সেলিব্রিটি স্টাইল I নাইন অ্যান্ড হাফ থেকে নবদম্পতি
‘দোস্ত, প্রেম করিস না। প্রেম-ভালোবাসা খুব খারাপ’- শাওন বলেছিলেন টয়াকে। তবে তা অভিনয়ের খাতিরে। পরিচালকের নির্দেশে, স্ক্রিপ্ট মেনে। বাস্তবের চিত্র একদম ভিন্ন। সংলাপের সে কথা খুব একটা কানে তোলেননি ছোট পর্দার প্রিয় মুখ মুমতাহিনা চৌধুরী টয়া। প্রেম তো করেছেনই, সম্প্রতি সেরে ফেলেছেন বিয়েটাও। প্রেমিক এবং পাত্র- দুটোই শাওন। ছয় বছর আগে সিরিয়ালের সেটে সেই সংলাপ বলা সাইদ জামান শাওন। যার অভিনয়ে ইতিমধ্যেই মুগ্ধ ছোট পর্দার দর্শকেরা। তবে কী করে সম্ভব হলো পুরো ব্যাপারটা? নাটকের চেয়ে কম যায় না এ জুটির গল্প। ক্যানভাস স্টুডিওতে জম্পেশ আড্ডায় জানা গেল আরও খুঁটিনাটি। তুলে ধরেছেন জাহেরা শিরীন
প্রথম দেখা কোথায়, কীভাবে?
শাওন : মাবরুর রশিদ বান্নাহ পরিচালিত ‘নাইন অ্যান্ড হাফ’ সিরিয়ালের স্যুটে। পুরো নাটকের একটা কি দুটো সিকোয়েন্স ছিল টয়ার সঙ্গে আমার।
টয়া: ছয় বছর আগে। তখন আমি শাওনকে পাত্তা দিতাম না, শাওনও আমাকে দিত না। এমনকি আমরা কোনো কথাও বলিনি সেই সেটে।
প্রেমের প্রস্তাব প্রথম কার কাছ থেকে আসে? সে সময়ের কোনো কথা এখনো মনে পড়ে?
শাওন: আই অ্যাম দ্য ওয়ান। আমার কাছ থেকে। আমি যখন টয়াকে প্রপোজ করি প্রথমে, শি সেইড নো। সেটা শুনে অনেকটা মজা করেই ওর পাশে দাঁড়ানো বান্ধবীকে আমি অ্যাপ্রোচ করি আর সঙ্গে সঙ্গে সে রাজিও হয়ে যায়। এটা দেখে টয়া বলে ওঠে, না না, আমি রাজি।
টয়া: হা হা। ঘটনা সত্য।
প্রথম ঘুরতে যাওয়া?
টয়া: কক্সবাজার।
শাওন: আমাদের এক বন্ধুর জন্মদিন সেলিব্রেট করতে যাওয়া হয়েছিল সেখানে।
হানিমুনে যাওয়া হয়েছে?
শাওন: একটা শর্ট হানিমুন সেরে এসেছি আমরা সিলেট থেকে।
টয়া: বিয়ের একদম পরদিনই চলে গিয়েছিলাম আমরা।
প্রেম করার সবচেয়ে বড় সুবিধা আর অসুবিধা?
শাওন: অসুবিধা বলি আমি। ইউ উইল ফিল কন্ট্রোলড, অনেক কিছু করার স্বাধীনতা হারিয়ে যায়। হা হা
টয়া: সুবিধা অনেক। একটা মানুষকে সব সময় সঙ্গে পাওয়া যায়, একদম নিজের মতো করে। আর অসুবিধা হচ্ছে সে বিরক্ত করে অনেক। হা হা
বিয়ে করার সবচেয়ে বড় সুবিধা আর অসুবিধা?
