ত্বকের সবচেয়ে বড় সমস্যা ব্রণ। বারবার হাত চলে যায় সেখানে। ফলে সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়। একটু পরপর আয়নার সামনে গিয়ে দেখতে ইচ্ছা করে ব্রণ দূর হলো কি না। কোনো পার্টিতেও যেতে মন টানে না ‘ব্রণ মুখ’ নিয়ে।
ব্রণ চলে গেলেও রেখে যায় দাগ। এসবের প্রতিকারে রয়েছে নানান টোটকা। তবে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই ভালো।
আমাদের খাদ্যাভ্যাসে কিছু কিছু খাবার আছে যেগুলো মুখে ব্রণ হওয়ার জন্য দায়ী। যেমন পাউরুটি, আলুর চিপস, চকলেট, দুধ ও সোডা। এসব খাদ্যতালিকায় এবার যুক্ত হয়েছে কফি।
পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ব্রণ হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে হরমোনের ভারসাম্য বজায় না থাকা। কফিতে এমন কিছু রাসায়নিক থাকে, যা মানুষের স্ট্রেস হরমোনকে উদ্দীপিত করে। ফলে মানুষের ক্যালরি গ্রহণ বেড়ে যায়, যা ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তোলে।
তা ছাড়া বেশি কফি পান করলে শরীরে অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। যে কারণে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয় এবং শরীরের বেশ কিছু জরুরি ভিটামিন ও খনিজ বেরিয়ে যায়। এ কারণেও ব্রণ হতে পারে।
অনেকে কফির সঙ্গে দুধ মিশিয়ে পান করেন, যেটা ত্বকের জন্য আরও মারাত্মক। কফিতে চিনি ও দুধ মেশালে তা টক্সিন হিসেবে কাজ করে। এর ফলে কফির ক্যাফেইন আরও বেশি শক্তিশালী হয়ে যায়। যা ত্বকের ক্ষতি করে। এতে ব্রণের প্রবণতা বাড়ে।
সুতরাং ব্রণ কমানোর জন্য কফি খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে আনা উচিত। পাশাপাশি পানি পানের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে।