শ্রীদেবীর মৃত্যু পরিকল্পনামাফিকই করা হয়েছিল! ফের এমনই দাবি তুললেন অবসরপ্রাপ্ত এক পুলিশ কর্মকর্তা বেদ ভূষণ। যিনি দিল্লিতে এক প্রাইভেট গোয়েন্দা সংস্থা চালাতেন। ফ্রি প্রেস জার্নালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অবসরপ্রাপ্ত এই পুলিশ কর্তা জানান, এটা খুব সোজা যে একজনকে বাথটাবের মধ্যে ডুবিয়ে যতক্ষণ না তাঁর শ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। এবং এ ক্ষেত্রে অপরাধী অনেক সময় সেভাবে কোনো প্রমাণও রাখে না। এটাকে দুর্ঘটনা হিসেবেই তুলে ধরা হয়। অথচ পরিকল্পনামাফিকই খুন করা হয়। শ্রীদেবীর ক্ষেত্রেও এমনটাই ঘটেছে।
সাবেক এই পুলিশ কর্তার কথায়, শ্রীদেবীর মৃত্যুর পর তিনিও জুমেরিয়াহ এমিরেটস টাওয়ারে গিয়েছিলেন তদন্তের স্বার্থে। অথচ তাঁকে শ্রীদেবীর সেই ঘরে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি। তবে শ্রীদেবী যে ঘরে ছিলেন, তার পাশের ঘরটায় তিনি থাকার ব্যবস্থা করেন এবং শ্রীদেবীর মৃত্যুপরবর্তী সব ঘটনা পর্যবেক্ষণের চেষ্টা করেন। তখনই অসামঞ্জস্যপূর্ণ বেশ কিছু ঘটনা তাঁর চোখে পড়ে। তাঁর মনে হয় শ্রীদেবীর মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। কিছু একটা লুকোনো হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে শ্রীদেবীর মৃত্যু স্বাভাবিক নয়, তাঁকে খুন করা হয়েছে এই দাবি তুলেছিলেন পরিচালক সুনীল সিং। সুনীল সিংয়ের প্রশ্ন ছিল, শ্রীদেবীর উচ্চতা ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি। আর বাথটাবটি ছিল ৫ ফুটের। তাহলে কীভাবে তাঁর বাথটাবে ডুবে মৃত্যু হতে পারে? পাশাপাশি, সুনীল সিংয়ের আইনজীবী বিকাশ সিংয়ের দাবি, শ্রীদেবীর নামে ওম্যামে ২৪০ কোটি টাকার একটা ইনস্যুরেন্স ছিল, যে টাকাটা কিনা তিনি একমাত্র দুবাইতে মারা গেলেই তাঁর পরিবার পেতে পারত। আর শ্রীদেবী দুবাইতেই মারা গেছেন। তাই অভিনেত্রীর মৃত্যুতে রহস্য রয়েই যাচ্ছে।