skip to Main Content

ছুটিরঘণ্টা I পালাওয়ানের পালা

প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে মনোরম এক স্থান। সেখানে সবুজ পাহাড়ের সারি আর বন। স্বচ্ছ জলরাশিও সবুজাভ। সাদা বালুর তটজুড়ে নারকেলবীথির ছায়া। এমন না হলে কি আর দম্পতিরা নানা দেশ থেকে এখানে বেড়াতে আসেন! লিখেছেন ফাতিমা জাহান

চারদিকে সুনসান নীরবতা, কোনো লোকজন নেই, সামনে প্রশান্ত মহাসাগরের পান্না সবুজ জলের হাতছানি। রাজহাঁসের পালকের মতো তটে সাদা বালু আর সাগরের ঠিক অপর পাড়ে পাহাড়, যেখানে গাছে গাছে কানাকানি। এসবের স্বপ্ন দেখেই একটা জীবন পার করে দেওয়া যেত, যদি না পালাওয়ান আসার সৌভাগ্য হতো।
ফিলিপাইনের একটি প্রদেশ। দেশটিতে মোট দ্বীপের সংখ্যা প্রায় ৭১০০। পুরো দেশই যেন দ্বীপের মালায় গাঁথা এক ঐশ্বর্যময় ভুবন। যেখানেই যাই না কেন, দেশটা যেন রাতের আকাশ আর দ্বীপগুলো এক একটি তারা। ফিলিপাইনে বহু বছর স্প্যানিশ ঔপনিবেশিক শাসন চালু ছিল। এ দেশে তাই স্প্যানিশ সংস্কৃতির ছাপ স্পষ্ট। মূল ভাষা ফিলিপিনো এবং ইংরেজি।
এবারের গন্তব্য পালাওয়ানের ‘এল নিডো’ দ্বীপ। শুনেছি সেখানে পৌঁছালে নাকি কেউ ফিরে আসতে চায় না, কিংবা পুরোনো নিজেকে রেখে এসে নতুন হয়ে ফেরে সবাই।
ম্যানিলা থেকে প্লেনে করে রওনা হলাম পোওর্তো প্রিন্সেসা এয়ারপোর্টের উদ্দেশে। শহরটি পালাওয়ানের রাজধানী। এখানেও দেখার মতো অনেক কিছু আছে। আমাকে হাতছানি দিচ্ছে এল নিডো। এত উচ্ছ্বাস যে মনে হচ্ছে আগামীকাল ঈদ। আর আমি ঈদের চাঁদ দেখতে চলেছি। প্লেনে পাশের সিটে বসেছিল এদেশীয় মেয়ে নিনো। সে যাচ্ছে আরও দুজন বন্ধুর সঙ্গে এল নিডো। আমি বুঝি সত্যিই আজ চাঁদ হাতে পেয়েছি। এক ঘণ্টার প্লেন যাত্রার পর এয়ারপোর্ট থেকে সড়কপথে চার ঘণ্টা লাগে এল নিডো পৌঁছাতে। ওই তিনজন মহানন্দে আমাকে তাদের সাথি করে নিল। আমরা ট্যাক্সি ভাড়া করে চললাম নিজ নিজ হোটেলে। সেখানে অনলাইনে বুকিং দেওয়া ছিল। চার ঘণ্টা হাসি আর গল্পে কীভাবে যে কেটে গেল বুঝতে পারলাম না।
হোটেলটা সমুদ্রসৈকতের একদম কাছে। যেন হাত বাড়ালেই সমুদ্রদেবীকে ছুঁয়ে দেখা যাবে। রিসেপশনে যে মেয়েটি বসে ছিল, সে-ই হোটেলের মালিক। এখন নভেম্বর, সবে সিজন শুরু হচ্ছে। হোটেলে অন্য কোনো অতিথি নেই বললেই চলে। মালিক ছোটখাটো এমিলি সবে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট করেছে। ভীষণ মিশুক। রুম বুঝিয়ে দিয়ে বলল, ‘তুমি এখন এই রাজ্যের মালিক। অন্য প্রান্তে এক কাপল আছে, তবে দোতলায় কেউ নেই। সো এনজয় ইওর ফ্রিডম।’
রুমের ভেতর মন বসবার কথা নয়; কেননা, সামনে অপার শান্ত জলরাশির ভাষা যেন পড়তে পারছি আমি। সে ডাকছে। এমন ডাক পেয়েই তো এসেছি হাজার মাইল পার হয়ে।
তখন কিছু খেয়ে নেওয়া জরুরি। আমি ভোজনরসিক নই, আবার বিমুখও নই। যেকোনো দেশের খাবার খুব আগ্রহভরে খাই। সমুদ্রের তীরে অনেক খাবারের দোকান। একটায় ঢুকে পড়লাম। খুব সাধারণ ফিলিপিনো রেস্তোরাঁ। মাছের দুটো আইটেম অর্ডার করে বসে বসে সাগরের ছোট ছোট ঢেউ গুনছিলাম। চারদিকে নারকেল বাগানের ছায়া, পরিষ্কার সাদা বালুর তট। দূরে, সাগরের অন্যদিকে গাছপালায় ঘেরা পাহাড়। প্রশান্ত মহাসাগর কি সব সময়ই এত শান্ত থাকে! যেতে চাই সাগরের বুকের ঠিক মাঝখানে।
আপাতত পালাওয়ান স্পেশাল মাছের আইটেম ‘দাংগিত লামায়ু’ খাওয়ায় মন দিই। ফিলিপিনের মানুষের প্রধান খাদ্য ভাত। মাছ-ভাত খাব ভেবেই আনন্দ হচ্ছিল। কিন্তু এ মাছ আসলে ফ্রাই করা। এটি নাকি তেলে বা আগুনে ভাজা হয় না। ভিনেগার, লবণ, রসুন, গোলমরিচ মাখিয়ে রোদে শুকানো বা ভাজা হয়। নভেম্বরের গরম আমাদের গ্রীষ্মের উষ্ণতাকে হার মানায়। এই গরমে মাছ কেন, আস্ত মানুষও সেদ্ধ হয়ে যাওয়ার কথা। খেতে নেহাতই মন্দ নয়। সঙ্গে চিংড়িকারি ছিল। খাবারের শেষে ডেজার্ট হিসেবে ছিল ‘হালো হালো’। নামটা অদ্ভুত। বরফকুচির উপরে ঘন দুধ, ছোট করে কাটা ফল, ড্রাই ফ্রুট আর সবার উপরে আইসক্রিম খাঁজে খাঁজে বসানো। গরমের জন্য উপাদেয়। ওয়েটার মেয়েটির নাম অ্যাঞ্জেলিনা। খুব মিষ্টি করে হেসে কথা বলে। প্রথম দেখাতেই ভালো লেগে গেল। বলল, আবার আসবে।
বিকেলবেলায় সমুদ্রসৈকতে প্যারাগ্লাইডিং করলাম। উঁচু থেকে এল নিডো আর আশপাশের দ্বীপগুলোকে মনে হচ্ছিল নীল রত্নভান্ডার, মাঝে সবুজ পাহাড়ের সারি। যেখানে অসামান্য রূপ সাজিয়ে বসে আছে কোন নীলকমল পাপড়ি মেলে। আমাদের মতো ক্ষুদ্র মানুষদের ধরে রাখবে তার মখমলি পাপড়ির গায়ে।
রাতে হোটেলের সামনে হ্যামকে শুয়ে শুয়ে অগুনতি তারা দেখা আর পাল্লা দিয়ে বালুতে আছড়ে পড়া ঢেউয়ের মৃদু শব্দ শোনা সত্যিই অনন্য অভিজ্ঞতা।
পরদিন অবধারিতভাবে আইল্যান্ড হপিং ডে। বড় একটা বোটে করে ১২-১৩ জনকে নিয়ে কয়েকটা দ্বীপ ঘুরিয়ে দেখাবে। আগে থেকে বুকিং দিয়ে রাখতে হয়।
