স্মার্টফোন আমাদের স্মার্ট করেছে। তবে সে ফোন ব্যবহারে আসক্ত হয়ে পড়া মোটেও স্মার্টনেস নয়। তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে অনেক সময় ব্যয় হয় স্মার্টফোনের পেছনে। এমনকি খাওয়ার সময়, প্রার্থনার সময়, বাথরুমে যাবার সময়েও স্মার্টফোন ব্যবহার করি।
অতিরিক্ত স্মার্টফোনের ব্যবহার সমাজ ও পরিবার থেকে বিচ্ছিন করে দেয়। মনে হয় না, এর বাইরেও অন্য কোনো জগৎ আছে। স্মার্টফোনে আসক্ত হওয়া উচিত নয়। পাঁচটি উপায় স্মার্টফোনের আসক্তি কমাতে পারে।
১. অপ্রয়োজনীয় নোটিফিকেশন বন্ধ করা: নোটিফিকেশন দেখলেই তার ডিটেইল জানতে ইচ্ছা করাটাই স্বাভাবিক। সে ক্ষেত্রে স্মার্টফোনের অপ্রয়োজনীয় অ্যাপগুলোর নোটিফিকেশন বন্ধ করুন। শুধু সেসব নোটিফিকেশন চালু রাখুন, যা আপনার প্রাত্যহিক জীবনে গুরুত্বপূর্ণ।
২. নিয়মিত ডিটক্স করা: ডিটক্স হলো একটি নির্দিষ্ট সময় স্মার্টফোন থেকে দূরে থাকা। খাবার খাওয়ার সময়, বাথরুমে যাবার সময় খেয়াল রাখুন তা যেন আপনার কাছ থেকে দূরে থাকে। পারলে সপ্তাহে একটি নির্দিষ্ট দিন আপনার স্মার্টফোনটি সম্পূর্ণ বন্ধ রাখুন।
৩. সময় নির্ধারণ করা: আমরা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো একেবারে না ব্যবহার করে থাকতে পারব না। সেগুলোর প্রয়োজন রয়েছে। তবে মাথায় রাখতে হবে, সে কাজের জন্য অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করতে হবে। এমনটা নয় যে অন্য কাজগুলো করব, পাশাপাশি এটাও। সবচেয়ে ভালো হয় স্মার্টফোনে যেসব কাজ করেন তা যদি ল্যাপটপ বা ডেস্কটপে করেন।
৪. অটো প্লে বন্ধ রাখুন: ইউটিউব, নেটফ্লিক্স অ্যাপসহ কিছু ব্রাউজে অটো ভিডিও প্লেয়ার প্রায়শই চালু করা থাকে। এই অপশন আপনাকে একটি ভিডিও দেখার পর সেই ভিডিওর সমজাতীয় ভিডিও স্বয়ংক্রিয়ভাবে দেখাবে। এসব কাজে ব্যাঘাত ঘটায়, কাজের থেকে মনকে সরিয়ে নেয়।
৫. অ্যালার্ম ঘড়ি ব্যবহার করুন: অ্যালার্ম দেওয়ার কাজে স্মার্টফোন ব্যবহার করা মোটেও ঠিক নয়। এটি থেকে নির্গত নীল আলো আমাদের নিরবচ্ছিন্ন ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায়। মেলাটনিন আমাদের ঘুমাতে সাহায্য করে। স্মার্টফোনের নীল রেডিয়েশন আমাদের শরীরে মেলাটনিন অবমুক্তিতে বাধা দেয়। ফলে ঘুম পরিপূর্ণ হয় না। ঘুম ভেঙে গেলে আবার স্মার্টফোন চালাতে ইচ্ছে করে। সুতরাং রাতে ঘুমানোর সময়ে স্মার্টফোনটি বিছানা থেকে অনেক দূরে রাখা প্রয়োজন এবং অ্যালার্ম দেওয়ার জন্য অ্যালার্ম ঘড়ি ব্যবহার করতে হবে।