শিশুর প্রথম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হচ্ছে পরিবার। এখান থেকে শিশুর মনন বিকশিত হয়। শিশুর ব্যক্তিত্ব গঠনে প্রথম ১০ বছর খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
৭ থেকে ৮ মাস বয়সে বিভিন্ন অর্থহীন শব্দের মাধ্যমে শিশুর মুখের বোল ফোটে। এরপর ধীরে ধীরে ভাষাজ্ঞান অর্জনের ধাপগুলো বিকশিত হয়।
শিশুর বয়সের প্রথম তিন বছর ভাষা শেখার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। এ সময় শিশু তার পরিপার্শ্ব থেকে নানা ধরনের শব্দ আয়ত্ত করে নেয়। ঠিক এ সময়েই শিশুর মুখে সঠিক ও শুদ্ধ উচ্চারণের শব্দাবলি তুলে দিতে হয়। কিন্তু শিশুকে কথা শেখাবেন কীভাবে?
শিশুর জন্য প্রতিদিন কিছুটা সময় বরাদ্দ করুন। ওর কথার প্রতি আগ্রহ দেখান। কিছু বলতে চাইলে বলার জন্য উৎসাহ দিন। ছবির বই কিনে দিন। সেই ছবি দেখিয়ে দেখিয়ে বিভিন্ন শব্দ শেখান। শিশুরা ছন্দ ও সংগীত শুনতে পছন্দ করে। কথা শেখানোর সময় ওদের বেশি বেশি ছড়াগান, ছড়া, কবিতা ও গান শুনতে দিন। এ ছাড়া শব্দ সৃষ্টি হয় এমন ধরনের খেলনা, যেমন- পুতুল, গাড়ি, ঝুনঝুনি ইত্যাদি দিয়ে খেলতে দিন। মাঝেমধ্যে শিশুকে বাইরে নিয়ে গিয়ে বাইরের জিনিসপত্র যেমন রাস্তার গাড়ি, আকাশে প্লেন, গাছপালা ইত্যাদির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিন। এ কাজ ঘরেও করতে পারেন। থালাবাসন, গ্লাস, চামচ ইত্যাদির নাম শেখান। খাওয়ার সময় যা খাওয়াচ্ছেন সেটার নাম ও স্বাদ সম্পর্কে বলুন।
ইশারা না করে মুখ দিয়ে কিছু চাইতে শেখান। শিশু যদি আঙুল দিয়ে বল দেখিয়ে দেয়, তাহলে বলের নাম বলুন। শব্দ করে বলুন- ‘বল’।
টেলিভিশন দেখানোর মাধ্যমেও শিশুকে কথা শেখানো যায়। তবে দুই বছরের কম বয়সী শিশুকে টেলিভিশনের সামনে না বসানই ভালো।