শাওন: হ্যাঁ, বিয়ে করার সুবিধা অনেক। আগে শুধু মা যত্ন করতেন, এখন বউও খেয়াল রাখে। একটু রান্না শিখলে খাওয়াতে চায়, ঘুম থেকে উঠিয়ে দেয়, পরের দিন কাজ থাকলে তাড়াতাড়ি ঘুম পাড়িয়ে দেয়, ঢিলেমি করলে তাড়া দেয়। আর অসুবিধা হলো ঘুমাতে দেয় না। বলে- ওঠো, যাও, নিজের কস্টিউম নিজে গোছাও।
টয়া: এবার আমি অসুবিধাটা আগে বলি। একটা মানুষের সঙ্গে রুম শেয়ার করা, বেড শেয়ার করা- এমন ছোটখাটো বিষয়গুলো অনেক চ্যালেঞ্জিং মনে হতো প্রথম দিকে। আর সুবিধা অনেক। পার্সোনাল ড্রাইভার পাওয়া যায় একটা। হা হা। যে আমাকে খাইয়ে দেয়, ঘুম পাড়িয়ে দেয়, যত্ন করে। ইট ফিলস লাইক হেভেন।
ভালোবাসা, বিশ্বাস, না বোঝাপড়া- দাম্পত্যে কোনটা বেশি জরুরি?
শাওন: বিশ্বাসের সঙ্গে বোঝাপড়া। এই দুটো ছাড়া চলবে না।
টয়া: আর এ দুটো যেখানে থাকে, সেখানে ভালোবাসা স্বতঃস্ফূর্ত।
ঝগড়াটা কে বেশি করে? রাগ ভাঙানোর দায়িত্ব কার?
শাওন: টয়া ঝগড়া করে আর আমি সাফার করি।
টয়া: শাওন ঝগড়া করে আর আমি চুপ থাকি।
সারপ্রাইজ করা হয়?
শাওন: টয়ার ব্যাপারটা হচ্ছে এ রকম- আজকে আমি ঝগড়া করব না। সারপ্রাইজ! হা হা। জোকস আ পার্ট, টয়াই সব সময় সুন্দর সুন্দর সব সারপ্রাইজ প্ল্যান করে। আমি অনেক কিছুই ভুলে যাই।
টয়া: হ্যাঁ, আমি শাওনের জন্য অনেক সারপ্রাইজ প্ল্যান করেছি।
সম্পর্কের ভাঙন আজকালকার সহজ সত্য। সে ক্ষেত্রে বিয়ে টিকিয়ে রাখার ম্যাজিক ট্রিকটা কী?
শাওন: পার্টনারের পালস ধরতে পারা। সে আপনার কাছে কী চাইছে, তা বুঝে কাজ করা গেলে সম্পর্ক বহুদিন টিকে থাকবে বলে আমি মনে করি।
টয়া: উইলিংলি কম্প্রোমাইজ করা। একটা মানুষকে যখন আমি ভালোবাসব, তখন তাকে খুশি রাখার জন্য যেকোনো কিছুই করতে পারি। সেটা জোর করে নয়, নিজ ইচ্ছাতেই, সামান্য স্যাক্রিফাইজ করে হলেও।
প্রিয় পোশাক? একে অন্যকে কোন পোশাকে দেখতে ভালো লাগে?
টয়া: আমার শাড়ি পরতে খুব ভালো লাগে। আর শাওনকে ফরমাল পোশাকে হ্যান্ডসাম দেখায়। বিশেষ করে ওর ইউনিফর্মে।
শাওন: আমি সুযোগ পেলেই পাঞ্জাবি পরি। আর টয়াকে শাড়িতে দারুণ দেখায়। টপসেও চমৎকার মানায়।
একজনের কোনো পোশাক আরেকজনের কি পরা হয়?
