আমেরিকার কনগ্লোমারেট হয়ে ওঠা ফ্যাশন ব্র্যান্ড মাইকেল করস কিনে নিচ্ছে বিশ্ববিখ্যাত ইতালিয়ান ব্র্যান্ড ভারসাচি। এ জন্য মাইকেল করসকে ব্যয় করতে হচ্ছে প্রায় ২১২ কোটি ডলার। এই পরিমাণ ভারসাচির বর্তমান টার্নওভারের আড়াই গুণ।
ভারসাচি কেনার পাশাপাশি নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে মাইকেল করস। নাম বদলে হচ্ছে ক্যাপ্রি হোল্ডিংস। নতুন পরিকল্পনা নিয়ে ভারসাচিকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে চায় তারা। ফলে বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ২০০টি স্টোরের পরিবর্তে এই সংখ্যা ৩০০তে উন্নীত করবে তারা। পাশাপাশি ই-কমার্স কাঠামো শক্তিশালী করার পাশাপাশি নারী ও পুরুষদের অ্যাকসেসরি ও ফুটওয়্যার লাইনকে আরও কার্যকর করবে। বর্তমানে এই খাত থেকে আসছে ৩৫ শতাংশ রাজস্ব। এই আয়কে বাড়িয়ে ৬০ শতাংশ করাটাই লক্ষ্য নতুন প্রতিষ্ঠানের।
প্রতিষ্ঠানের নাম বদল হলেও চেয়ারম্যান আর প্রধান নির্বাহী বদল হচ্ছে না। থাকছেন জন ডি আইডল। তিনি আবার মাইকেল করস ব্র্যান্ডেরও প্রধান নির্বাহী থাকবেন। আর ভারসাচির প্রধান নির্বাহী হিসেবে স্বপদে বহাল থাকবেন ২০১৬ সালে যোগ দেওয়া জোনাথন এশারয়েড। তিনি এর আগে ছিলেন আলেকজান্ডার ম্যাককুইনে। একইভাবে ভারসাচির ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর থাকবেন দোনাতেল্লা ভারসাচি।
এর আগে ২০১৭ সালের জুলাইতে অবশ্য এই প্রতিষ্ঠান কিনে নিয়েছে জিমি চু ব্র্যান্ডকে। ১২০ কোটি ডলারে। গেল মার্চ মাসে শেষ হওয়া অর্থবছরে ক্যাপ্রির টার্নওভার ছিল ৪৭০ কোটি ডলার। জিমি চু থেকেই তাদের আয় হয় ২২২ মিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে ভারসাচি সেই ১৯৯০-এর দশক থেকেই লোকসান দিয়ে আসছে। গত বছরই তারা ৪২টি স্টোর বন্ধ করে দেয়। তবে কেবল ভারসাচিই নয়, সাম্প্রতিক সময়ে অনেক ব্র্যান্ডেরই হাতবদল হচ্ছে। সেই ধারায় বলা যেতে পারে, ভারসাচি আপাতত সর্বশেষ সংযোজন।
ভারসাচির প্রতিষ্ঠা ১৯৭৮ সালে। ৯ বছর পর ১৯৯৭ সালে খুন হন এর প্রতিষ্ঠাতা জিয়ান্নি ভারসাচি। তার করা কিছু আইকনিক ডিজাইনকে সম্প্রতি পুনরায় হাজির করেছে এই হাউজ।