দেরি না করে নাশতা সেরে সময়মতো পৌঁছে গেলাম। সমুদ্রে যাচ্ছি, তাই আকুয়া শু পরে নিলাম। সঙ্গে সাগরে যাওয়া উপযোগী ওয়াটারপ্রুফ ব্যাগ।
তীরে গিয়ে দেখি তরী বহুদূর, ভাবলাম পাড়ে নাও ভিড়বে। তাই আরও কিছু সময় তটে হাঁটাহাঁটি করা যাবে। গাইড ভিক এসে বলল, এখন ঘোরাঘুরির সময় নেই, বোটে উঠে পড়ো। আমার তো আক্কেলগুড়ুম। বোটে যাব কী করে, এখান থেকে কম করে হলেও সিকি কিলোমিটার দূরে। ভিক নির্লিপ্ত কণ্ঠে বলল, ‘সাঁতরে যাও।’
সত্যিই সাঁতরে বোটে উঠতে হলো। জল ছিল আমার মাথা সমান উচ্চতায়। এখানে নাকি এমনই নিয়ম। বড় বোট তীরে ভেড়ে না। আমি খুব শখ করে সুন্দর জামাকাপড় পরে এসেছিলাম, বাঙালি ভ্রমণার্থী, সুন্দর হ্যাট মাথায় পরে, বাহারি পোশাকে বিভিন্ন ভঙ্গি করে ছবি তুলব, তারপর ফেসবুকে পোস্ট করব। তা আর হলো কোথায়! জামা ভিজে একসা। সাঁতারের পোশাক থাকলেও সে তো যখন সাঁতার কাটতে নামব তখন। আর কেই-বা জানত এই প্রমোদতরীতে ওঠার আগেই জলকেলি হবে!
যাহোক, তীরে না ভিড়লেও তরী তখন ভরে উঠেছে বিভিন্ন দেশের ভ্রমণার্থীর পায়ের ছাপে। আমার সঙ্গের বেশির ভাগই যুগল। কেউ এদেশীয়, কেউ এসেছে ফ্রান্স বা কানাডা থেকে। আর দুজন এসেছে স্পেন, অস্ট্রেলিয়া থেকে। ভিক বলল, বোট এখন মাঝ সাগরে চলে যাচ্ছে। সবাই লাইফ জ্যাকেট পরে সাগরের দিকে দৃষ্টি দিল।
অসীম নীলাভ জল আর তাতে রোদ ঝলকাচ্ছে আকাশে বিদ্যুৎ চমকানোর মতো। এত সুন্দর তার রঙ! এমন বর্ণিলতা আমি আগে কোনো সমুদ্রে দেখিনি। এত স্বচ্ছ যে অনেক গভীরে কোন মাছ কীভাবে লুকোচুরি খেলছে, তা-ও দেখা যায়। এ যেন এক ঘোর লাগানো বিস্ময়! জানতাম, চাঁদনী রাতে একরকম রোমাঞ্চ জাগে। তপ্ত দুপুরে, উজ্জ্বল সূর্যের ছটায় গভীর জলে ঘোর লাগাতে পারে এ সাগর।
কাচের মতো স্বচ্ছ সমুদ্রে স্বপ্নের পাখায় ভর করে আমরা পৌঁছালাম প্রথম দ্বীপ ‘সেভেন কমান্ডো আইল্যান্ড’-এ। ভিক বলল, ‘বড় বোট তাই তীরে নেওয়া যাবে না। তোমরা জলে নেমে হেঁটে পাড়ে চলে যাও। এই সৈকতে স্নোর্কলিং করার ব্যবস্থা আছে। যে যার জিনিসপত্র নিয়ে বুকসমান জল পার হয়ে তীরে এলাম। সহযাত্রীদের বেশির ভাগ জোড়ায় জোড়ায় এসেছে। আমি স্লো ট্রাভেলার। কারও আশায় না থেকে দ্বীপের এক মাথা থেকে অন্য মাথা পর্যন্ত তীর ধরে হাঁটলাম। নারকেল বাগান ঘেরা, সবুজ পাহাড়ের প্রাচীর দেওয়া