সেলিব্রিটি স্টাইল I তারকালোকে তিশা
ঝোঁক পাল্টেছেন বহুবার। তবে প্রবল আগ্রহ অভিনয়ে। সেই নতুন কুঁড়ির দিনগুলোতে শুরু। তারপর ছোট পর্দায় পদার্পণ। বড় স্ক্রিনেও তার মুভিগুলো ব্লকব্লাস্টার। এরই স্বীকৃতি দু-দুটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। তিনি নুসরাত ইমরোজ তিশা। শিগগিরই নতুন পরিচয়ে উপস্থিত হতে যাচ্ছেন দর্শকদের সামনে। সেরে ফেলেছেন প্রথম চলচ্চিত্র ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’-এর কাজ। তবে অভিনেত্রী নয়, প্রযোজক হিসেবে। ক্যানভাস স্টুডিওতে জম্পেশ আড্ডায় জানা গেল আরও অজানা তথ্য। জানাচ্ছেন জাহেরা শিরীন
কী রঙের পোশাক পরতে পছন্দ করেন?
তিশা: সাদা, কালো আর লাল।
কোন রঙ একেবারেই অপছন্দ?
তিশা: না, এমন কোনো রঙ নাই। তবে আমাকে স্যুট করতে হবে আর চোখে দেখতে আরাম লাগতে হবে।
একটা অ্যাকসেসরিজ যেটা ছাড়া একদমই বাইরে বেরোন না?
তিশা: নোজ পিন।
পছন্দের ফ্যাশন ট্রেন্ড?
তিশা: ফ্যাশন ট্রেন্ড ফলো করার চাইতেও আমার কাছে প্রাধান্য পায় আরামের ব্যাপারটা। কমফোর্টেবল যেকোনো কিছুই আমার পছন্দের।
সবচেয়ে আরাম পান কোনটা পরে?
তিশা: জিনস, টি-শার্ট, শার্ট।
ওয়্যারড্রোবের এমন একটা পোশাক, যা সবচেয়ে বেশি পরা হয়?
তিশা: সেটা অফ দ্য রেকর্ড বলি! হা… হা…
ফ্যাশন আইকন?
তিশা: অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। শুধু ফ্যাশনের ক্ষেত্রেই নয়, তার সবকিছুই আমাকে খুব আকর্ষণ করে।
আপনার সৌন্দর্যের রহস্য?
তিশা: আমার ভেতরটা অনেক সুন্দর, তা-ই প্রতিফলিত হয় বাইরে। আমি সেটাই বিশ্বাস করি।
পছন্দের বিউটি ট্রিক?
তিশা: প্রচুর পানি পান করা।
আপনার বিউটি রুটিন?
তিশা: বেঁধে ধরে একদমই কিছু করা হয় না। কিন্তু অনেক মেকআপ যেহেতু করতেই হয়, চেষ্টা করি সুন্দর করে তা পরিষ্কার করতে। আর নিজেকে ক্লিন রাখার ব্যাপারটা অনেক মেইনটেইন করি। সেটা সবার করা উচিত।
আপনার মাস্ট হ্যাভ বিউটি প্রোডাক্ট?
তিশা: নারকেল তেল আর বেবি লোশন। মেকআপ রিমুভ করতে এগুলো আমার চাই-ই।
মেকআপ ব্যাগে কী থাকে সব সময়?
তিশা: লিপস্টিক আর কাজল। থাকতে হবেই।
পছন্দের লিপ কালার?
তিশা: একেবারে ন্যাচারাল কিছু। আর পার্টি হলে রেড।
কোন বিউটি ব্র্যান্ড বেশি ব্যবহার করা হয়?
তিশা: ম্যাক আর ক্রায়লন।
নিজের চুল নিজে কেটেছেন কখন?
তিশা: কখনোই না। চুল কাটতে হলে পারসোনায় চলে যাই।
সম্প্রতি কিসে ঝোঁক বেড়েছে?
তিশা: এটা তো কিছুদিন পরপরই পরিবর্তন হয়। কিন্তু একটা ঝোঁক শুরু থেকে এখন অব্দি আছে। তা হচ্ছে অভিনয়ের। বহু বছর থাকবেও মনে হচ্ছে। এর সঙ্গেই নতুন করে যুক্ত হয়েছে প্রযোজনার কাজটা। তাতেও ঝোঁকটা বাড়ছে।
প্রযোজক হিসেবে প্রথম চলচ্চিত্র ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’-এর অভিজ্ঞতা কেমন?
