skip to Main Content
প্যানাসনিক বাংলাদেশে ভ্যালু সিরিজ মিক্সার গ্রাইন্ডার

উদ্ভাবনী রান্নাঘরের যন্ত্রপাতিতে শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান প্যানাসনিক সম্প্রতি বাংলাদেশ বাজারে তাদের নতুন ভ্যালু সিরিজ মিক্সার গ্রাইন্ডার উন্মোচন করেছে। এটি দেশের বাজারে ব্র্যান্ডটির তৃতীয় মিক্সার গ্রাইন্ডার সিরিজ, যা এসি সিরিজ এবং এভি সিরিজের সাফল্যের পর বাজারে এলো। ভ্যালু সিরিজের মাধ্যমে প্যানাসনিক দ্রুত বর্ধনশীল এন্ট্রি-লেভেল বাজারে প্রবেশের লক্ষ্য নিয়েছে, যেখানে উচ্চ পারফরম্যান্স, নিরাপত্তা ও গুণগত মান নিশ্চিত করে পণ্যটিকে দৈনন্দিন রান্নাঘরের চাহিদার জন্য সত্যিকারের ‘টাকার পূর্ণ মূল্য পাওয়া যায়’– এমন একটি সমাধান হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

ভ্যালু সিরিজ মিক্সার গ্রাইন্ডার লাইন-আপটি মূলত এমন ক্রেতাদের জন্য তৈরি, যারা দামের ব্যাপারে সংবেদনশীল হলেও স্থায়িত্ব ও কার্যকারিতায় কোনো আপস করতে চান না। এই পণ্য বাজারে আনার মাধ্যমে, পানাসোনিক তাদের বিশ্বস্ত রান্নাঘরের প্রযুক্তি আরও বিস্তৃত জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকারকে আরও দৃঢ় করছে। ঐতিহাসিকভাবে প্রিমিয়াম ক্যাটাগরিতে অবস্থান করলেও, প্যানাসনিকের এন্ট্রি-লেভেল সিরিজ প্রবর্তন তাদের বহুমুখী মূল্য দৃষ্টিভঙ্গি ও বাংলাদেশের আরও বেশি পরিবারের কাছে পৌঁছানোর কৌশলকে প্রতিফলিত করে।

পণ্যটি বাংলাদেশের বাজারে উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্যানাসনিক অ্যাপ্লায়েন্সেস ইন্ডিয়া কোম্পানি লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মি. গানেশন থিয়াগরাজন বলেন, ‘প্যানাসনিকের পুরো বিশ্বজুড়ে কুকার ও মিক্সার গ্রাইন্ডারের জন্য ২ কোটিরও বেশি সন্তুষ্ট গ্রাহক রয়েছে। ভ্যালু সিরিজের পণ্য উন্মোচন বাংলাদেশে আমাদের বাজারে অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে। এটি শুধু আমাদের মার্কেট শেয়ার বৃদ্ধি করবে না; বরং আত্মবিশ্বাসও বাড়াবে। এই পণ্য অর্থসাশ্রয়ী এবং টেকসই– যা আজকের ক্রেতাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দুটি বিষয়।’

প্যানাসনিকের গুণগতমানের প্রতি অঙ্গীকারের প্রত্যয় ব্যক্ত করে কোম্পানিটির নির্বাহী পরিচালক মি. ইউসুকে নি বলেন, ‘আমাদের মূল নীতি হলো প্রতিটি মিক্সার গ্রাইন্ডারে নিরাপত্তা, গুণগতমান এবং ব্যবহারকারীর সুবিধাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া। এজন্য প্রতিটি পণ্য জাপানি মানের উচ্চতর স্তর নিশ্চিত করতে ১৬০টিরও বেশি কঠোর পরীক্ষার মধ্য দিয়ে উতরে যায়।’

নতুন ভ্যালু সিরিজ মিক্সার গ্রাইন্ডার দুটি বহুমুখী মডেল নিয়ে এসেছে। এগুলো হলো– এমএক্স-জিসি ৩৫৫০ এবং এমএক্স-জিই ৩৭৫০। এমএক্স-জিসি ৩৫৫০ মডেলটি স্টাইলিশ কোরাল ব্লু ফিনিশে বাজারে এসেছে। এতে ৯০০ ওয়াটের শক্তিশালী এমএমএলডব্লিউ (MMLW) মোটর রয়েছে। অন্যদিকে এমএক্স-জিই ৩৭৫০ মডেলে রয়েছে স্লিক ব্ল্যাক ফিনিশ এবং ১২০০ ওয়াটের আরও শক্তিশালী এমএমএলডব্লিউ (MMLW) মোটর।

উভয় মডেলেই তিনটি জার রয়েছে। এগুলোর মধ্যে একটি ব্লেন্ডার জার যা ব্লেন্ডিং ও জুস করার জন্য, একটি মিল জার যা শুকনো এবং ভেজা গ্রাইন্ডিংসহ ব্যাটার তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়াও একটি ছোট চাটনি জার রয়েছে, যা বহুবিধ উদ্দেশ্যে গ্রাইন্ডিংয়ের জন্য উপযুক্ত। এগুলোর উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন মোটর এবং টেকসই ব্লেডগুলো দক্ষ গ্রাইন্ডিং নিশ্চিত করে, আর বহুমুখী ডিজাইন ব্যবহারকারীদের জন্য সুবিধা এবং বহুমুখিতা বৃদ্ধি করে।

ভ্যালু সিরিজ মিক্সার গ্রাইন্ডার বাজারে আনার পাশাপাশি, প্যানাসনিক বাংলাদেশে তাদের রান্নাঘরের যন্ত্রপাতি পোর্টফোলিও আরও বিস্তারের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। প্রতিষ্ঠানটি নতুন প্রোডাক্ট ক্যাটাগরি উন্মোচন করেছে, যার মধ্যে রয়েছে স্টেইনলেস স্টিল ইলেকট্রিক রাইস কুকার, নতুন ধরনের ব্লেন্ডার মডেল এবং প্রথমবারের মতো নন-ইলেকট্রিক ট্রিপলি কুকওয়্যার সিরিজ।

এই সংযোজনগুলো পানাসনিকের কৌশলকে প্রতিফলিত করে, যা নতুন প্রোডাক্ট ক্যাটাগরি উপস্থাপনের মাধ্যমে উল্লম্বভাবে বৃদ্ধি এবং প্রতিটি ক্যাটাগরিতে আরও বেশি মডেল বিকল্প প্রদানের মাধ্যমে অনুভূমিকভাবে সম্প্রসারণ করার ওপর ভিত্তি করে।

প্যানাসনিকের ধারাবাহিক সম্প্রসারণ ও বৈচিত্র্য বাংলাদেশের পরিবারের জন্য বিশ্বস্ত রান্নাঘরের সঙ্গী হিসেবে অবস্থানকে আরও দৃঢ় করে। কেননা, কোম্পানিটি জাপানি প্রকৌশল উৎকর্ষের ভিত্তিতে নির্ভরযোগ্য ও পরিপক্বভাবে ডিজাইনকৃত যন্ত্রপাতি সরবরাহ করে।

  • ক্যানভাস অনলাইন
    ছবি: সংশ্লিষ্টদের সৌজন্যে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top