শাওন: আই উইশ! কিন্তু আমার টি-শার্ট, শার্ট, ট্রাউজার, জগার- সব একদম নিজের মনে করে পরে টয়া। শুটিংয়েও নিয়ে যায়। ড্রাইভারের রোল প্লে করে চলে আসে। হা হা…
টয়া: ওর জামাকাপড় খুব সুন্দর, ঢোলাঢালাভাবে ফিট হয়ে যায় আমার। খুব আরাম লাগে। বাসায় আমি ওর কাপড়ই পরে থাকি। হা হা…
আপনাদের সম্পর্ককে কোনো ডেজার্টের সঙ্গে তুলনা করতে চাইলে কোনটা নেবেন?
টয়া: জিলাপি।
শাওন: চিজ কেক।
কখন বুঝতে পারলেন, তিনি সেই একজন?
টয়া: শাওন মানুষকে খুব সম্মান করে। তার ব্যবহার, তার নীতি- এগুলো আমাকে খুব আকর্ষণ করেছিল। তখনই বুঝতে পারলাম, হি ইজ দ্য ওয়ান, যাকে বিয়ে করলে আমি হ্যাপি থাকব। আমি সারা জীবন সুখে থাকতে চাই, তাই নিজের স্বার্থেই ওকে বিয়ে করা। হা হা…
শাওন: আমি কোনো ব্যাপার জটিল করতে পছন্দ করি না। টয়াও খুব স্ট্রেইট ফরোয়ার্ড। তার লবণ লাগলে সে সেটাই চাইবে, সোডিয়াম ক্লোরাইড খুঁজবে না। আমার জীবনসঙ্গীর মধ্যে সেই গুণটাই খুঁজছিলাম।
প্রথম দেওয়া গিফট?
টয়া: ঘড়ি। শাওনের জন্মদিনে দিয়েছিলাম।
শাওন: ফুল। তা-ও টয়া চেয়ে নিয়েছিল। ওর প্ল্যান ছিল পাবলিক প্লেসে আমাকে একটু বিব্রত করা। মজা নেওয়া আরকি। সে ফুলগুলা এখনো আমাদের কাছে আছে।
একজন আরেকজনের থেকে কী শিখেছেন?
টয়া: সম্পর্ককে ভ্যালু করতে শিখিয়েছে শাওন আমাকে। ছোট-বড়, বন্ধু-আত্মীয়- এমনকি কাজের ক্ষেত্রেও সেটা কীভাবে করতে হয়, আমি শিখছি ওর থেকে।
শাওন: টয়ার কাছ থেকে আমার শেখা হচ্ছে ডেডিকেশন। কাজ, ফ্যামিলি, দাম্পত্য- সবক্ষেত্রে ওর এই ব্যাপারটা আমাকে খুব অনুপ্রাণিত করে।
একে অন্যের কোনো একটা জিনিস নিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেলে কী নেবেন?
টয়া: শাওনের জ্ঞানের ভান্ডার। আমার মনে হয় ও জানে না এমন কিছু নেই।
শাওন: আমি নিতে চাইব টয়ার লয়্যালটি। ওর আশপাশের মানুষের সঙ্গে তো বটেই, সে নিজের সঙ্গেও ভীষণ লয়্যাল।
আপনার পার্টনারের সেলিব্রিটি ক্রাশ?
টয়া: শাওনের? টয়া!
শাওন: সহমত, সহমত! আর টয়ার সেলিব্রিটি ক্রাশ? থাক, না বলি। নাম বললে চাকরি থাকবে না!
গিল্টি প্লেজার?
টয়া: ঘুম আর ঘুম!
শাওন: স্পেন্ডিং লেজি টাইম, চিলিং, ডুয়িং নাথিং।
একজন আরেকজনকে একটা করে প্রশ্ন করেন?
টয়া: ডু ইউ লাভ মি?
শাওন: বাবু খাইসো?
ক্যারিয়ারের সবচেয়ে মেমোরেবল মোমেন্ট?