তিশা: খুব পাওয়ারফুল মনে হয়েছে নিজেকে পুরোটা সময়। নতুন একটা পরিচয় যুক্ত হলো। প্রথম প্রযোজনার কাজ হয়েছে আমার প্রোডাকশন হাউস থেকেই। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এতে অভিনয় করেছেন ভারতীয় অভিনেতা নওয়াজ উদ্দীন সিদ্দিকী, বাংলাদেশের তাহসান খানসহ দেশের এবং বাইরের অনেক আর্টিস্ট।
নিজের প্রথম প্রোডাকশন ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’-এ কি আপনাকে দেখা যাবে?
তিশা: না। প্রযোজকের দায়িত্বটাই পালন করতে চেয়েছি ঠিকভাবে।
নিজের কেনা সবচেয়ে পছন্দের জিনিস?
তিশা: এমন অনেক জিনিস আছে। কিন্তু এখন কেনা গাছগুলো আমার সবচেয়ে পছন্দের। আমি যেখানে যাই না কেন, গাছ কিনি। আই লাভ প্ল্যান্টস। তাদের দেখভাল করতেও আমার খুব ভালো লাগে।
প্রথম কাজ?
তিশা: নতুন কুঁড়ি। ১৯৯৪-৯৫ এর দিকে। শিশুশিল্পী হিসেবে।
প্রথম উপার্জন?
তিশা: ১৮০ টাকা। হা… হা…। বিটিভি থেকে পাওয়া সেই টাকার সঙ্গে বাবা আরও কিছু টাকা মিলিয়ে আমার প্রথম ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে দিয়েছিলেন।
পছন্দের খাবার?
তিশা: আমি তেমন ফুডি নই। তবে চা ছাড়া আমার চলে না।
জীবনে পাওয়া সেরা উপদেশ?
তিশা: বাবার কাছ থেকে। তিনি বলেছিলেন, মানুষের আসলে পানির মতো হওয়া উচিত। যে পাত্রে রাখা হবে, সে পাত্রের আকার ধারণ করার মতো ফ্লেক্সিবল। তাহলেই সারা জীবন সুখে থাকা যায়। আমি সেটা মেনে চলার চেষ্টা করি।
আপনার রাশি?
তিশা: মীন।
জীবনে পাওয়া সেরা উপহার?
তিশা: আমার পরিবার, হাজবেন্ড মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এবং তার পরিবার। আর অবশ্যই আমার দর্শকদের ভালোবাসা। তাদের জন্যই তো আজকের আমি তিশা।
প্রথম ক্রাশ?
তিশা: বলব না! হা… হা…। লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও।
আপনি কি আবেগপ্রবণ?
তিশা: মাঝেমধ্যে আবেগ নাড়া দেয় কিন্তু চেষ্টা করি প্র্যাকটিক্যালি চিন্তা করার।
ঢাকার পছন্দের ব্যাপার?
তিশা: অনেক মানুষ। আর অনেক মানুষের মাঝে নিজেকে আমার নিরাপদ মনে হয়।
একটা ফিকশনাল ক্যারেক্টার, যার সঙ্গে প্রেম করতে চান?
তিশা: যার সঙ্গে প্রেম করতে চেয়েছিলাম, তার সঙ্গে প্রেম করে বিয়েও সেরে ফেলেছি।
একটা মিথ্যা বলেন?
তিশা: আমি মিথ্যা বলি না।
পছন্দের শব্দ?
তিশা: প্যাক আপ। হা… হা…। দ্য লাভলিয়েস্ট ওয়ার্ড।
এখনো কার সামনে নার্ভাস হয়ে যান?
তিশা: আমার মায়ের সামনে।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সবচেয়ে ভালো লাগার ব্যাপার?
তিশা: সে কাজ করতে খুব পছন্দ করে, যেটা আমার দারুণ ভালো লাগে। আর আমার সব কাজে খুব সাপোর্ট দেয়।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর করা একটা পছন্দের কাজের কথা যদি বলতে হয়?
তিশা: সম্প্রতি বাংলাদেশ বিমানের জন্য সে একটা কাজ করেছে। হুইচ ইজ ওয়ান অব মাই ফেবারিট।
ক্যারিয়ারের মেমোরেবল মোমেন্ট?
তিশা: জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
নিজেকে কীভাবে স্মরণীয় রাখতে চান?
তিশা: কাজ দিয়ে।
সৃষ্টিকর্তাকে যদি প্রশ্ন করার সুযোগ মেলে?
তিশা: কিছুই জিজ্ঞেস করব না। তিনি আমাকে যা দিয়েছেন, আই অ্যাম সো হ্যাপি উইদ ইট।
স্টাইলিং ও কনসেপ্ট: নুজহাত খান
মেকওভার: পারসোনা
আর্ট ডিরেকশন: দিদারুল দিপু
ওয়্যারড্রোব: বাটার ফ্লাই বাই সাগুফতা ও আইকনিক ফ্যাশন গ্যারেজ
ছবি: ক্যানভাস