দ্বীপ দেখা শেষ হলে স্নোর্কলিংয়ের গিয়ার পরে ডুব দিলাম জলের নিচের জগতে। কত জাতের, কত রঙের মাছ যে ছুটে ছুটে ছোঁয়াছুঁয়ি খেলল আমার সঙ্গে! নীলাভ সবুজ সমুদ্র আরও কাছে টেনে নিল, নিজের বুকের ভেতরে। সমুদ্রকে বললাম, ‘বাইরে যেমন তুমি সুন্দর তেমনি ভেতরেও তোমার সৌন্দর্য অসম্ভব আকর্ষণীয়। শুধু ডুবে যেতে ইচ্ছে করে।’ এভাবে ডুবলে কারও প্রাণহানি অবশ্য হয় না।
স্নোর্কলিংয়ে গভীর জলে যাওয়ার অবকাশ নেই। স্কুবা ডাইভিং করার ইচ্ছে আছে কাল।
এদিকে বোটে ফিরতে হবে। আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে আরেক অজানা গন্তব্য- ‘বিগ লাগুন’।
সে রকমই অথই নির্জনতার মাঝখানে নৌকা বেয়ে আমাদের নিয়ে এলো সেই দ্বীপের কাছে। এখানে আরও অভিনব ব্যবস্থা। তীরে যেতে হবে সত্যি সত্যিই সাঁতরে; যেখানে বোট থেমে আছে সেখানকার জলের গভীরতা মাপার মতো নয়। কুড়ি/ত্রিশ ফুট তো হবেই। এক এক করে সবাই ঝুপ ঝুপ শব্দে জলে ঝাঁপিয়ে পড়ল। আমি কেমন যেন মোহাচ্ছন্ন হয়ে গেছি জলের রঙ দেখে। অনেকটা সময় চোখে রাঙিয়ে নিলে কী সঙ্গে করে এই বিস্ময়কর রঙ নিয়ে যাওয়া যাবে! আছে পাহাড়ের বিশালতা, গা ঘেঁষে সবুজ বন। এ সাগরে সব ঋতুই যেন রঙের ফাগুনমাস। মন হু হু করা রঙ আর তার রাজকীয় সৌন্দর্য।
খাড়া খাড়া সব পাহাড়, বেশির ভাগই পাথুরে। কীভাবে যে বনভূমি বিস্তার করল! শুনেছি, এত খাড়া আর পিচ্ছিল যে ও পাশের পাহাড়ে নাকি ক্লাইম্ব করা যায় না। তাই এপাড়ে শুধু জলে ঝুপ করে ডুব দিয়ে দিয়ে চলে গেলাম মূল দ্বীপে। আমার আগেই সঙ্গীসাথিরা সাগর দখল করে রেখেছে। যুগলেরা সবচেয়ে বেশি উৎসবে মেতেছে। আশপাশের কয়েকটা বোটের সাঁতারুরা মিলে সত্যিই জলকেলি শুরু করে দিল। কয়েকজন পাহাড়ে চড়তে চাইল, কিন্তু এত খাড়া আর পিচ্ছিল পাহাড়ে চড়ার অনুমতি সরকার থেকে নেই। তাই আমরা কয়েকজন শুধু ভেসে থাকতে বাধ্য হলাম। সাঁতরে পাড়ে গিয়ে কিছুক্ষণ থেকে ফিরে এলাম নৌকা পানে।
এরপর আমাদের মাঝ সাগরে নিয়ে মধ্যাহ্নভোজন করানোর ব্যবস্থা করা হলো। ক্রুজ শিপে এমন দেখেছি। বোটে দুপুরের খাবার খাওয়া এই প্রথম। জলে দাপাদাপি করে সবাই ভীষণ ক্ষুধার্ত তখন। পরিবেশন করা হয়েছিল, গ্রিলড ফিশ, গ্রিলড চিংড়ি, চিকেন, শামুক সেদ্ধ, স্কুইড ভাজা, স্যালাড, সস, ভাত, বিভিন্ন রকমের ফল ও জুস।