শাওন: একটা শর্টফিল্মের শুটিং করতে গিয়ে জীবনসঙ্গীকে পেয়েছিলাম আমি। সেটাই আমার ক্যারিয়ারের বেস্ট মোমেন্ট।
টয়া: এটার পর আমি আর কী বলব! উই গট ইচ আদার। আগস্টের ১ তারিখ। শুটিং সেট চিরকুট। মোহাম্মদপুরের একটা কলেজের ছাদে। দ্য বেস্ট মেমোরেবল মোমেন্ট।
পছন্দের একজন সেলিব্রিটি, যার সামনে নার্ভাস লাগে?
শাওন: মোশাররফ করিম।
টয়া: সুবর্ণা মুস্তাফা ম্যাম। উনার ব্যক্তিত্ব, উনার অভিজ্ঞতা, অভিনয়ের দক্ষতার কাছে নিজেকে অনেক নড়বড়ে মনে হয়।
একটা অ্যাকসেসরিজ যেটা ছাড়া একদমই বাইরে বেরোন না?
শাওন: ঘড়ি।
টয়া: মোবাইল ফোন আর চার্জার।
পছন্দের ফ্যাশন ট্রেন্ড?
শাওন: ট্রেন্ড তো সেভাবে মেনে চলা হয় না। যেটা পরতে আরাম সেটাই আমার পছন্দ।
টয়া: স্ট্রিট ফ্যাশন।
ফ্যাশন আইকন?
শাওন: অক্ষয় কুমার। ব্যক্তিগত জীবন থেকে সিনেমার কস্টিউম, এমনকি ইভেন্টগুলোতেও যেসব পোশাক পরেন, আমার খুব ভালো লাগে।
টয়া: আমার আসলে নির্দিষ্ট কেউ নেই। কারও হয়তো ট্র্যাডিশনাল স্টাইলটা আমার পছন্দ, তো কারও ট্রেন্ডি ফ্যাশন সেন্সটা আমাকে আকর্ষণ করে।
আপনাদের সৌন্দর্যের রহস্য?
শাওন: ফিলিপসের ট্রিমার। হা হা
টয়া: আমার সৌন্দর্যের রহস্য সাইদ জামান শাওন।
আপনাদের বিউটি রুটিন?
শাওন: যতটুকু পানি পান করা দরকার, ততটুকু করি না। যতটুকু ঘুমানো দরকার, ততটুকু ঘুমাই না। টয়ার খুব যখন মায়া হয়, তখন ও আমার মেকআপটা রিমুভ করে দেয়। আর আমি নিভিয়ার একটা থ্রি ইন ওয়ান বিউটি প্রডাক্ট ব্যবহার করি। একই সঙ্গে শাওয়ার, শ্যাম্পু, ফেস ওয়াশিং- সব হয়ে যায়। হা হা
টয়া: সাত বছর ধরে আমার বিউটি রুটিন মানেই নাইট রুটিন। বাইরে থেকে এসে মেকআপ রিমুভ করায় আমি খুব জোর দিই। খুব যত্ন নিয়ে করি।
ফেবারিট বিউটি ট্রিক?
শাওন: আই ডোন্ট হ্যাভ অ্যানি বিউটি ট্রিক। আই অ্যাম দ্য বিউটি।
টয়া: অ্যাপ্লায়িং মাসকারা।
নিজের চুল কেটেছেন কখনো?
শাওন: কখনোই না।
টয়া: আমি কাটিনি। কিন্তু সাইদ জামান শাওন আমার চুল কেটে দিয়েছিল। তা-ও মেজারমেন্ট স্কেল দিয়ে। ইউটিউবে ভিডিওটা আছে।
সম্প্রতি কিসে ঝোঁক বেড়েছে?
শাওন: অভিনয়ে।
টয়া: আমি ভাবলাম, শাওন বলবে টয়াতে। হা হা। আমার ঝোঁক বেড়েছে বাসা সাজানোতে। আমি সময় পেলেই সে কাজটা করি। প্রতিদিনই পার্সেল আসে বাসায়। যেদিন আসে না সেদিন আমার শাশুড়ি একটু চিন্তায় পড়ে যান! হা হা
প্রথম কাজ? কত টাকা পেয়েছিলেন?
