতে এক টানা অনেক দিন কাপড় রেখে দিলে তাতেও ছত্রাক পড়ে যায়। তাই মাঝে মাঝে আলমারির কাপড় নাড়া-চাড়া করবেন। পারলে কিছুক্ষণ খুলে রাখবেন আলমারির দরজা। আর আলমারিতে ন্যাপথালিন রাখতে ভুলবেন না।
শোয়ার ঘরে কোনোভাবেই জামা কাপড় মেলবেন না, শারীরিক সমস্যা হতে পারে। বর্ষার সময়ে কাপড়ে স্যাঁতস্যাঁতে দুর্গন্ধ হলে সেই কাপড় পরবেন না। সুগন্ধি দিয়ে দুর্গন্ধ দূর করতে পারলেও জামা কাপড়ে জীবাণু থেকে যায়। যার ফলে স্কিন ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। জীবাণু ও ছত্রাকের হাত থেকে পোশাককে বাঁচানোর জন্য বর্ষাকালে ঘামে ভেজা কাপড় কাচার আগে কিছুক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে নিন।