শুধু হরর সিনেমার জগতেই নয়, পুরো হলিউডেই ‘কনজ্যুরিং’কে ওয়ার্নার ব্রাদার্সের অন্যতম সফল ফ্র্যাঞ্চাইজি বিবেচনা করা হয়। এ পর্যন্ত আটটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে এই ফ্র্যাঞ্চাইজির, যার প্রায় সবই সাফল্যের খাতায় নাম লিখিয়েছে। সবশেষ ২০২১ সালে মুক্তি পায় ‘দ্য কনজ্যুরিং: দ্য ডেভিল মেইড মি ডু ইট’। করোনা অতিমারির মধ্যেও ছবিটি আশাতীত সাফল্য পায়।
প্রায় চার বছর পর এবার পর্দায় আসছে ফ্রাঞ্চাইজির নবম কিস্তি ‘দ্য কনজ্যুরিং: লাস্ট রাইটস’। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫) আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ছবিটি। দেশের ভৌতিক সিনেমাপ্রেমীরাও নড়েচড়ে বসতে পারেন! কারণ একই দিনে বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পাবে ভয়ঙ্কর লোমহর্ষক এই সিনেমা। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

মাইকেল শ্যাভস পরিচালিত ছবিটিতে অভিনয় করেছেন প্যাট্রিক উইলসন এবং ভেরা ফার্মিগা, যারা প্যারানরমাল তদন্তকারী এবং লেখক এড ও লরেন ওয়ারেন হিসেবে তাদের ভূমিকা পুনরায় পালন করেন; মিয়া টমলিনসন ও বেন হার্ডিসহ। শ্যাভস আগের ছবিটি থেকে পরিচালক হিসেবে এবং জেমস ওয়ান ও পিটার সাফরান প্রযোজক হিসেবে ফিরে আসেন।

২০২১ সালের জুনে ‘দ্য কনজুরিং: দ্য ডেভিল মেড মি ডু ইট’ মুক্তির আগে ‘এম্পায়ার’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পরিচালক মাইকেল শ্যাভস ‘দ্য কনজুরিং’ সিরিজের ভবিষ্যতের কিস্তির সম্ভাবনা সম্পর্কে মন্তব্য করেছিলেন, ‘আশা করি এই ছবি ওয়ারেনদের জন্য এই নতুন অধ্যায় খুলে দেবে। দ্য কনজুরিং চলচ্চিত্রগুলোর জন্য এটির একটি অনন্য সমাপ্তি রয়েছে। এখান থেকে এটি কোথায় যেতে পারে, তা দেখার জন্য আমি উদগ্রীব।’

এবারের সিনেমাটি ১৯৮৬ সালের স্মার্ল পরিবারে ঘটে যাওয়া আলৌকিক ঘটনার ওপর ভিত্তি করে নির্মিত। গল্পে দেখা যায়, পেনসিলভানিয়ার ওয়েস্ট পিটস্টনের স্মার্ল পরিবার তাদের বাড়িতে এক বা একাধিক শয়তানের আক্রমণ অনুভব করে অদ্ভুত গন্ধ, বিপজ্জনক আওয়াজ, কালো ছায়া, শারীরিক আঘাতসহ নানা অতিপ্রাকৃত ঘটনা। জ্যাক ও জ্যানেট স্মার্ল দম্পতি তাদের অভিজ্ঞতা প্রকাশ্যে আনে, যা সংবাদমাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে, এমনকি তারা একটি বইও লেখে। ধারণা করা হচ্ছে, পূর্বের ধারাবাহিকতায় এটিও এই ফ্রাঞ্চাইজির আরেকটি সফল সিনেমা হতে চলেছে।
ক্যানভাস অনলাইন
ছবি: ইন্টারনেট

