বাজারে হরেক রকম ফর্মুলা আর এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিনের স্তূপ থেকে নিজের পছন্দসই এবং প্রয়োজনীয় সামগ্রী বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে সামান্য কৌশলী হওয়া চাই। অনেকেরই হয়তো জানা, সানস্ক্রিন মূলত দুই ধরনের হয়ে থাকে : ফিজিক্যাল ও কেমিক্যাল।
ফিজিক্যাল সানস্ক্রিনে উপাদান হিসেবে থাকে অ্যাকটিভ মিনারেল। যেমন টাইটেনিয়াম ডাই-অক্সাইড ও জিঙ্ক অক্সাইড। এগুলো সূর্যের ক্ষতিকর ইউভিএ রশ্মিকে ত্বক পর্যন্ত পৌঁছাতে দেয় না। তার আগেই একে প্রতিফলিত করে, বিক্ষিপ্ত করে দেয়।
অন্যদিকে কেমিক্যাল সানস্ক্রিনে থাকে অক্সিবেনজোন, অক্টিনোক্সেট, অক্টোস্যালেট, অ্যাবোনেনজোনের মতো উপাদান। এগুলো কেমিক্যাল রিঅ্যাকশনের মাধ্যমে ত্বকের সংস্পর্শে আসা ইউভিএ রশ্মিকে তাপে পরিণত করে এবং তা ত্বকে বসতে দেয় না; বরং চারপাশে ছড়িয়ে দেয়। তবে এ ধরনের সানস্ক্রিনের সমস্যা হচ্ছে, ত্বকে এর থেকে যে তাপ তৈরি হয়, তা পিগমেন্টেশন আর রোজাশিয়ার মতো সমস্যা তৈরি করে। সুস্থ সুন্দর ত্বকের জন্য যার কোনোটাই কাম্য নয়। তাই সানস্ক্রিন কেনার সময় বোতল বা টিউবটা উল্টে নিয়ে এর উপাদান তালিকায় চোখ বুলিয়ে নিন। পরামর্শ থাকবে টাইটেনিয়াম ডাই-অক্সাইড অথবা জিঙ্ক অক্সাইডযুক্ত সানস্ক্রিন কেনার।