skip to Main Content
একদিনে ঘুরে আসুন রাঙামাটি: পাহাড়, হ্রদ আর প্রকৃতির অপরূপ রূপ

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, প্রকৃতিপ্রেমী এবং ভ্রমণপিপাসুদের কাছে এক স্বপ্নের নাম। পাহাড়, হ্রদ, ঝর্ণা আর পাহাড়ি সংস্কৃতির মিলনে রাঙামাটি বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন স্বর্গ। যারা সময়ের স্বল্পতায় ভুগছেন, তারাও চাইলে মাত্র একদিনেই রাঙামাটির কয়েকটি বিখ্যাত স্পট ঘুরে দেখতে পারেন। আজকের ভ্রমণ গল্পে থাকবে একদিনে ঘুরে আসার মতো কিছু দর্শনীয় স্থান ও একটি সুন্দর ভ্রমণ পরিকল্পনা আর স্মৃতি ধরে রাখবেন কিভাবে সেই অভিজ্ঞতা। তাহলে চলুন শুরু করি–

 

কাপ্তাই লেক

রাঙামাটি ভ্রমণের শুরুতেই ঘুরে আসতে পারেন কাপ্তাই লেক থেকে। পাহাড় ঘেরা এই হ্রদ আসলে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কৃত্রিম হ্রদ, যা তার সৌন্দর্য আর শান্ত পরিবেশের জন্য দেশি-বিদেশি পর্যটকদের মন কাড়ে। নৌকায় করে হ্রদের মাঝখানে ভ্রমণ করলে চোখে পড়বে সবুজ পাহাড়ের সারি আর পানির নীল ঢেউ। সকালবেলা নৌকা ভ্রমণ করলে আপনি প্রকৃতির অনাবিল সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। আর কাপ্তাই লেকে যখন ভ্রমণ করবেন ঠিক তখনই মনে হবে নিজের এই মূহুর্তগুলো ক্যামেরা বন্দী করার। হাতে যদি থাকে ভ্রমণের পারফেক্ট সঙ্গী ভিভো ভি৬০ লাইট তাহলে স্মৃতি ধরে রাখা কোনো ব্যাপারই নয়।

রাজবন বিহার

ভ্রমণের দ্বিতীয় স্পট হিসাবে রাখতে পারেন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম পবিত্র স্থান রাজবন বিহার। শান্ত পরিবেশ, ধর্মীয় স্থাপত্য এবং ধ্যানমগ্ন পরিবেশ পর্যটকদের মুগ্ধ করে। এখানে এসে আপনি পাহাড়ি সংস্কৃতি ও ধর্মীয় বৈচিত্র্যের সঙ্গে পরিচিত হতে পারবেন। এটি ভ্রমণকারীদের জন্য একটি অনন্য অভিজ্ঞতা। আর ছবি তুলতে চান প্রকৃতির এবং প্রকৃতির সাথে নিজের তখন সনি সেন্সরের সাথে ৫০ মেগাপিক্সেল মেইন ক্যামেরা আপনাকে দেবে একদম মনের মত ছবি।

বড় শুভলং এবং ছোট শুভলং ঝর্ণা

কাপ্তাই লেক থেকে কিছুটা দূরে গেলে দেখা মিলবে বিখ্যাত শুভলং ঝর্ণা। দুটো ঝর্ণা আছে। একটি বড় মানে বিশাল আর একটি ছোট। সব সময় কম বেশি পানি থাকে। তবে বর্ষাকালে ঝর্ণার পানির প্রবাহ সবচেয়ে বেশি থাকে এবং তখন এটি অসাধারণ সুন্দর দেখায়। তবে শীতকালেও এখানে পর্যটকদের ভিড় থাকে, কারণ আশেপাশের পাহাড়ি দৃশ্য সত্যিই মনোমুগ্ধকর। প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য শুভলং ঝর্ণা এক অনন্য অভিজ্ঞতা দেবে। আপনি যদি এসব স্পটের স্মৃতি ধরে রাখতে চান তাহলে স্মার্টফোনে থাকা এআই ইরেজ ৩.০ ও এআই এনহ্যান্স দিয়ে ছবি থেকে অবাঞ্ছিত উপাদান রিমুভ করে প্রতিটি মুহূর্তকে মুহূর্তেই চমৎকার করে তোলবে।