টয়া: টেলিফিল্ম ‘অদেখা মেঘের কাব্য’। নির্দেশনায় ছিলেন রুমানা রশীদ ঈশিতা। সহ-অভিনেতা ছিলেন অপূর্ব ভাই। দশ হাজার টাকা পেয়েছিলাম।
শাওন: মাবরুর রশিদ বান্নাহর পরিচালনায় ‘শেষ দৃশ্যের অপেক্ষায়’। সেখানে অভিনেতা শ্যামল মাওলার ছোট ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম আমি। ১৫০০ টাকা পেয়েছিলাম কাজটার জন্য।
জীবনে পাওয়া সেরা উপদেশ?
টয়া: বি কাইন্ড টু এভরিবডি।
শাওন: ট্রিট পিপল দ্য ওয়ে ইউ ওয়ান্ট টু বি ট্রিটেড।
কিশোরী টয়া আর কিশোর শাওনকে এখন কী উপদেশ দিতে চাইতেন?
টয়া: কিশোরী টয়া এখনকার টয়াকে বরং উপদেশ দিতে পারে- প্লিজ, এনজয় ইওর লাইফ, ইটস শর্ট!
শাওন: কিশোর শাওনকে বলতে চাই, বি মোর রেসপনসিবল।
আবেগপ্রবণ আপনারা?
শাওন: টয়া ভীষণ আবেগপ্রবণ। আবেগে পাথর হয়ে যায়। আর আমি খুব একটা আবেগপ্রবণ না, একটু হাইপার।
টয়া: হ্যাঁ, আমি চুপ হয়ে যাই। সেটাই আমার একমাত্র রিঅ্যাকশন। আর শাওন হাইপার না, শর্ট টেম্পারড। খুব দ্রুত রিঅ্যাক্ট করে।
ঢাকার সবচেয়ে পছন্দের ব্যাপার?
টয়া: স্পিড। ঢাকায় সময়টা খুব দ্রুত যায়। দিন থেকে রাত কখন যে চলে যায়, টেরই পাওয়া যায় না।
শাওন: মানুষ। আমি অনেক জায়গায় ঘুরেছি, কিন্তু এমন মানুষ আর কোথাও পাইনি।
একটা মিথ্যা বলেন?
শাওন: আমি খুব ভালো ছেলে।
টয়া: আমি খুব দুষ্ট মেয়ে।
আপনার রাশি?
শাওন: আমি কুম্ভ।
টয়া: আমি বৃষ।
ডাকনাম?
শাওন: আলাদা ডাকনাম নেই আমার।
টয়া: আমার অনেক ডাকনাম। টয়ন, টয়ন্টিকা, ট্যামা। বাসায় সবাই টয়ামণি ডাকে।
নিজেদের কীভাবে স্মরণীয় রাখতে চান?
টয়া: ভালো কাজের মাধ্যমে। আমি চলে যাওয়ার পর সবাই যেন বলতে পারে, অভিনেত্রী টয়া কিছু ভালো কাজ উপহার দিয়ে গেছে দর্শকদের জন্য।
শাওন: নিজের ভালো কাজ দিয়ে। সেটা অভিনয় হতে পারে, হতে পারে ক্ষুদ্র কোনো সামাজিক উদ্যোগও।
সৃষ্টিকর্তাকে যদি প্রশ্ন করার সুযোগ মেলে, কী করবেন?
টয়া: মৃত্যু কেন? কেন মানুষকে চলে যেতে হয়?
শাওন: কোনো সহজ কাজে সব ভুলের বা পাপের ক্ষমা পাব?
মডেল: অভিনেত্রী মুমতাহিনা চৌধুরী টয়া ও অভিনেতা সাইদ জামান শাওন
স্টাইলিং ও কনসেপ্ট: নুজহাত খান
আর্ট ডিরেকশন: দিদারুল দিপু
মেকওভার: পারসোনা
ছবি: মাহিনুজ্জামান পিয়ান