দেশের পেইন্ট সল্যুশন কোম্পানি বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড (বিপিবিএল) সম্প্রতি বাজারে নিয়ে এসেছে ‘ব্রিদ ইজি ভাইরাকেয়ার’। এর বিশেষ কোটিং দেয়ালে আসা ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসের মাধ্যমে এদের বিস্তার রোধ করে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। আরও জানিয়েছে, বৈশ্বিক মহামারির এই সংকটকালীন স্বাস্থ্যকর ও ভাইরাসমুক্ত থাকা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ, আর এই বিষয়টি বিবেচনা করে পেইন্টার ও বাড়ির মালিকদের সুবিধার্থে ও সুরক্ষায় বিশেষভাবে তৈরি ব্রিদ ইজি ভাইরাকেয়ার নিয়ে এসেছে বার্জার।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়েছে, ব্রিদ ইজি ভাইরাকেয়ার অত্যাধুনিক ওয়াটারবেজড ইন্টেরিয়র ইমালশন পেইন্ট। এর সিলভার আয়ন টেকনোলজি রঙ করার পর দেয়ালে আসা ৯৯ শতাংশের বেশি সংক্রামক ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া ধবংস করতে সক্ষম। ব্রিদ ইজি ভাইরাকেয়ার দেয়ালের সংস্পর্শে আসা সার্স-কোভ-২ ভাইরাস (কোভিড-১৯ এর কারণ) ৩০ মিনিটের ভেতর ধ্বংস করতে কার্যকর ভূমিকা রাখে; পাশাপাশি, এটি দুই ঘণ্টার মধ্যে ৯৯ শতাংশ অন্যান্য সংক্রামক ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে বলে বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে। এটি পরিবেশবান্ধব পণ্য হিসেবে সিঙ্গাপুর এনভায়রনমেন্ট কাউন্সিল (এসইসি) থেকে গ্রিন লেবেল সার্টিফিকেট অর্জন করেছে। ‘ব্রিদ ইজি ভাইরাকেয়ার’ একটি স্বল্প ভিওসিযুক্ত (ভোলাটাইল অর্গানিক কমপাউন্ড) গন্ধমুক্ত রঙ, যা মনে এনে দেয় শান্তি ও স্বাচ্ছন্দ্য। ‘ব্রিদ ইজি ভাইরাকেয়ার’ দিয়ে বাসা বা অফিস কক্ষ রঙ করার পরে খুব দ্রুতই সে কক্ষ ব্যবহার করা যায়।
এ বিষয়ে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের সেলস অ্যান্ড মার্কেটিংয়ের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মহসিন হাবীব চৌধুরী বলেন, ‘কোভিড-১৯ আমাদের অসচেতনতা ও অস্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইলের কঠিন পরিণতি সামনে তুলে ধরেছে। এখন যেহেতু আমরা জীবাণুমুক্ত থাকার বিধি-বিধানসমূহ মেনে চলার প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পেরেছি, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমাদের এই উপলব্ধির বাস্তবায়ন প্রয়োজন। “ব্রিদ ইজি ভাইরাকেয়ার” -এর লক্ষ্য হলো বাড়িকে সকল প্রকার সংক্রামক ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া মুক্ত রাখা এবং বসবাসকারী সকলের জন্য একটি নিরাপদ ইন্টেরিয়র সুনিশ্চিত করা। আমার বিশ্বাস সচেতন ক্রেতারা সুস্বাস্থ্য বিবেচনায় আমাদের নতুন এ পণ্যে আস্থা রাখবেন এবং মারাত্মক ভাইরাস থেকে বাড়ি ও অফিসের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এটি ব্যবহার করবেন।’
ব্রিদ ইজি ভাইরাকেয়ার ড্রাম, গ্যালন এবং লিটার প্যাকে পাওয়া যাচ্ছে। কালার ব্যাংক ভিত্তিক এ রঙ নানা বৈচিত্র্যে পাওয়া যাচ্ছে।