আসছে ডিসেম্বর। বিজয়ের মাস। এ মাসের ১৬ তারিখ মহান বিজয় দিবস। বাংলার আকাশে ভেসে ওঠে রক্তে লেখা এক গৌরবগাথা, যা আমাদের জাতিসত্তার মূলে স্থায়ী হয়ে আছে স্বাধীনতার অমর চিহ্ন হয়ে।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের বীর সন্তানদের রক্তে অর্জিত এই পতাকার লাল ও সবুজ রং আজও আমাদের হৃদয়ের গভীরে অনন্ত প্রেরণার প্রতীক। এই চেতনায় সব সময়ই বলিয়ান, দেশি ব্র্যান্ড রঙ বাংলাদেশ আয়োজন করেছে ‘বিজয় উৎসব’। এই আয়োজনের মূল থিম বাংলাদেশের মানচিত্র, জাতীয় সংগীত এবং জাতীয় পতাকা। এই তিন প্রতীকের মধ্যে নিহিত আছে আমাদের অস্তিত্ব,সংগ্রাম, স্বপ্ন।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ব্র্যান্ডটি জানায়, রঙ বাংলাদেশের বিশ্বাস, ‘বিজয়ের রং নিভে যায় না কখনো। প্রজন্ম বদলায়, কালের স্রোত বদলায়; কিন্তু লাল-সবুজের গর্ব চিরন্তন। এই গর্বই আমাদের পরিচয়, আমাদের শক্তি।’

বাংলাদেশের মানচিত্র আমাদের মাটির শিকড় ও ঐক্যের প্রতীক; জাতীয় সংগীত আমাদের আবেগ, ভালোবাসা ও ভাষার সুর; আর জাতীয় পতাকা– এক অনন্ত আত্মত্যাগের প্রতীক, যেখানে সবুজে জীবনের আশাবাদ আর লালে জ্বলে ওঠে বীরত্বের সূর্য।
এই তিন প্রতীকের গল্পকেই রঙ বাংলাদেশ তুলে ধরেছে ডিজাইন, রং ও ফ্যাব্রিকের মেলবন্ধনে, যাতে প্রতিফলিত হয়েছে স্বাধীনতার আবেগ ও আধুনিকতার সংযোগ। লাল ও সবুজ রঙের সাহসী সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রতিটি ডিজাইন যেন কথা বলে স্বাধীনতার, গর্বের, আত্মবিশ্বাসের। ব্যবহৃত ফ্যাব্রিকে এসেছে আরাম ও নান্দনিকতার সুষম মেলবন্ধন– কটন, হাইব্রিড কটন, জ্যাকার্ড কটন এবং হাফসিল্ক। এই কাপড়গুলো শুধু পোশাক নয়; যেন একেকটি ইতিহাসবাহী চিহ্ন– যেখানে ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মিলন ঘটেছে অনবদ্যভাবে।

কাজে ব্যবহৃত হয়েছে স্ক্রিন প্রিন্ট ও ডিজিটাল প্রিন্ট, যেখানে একদিকে বাংলাদেশের মানচিত্র ফুটে উঠেছে শিল্পীর নিপুণ হাতে, অন্যদিকে জাতীয় সংগীতের পঙ্ক্তিগুলো যেন বাতাসে বাজে রঙিন ছন্দে। আর পতাকার লাল সূর্যের বৃত্ত ছড়িয়ে দিয়েছে বিজয়ের আগুনে দীপ্ত শক্তির প্রতীকী ইঙ্গিত। এই আয়োজনের প্রতিটি পোশাক যেন একেকটি ক্যানভাস, যেখানে ইতিহাস কথা বলে রঙে, দেশপ্রেম মিশে যায় নকশায়, আর বিজয়ের গান গেয়ে ওঠে প্রতিটি ফ্যাব্রিকের বুননে।
এবারের বিজয় উৎসবের আয়োজনে থাকছে শিশু, তরুণ ও প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য নানারকম পোশাক। পাঞ্জাবি, শাড়ি, কামিজ, স্ট্রিচ ড্রেস (থ্রিপিস), শাল, মগ, উত্তরিও এবং বিজয় স্পেশাল সুভিনির সামগ্রী। সবগুলোতেই ডিজাইন, রং ও উপাদানের মাধ্যমে ফুটে উঠেছে বাংলাদেশের ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও নবযাত্রার গল্প।

এ ছাড়াও এবারের আয়োজনে রয়েছে পরিবারের সকল সদস্যের জন্য ফ্যামিলি ম্যাচিং পোশাক– বাবা-ছেলে, মা-মেয়ে, কাপল ও ডুয়েট ডিজাইন, যাতে একসঙ্গে পরিধানের মাধ্যমে পুরো পরিবার একই রঙে, একই অনুভবে বিজয়ের আনন্দ উদযাপন করতে পারে।
পাশাপাশি করপোরেট অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিংবা সাংস্কৃতিক আয়োজনে অংশগ্রহণকারীরাও রঙ বাংলাদেশের বিশেষ কালেকশন থেকে নিজেদের জন্য ম্যাচিং পোশাক অর্ডার করতে পারবেন; যাতে প্রতিটি কর্মক্ষেত্র, মঞ্চ কিংবা উৎসবস্থল একসঙ্গে ধারণ করে বিজয়ের ঐক্য ও গর্বের রং।

বিজয় উৎসবের এই আয়োজনের পণ্যগুলো পাওয়া যাচ্ছে রঙ বাংলাদেশের ঢাকা ও ঢাকার বাইরের সকল আউটলেটেই। এ ছাড়াও অনলাইনে ঘরে বসে অর্ডার করা যাবে www.rang-bd.com ওয়েবসাইটে অথবা যেকোনো প্রয়োজনে যোগাযোগ করা যাবে ভ্যারিফাইড ফেসবুকে পেজ facebook.com/rangbangladesh অথবা ০১৭৭৭৭৪৪৩৪৪ / ০১৭৯৯৯৯৮৮৭৭ নম্বরে।
- ক্যানভাস অনলাইন
ছবি: রঙ বাংলাদেশ-এর সৌজন্যে