খাওয়ার সময় বোট থেমে ছিল। এরপর চলতে শুরু করল ‘সিকরেট লাগুন’ দ্বীপের উদ্দেশে। কে জানে কী লুকিয়ে রেখেছে এই দ্বীপ। ভিক বলল, ইচ্ছা করলে আমরা সাঁতার কাটতে পারি, অথবা কায়াকিং করতে পারি। সবাই ইচ্ছা প্রকাশ করল। একেকটা কায়াকিং বোট দুজনকে দেওয়া হলো। আমি সঙ্গীসাথিহীন, তাই মহানন্দে একটা বোটে জাঁকিয়ে বসে দাঁড় বাইতে লাগলাম। এ জায়গাটা সিক্রেট এ কারণে যে পাহাড় আর জলের ভেতর দিয়ে ছোট ছোট নৌকা চলে যেতে পারে সরু সরু পথ বেয়ে। যেমন পাহাড়ি এলাকায় কিছু শর্টকাট পথ থাকে পাহাড়ের গভীরে চলে যাওয়ার জন্য, এখানেও তাই। বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই ভেতরে পাহাড়ের নিজস্ব এক প্রাসাদ আছে। বিশাল তার বিস্তার। জল বেশি গভীর নয়। পায়ের নিচে সবুজ জল, খানিক সাদা প্রবাল- এরই উপর দিয়ে দাঁড় বেয়ে চলা।
দুপাশে উঁচু উঁচু সবুজ পাহাড়, মাঝে এঁকেবেঁকে যাওয়া নিচু নদীর মতো সাগরের সবুজ জল। আশপাশে জলের শব্দ, সাগরের মাতাল করা সুগন্ধ- এসবই আমার জীবনের একটি নতুন রত্নখনি যেন। এত দিন যা খুঁজছিলাম, আজ তা হাতের মুঠোয় ধরা দিয়েছে।
দাঁড় বাইতে বাইতে কখন যে বিকেল পড়ে আসছিল, টের পাইনি। অন্যরা কেউ আশপাশে নেই। আমাকে নিতে আরেকটা কায়াকিং বোটে ভিক এসেছে। ভেবেছে পথ হারিয়ে ফেলেছি। আসলেই তাই। আমার জন্য তো পথ হারানো সবচেয়ে আনন্দের ঘটনা।
শেষ গন্তব্য ‘স্মল লাগুন’। অন্যান্য দ্বীপের মতোই স্থানটি অসামান্য সুন্দর। এখানে বিকেল না কাটালে জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় বাকি থেকে যেত। রোদের আঁচ কমে এসেছে। সাগরও নিজ অঙ্গের রঙ বদলাচ্ছে। এ যেন এক ইন্দ্রজাল!
ফিরতে ফিরতে আলো ফিকে হয়ে আসে। তেজি সূর্য মাথা হেলিয়ে দেয় রাতের কাঁধে। তখন চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে বেগুনি, কমলা, লাল রঙ। যেন যাবার আগে সবাইকে রাঙিয়ে দেবার ইচ্ছা।
বোটে এসে নিজের জায়গায় বসে সন্ধ্যার সাগরবেলা দেখতে দেখতে ফিরে আসতে হলো তীরে, যেখান থেকে যাত্রা শুরু হয়েছিল। একটা অর্থবহ দিন আমার কাছে কয়েক বছরের সাধনার সমান। সে সুযোগ করে দেবার জন্য এই অসীম সবুজ সাগর, দ্বীপমালা, সাদা বালু, তপ্ত দুপুর, হালকা রঙের সন্ধ্যাবেলাকে ধন্যবাদ জানিয়ে ফিরে গেলাম তীরে। রাতের সমুদ্রের গান শোনার জন্য।
ছবি: লেখক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top