ঝুলন্ত সেতু

রাঙামাটির সবচেয়ে পরিচিত প্রতীক হলো ঝুলন্ত সেতু। কাপ্তাই লেকের ওপর নির্মিত এই সেতুটি ভ্রমণকারীদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ। এখানে দাঁড়িয়ে হ্রদ ও পাহাড়ের প্যানোরামিক দৃশ্য দেখা যায়। ছবি তোলার জন্য এটি নিখুঁত স্পট। রাঙামাটিতে এসে ঝুলন্ত সেতু না দেখলে ভ্রমণ যেন অসম্পূর্ণ থেকে যায়।

ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বাজার

রাঙামাটির ভ্রমণে স্থানীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার ছোঁয়া পাওয়া যায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বাজারগুলোতে। বাজারে পাওয়া যায় হাতে বোনা কাপড়, বাঁশ ও বেতের পণ্য, পাহাড়ি মসলা ও শুকনো খাবার। এগুলো শুধু স্মারক হিসেবে কেনার জন্য নয়, স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে কাছ থেকে অনুভব করারও একটি সুযোগ। ভ্রমণে সব স্মৃতি ধরে রাখতে চাই সেলফি– কোনো সমস্যা নেই। হাতের স্মার্টফোনটা যদি হয় ৩২ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা । তাই ভ্রমণ গল্প হবে আরো সুন্দর এবং গোছানো।

পলওয়েল পার্ক ও ট্যুরিজম কমপ্লেক্স

রাঙামাটি শহরের কাছেই অবস্থিত পলওয়েল পার্ক ও ট্যুরিজম কমপ্লেক্স পরিবার ও শিশুদের নিয়ে ঘোরার জন্য উপযুক্ত স্থান। এখানে সবুজ ঘাস, খেলার মাঠ, কৃত্রিম লেক এবং বিশ্রামের জন্য সুন্দর পরিবেশ রয়েছে। বিকেলের দিকে পার্কে সময় কাটানো মনকে সতেজ করে তোলে। বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আপনি কাটালেন সময় কিন্তু লো লাইটে ছবি তুলবেন কিভাবে, স্মৃতিবন্দী করাটা মুশকিল নিশ্চয় আপনি ভাবছেন। এই ডিভাইছে আছে এআই অরা লাইট পোর্ট্রেট প্রযুক্তি, আপনার ছবিকে আরো উজ্জ্বল করে তুলবে।

স্থানীয় খাবারের স্বাদ

রাঙামাটির ভ্রমণ শেষ হবে না যদি আপনি স্থানীয় খাবারের স্বাদ না নেন। পাহাড়ি রেস্তোরাঁগুলোতে পাবেন বিশেষভাবে রান্না করা বাঁশকল্লি, শুকনো মাছ, মুরগির ঝোল, পাহাড়ি সবজি এবং ভাত। এগুলো খেতে খেতেই রাঙামাটির আসল স্বাদ পাওয়া যায়।

রাঙামাটি এমন একটি জেলা যেখানে পাহাড়, হ্রদ, ঝর্ণা আর মানুষের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি মিলেমিশে এক অপরূপ সৌন্দর্য সৃষ্টি করেছে। মাত্র একদিন সময় নিয়ে আপনি ঘুরে আসতে পারবেন শহরের সব প্রধান আকর্ষণ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি স্থানীয় খাবার, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতি রাঙামাটির ভ্রমণকে আরও সমৃদ্ধ করে তোলে। তাই ব্যস্ত জীবনে একদিন ছুটি নিয়ে রাঙামাটি ঘুরে আসুন, মন ভরে যাবে শান্তি ও সৌন্দর্যে। আর সারাদিনের ভ্রমণ গল্প ক্যামেরাবন্দী করতে গিয়ে ২৫৬ জিবি স্টোরেজ, ৬৫০০ এমএএইচ ব্লুভোল্ট ব্যাটারি থাকায় ভ্রমণের সব আনন্দ ঘরে ফেরা পর্যন্ত জীবন্ত থাকবে।

  • লেখা ও ছবি: ভিভো ভি৬০ লাইট-এর সৌজন্যে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top