skip to Main Content

বিউটি সার্ভিস I ব্রাইটেনিং আন্ডারআর্ম ট্রিটমেন্ট

হালকা পোশাক পরার সময় এসেছে। স্লিভলেসও এখন জুতসই। ফলে শরীরের কিছু অংশ অনাবৃত থাকছেই। সেসবের গ্রীষ্মসম্মত হয়ে থাকা জরুরি। হাত তো বটেই, বাড়তি যত্নআত্তি চাই আন্ডারআর্মেরও। কারণ, হাতকাটা পোশাকে অধিকাংশ সময়ে আড়ালে থাকা শরীরের এ অংশ পুরোটাই উন্মুক্ত থাকে। আর তা যদি হয় দাগছোপযুক্ত এবং অপরিষ্কার, তাহলে স্বস্তিকর পোশাকেও অস্বস্তি হবে দিনভর।
আন্ডারআর্মে সাধারণত আলো-বাতাস খুব কমই লাগে। ফলে উষ্ণ থাকে এই অংশ, আর্দ্রতা থাকে বেশির ভাগ সময়। ঘামেও বেশি। স্বাভাবিকভাবেই প্রকোপ বাড়ে র‌্যাশ, চুলকানি আর দুর্গন্ধের মতো সব সমস্যার। তবে নিয়মিত যতেœ এর সারাই সম্ভব। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা আর বাসায় বসে বাড়তি কিছু যত্নআত্তি প্রয়োজন নিয়মিত। সঙ্গে মাসে একবার ভালো কোনো স্যালনে গিয়ে যদি আন্ডারআর্ম ট্রিটমেন্ট নেওয়া যায়, তাহলে শরীরের অবহেলিত এ অংশও হয়ে উঠবে নজরকাড়া।
ব্রাইটেনিং আন্ডারআর্ম ট্রিটমেন্টের মূল উদ্দেশ্য এই অংশের দাগছোপ দূর করে উজ্জ্বলতা বাড়ানো। ঘণ্টাখানেকের পরিচর্যাই যথেষ্ট। সাধারণত ওয়াক্সিংয়ের মাধ্যমে শুরু হয় ট্রিটমেন্ট। কোন্ড ওয়াক্স ব্যবহার করা হয় এ ক্ষেত্রে, যেন ত্বকের ক্ষতি না হয়। অবাঞ্ছিত লোম দূর করার পর চলে ম্যাসাজ। অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম দিয়ে করা পাঁচ মিনিটের এই ম্যাসাজ আন্ডারআর্মের জীবাণু ধ্বংস করে, পাশাপাশি ত্বককোষ উদ্দীপ্ত করতে সাহায্য করে। তারপর বিশেষায়িত বাথ সোপ দিয়ে আরও পাঁচ মিনিট ম্যাসাজ। মূলত গভীর থেকে ময়লা পরিষ্কারে সাহায্য করে এই প্রক্রিয়া। তারপর চলে স্ক্রাবিং। আন্ডারআর্মের জন্য বিশেষভাবে তৈরি স্ক্রাবার দিয়ে। সঙ্গে দেওয়া হয় স্টিম মেশিনের ভাপ। এতে ত্বকের লোমকূপ খুলে যায়। যা গভীর থেকে ময়লা আর দূষণ দূর করতে সাহায্য করে। প্রায় পনেরো মিনিট ধরে চলে স্ক্রাবিং। তারপর মাখানো হয় ত্বকবান্ধব ব্লিচ ক্রিম। গ্যালভানিক মেশিনের সাহায্যে দশ মিনিট ধরে চলে পুরো প্রক্রিয়া। এতে ত্বকের কোনো ক্ষতি তো হয়ই না, বাড়ে ব্লিচের কার্যকারিতা। তারপর দেওয়া হয় আন্ডারআর্ম লাইটেনিং প্যাক। এই অংশের ত্বকের দাগছোপ অনেক দৃঢ় হয়ে থাকে, যা সহজে উঠতে চায় না। সে ক্ষেত্রে এই প্যাক আন্ডারআর্মের জমাট বেঁধে থাকা দাগ হালকা করতে সাহায্য করে। পনেরো মিনিট পর উঠিয়ে ফেলা হয় প্যাক। এরপর আবার ম্যাসাজ দেওয়া হয়। আন্ডারআর্ম হোয়াইটেনিং ক্রিম দিয়ে। দ্বিগুণ উজ্জ্বলতা সৃষ্টির জন্য।
মাসে একবারই যথেষ্ট এই ট্রিটমেন্ট। কিন্তু দীর্ঘদিনের অযতেœ যাদের আন্ডারআর্মের দুর্দশা, দাগ সারতে চাচ্ছেই না, তারা নিয়ম করে দুবারও করিয়ে নিতে পারেন। ১৫০০ থেকে ১৭০০ টাকা খরচ হতে পারে হাইএন্ড এই ট্রিটমেন্টের জন্য।

মডেল: সাফা
মেকওভার: পারসোনা
ছবি: সৈয়দ অয়ন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top