skip to Main Content

ফিচার I মিউজিকের বিশ্বমঞ্চে

বাংলাদেশের শিল্পীরা মাতিয়েছেন সংগীতের আন্তর্জাতিক অঙ্গন। হেভি মেটাল থেকে নিয়ে র‌্যাপে। সে খবর বিদেশি গণমাধ্যমে গুরুত্বের সঙ্গে প্রচারিতও হয়েছে। জানাচ্ছেন ইফতেখার ইনান

তথ্যপ্রযুক্তির অবাধ বিস্তৃতির সুবাদে এখন যেকোনো ভাষা বা দেশের গান সহজেই পৌঁছে যাচ্ছে সারা পৃথিবীর শ্রোতাদের কাছে। এমনকি অনেক গানের ধারা হয়ে উঠছে গ্লোবাল ট্রেন্ড। যেমন দক্ষিণ কোরিয়ার গ্যাংনাম স্টাইল অথবা ভারতের কোলাভেরি ডি। ইউটিউবে সবচেয়ে বেশি দেখা গানের ভিডিওর মধ্যে কোরিয়ান বা স্প্যানিশ শিল্পীদের নাম সবার ওপরের দিকে থাকাটা এখন আর কোনো বিস্ময়ের ব্যাপার নয়। বিশ্বায়নের এই ঢেউ বাংলাদেশেও পৌঁছে গেছে অনেক আগে। এ দেশের শ্রোতারা যেমন আজ পৃথিবীর নানা প্রান্তের গান শুনছে, তেমনি বাংলা ভাষার গান নিয়েও বিশ্বে নিজেদের প্রতিভার জানান দিয়েছেন অনেকেই।

সিভিয়ার ডিমেনশিয়া

সিভিয়ার ডিমেনশিয়া

এ দেশে ব্রুট ডেথ মেটাল ধারার অগ্রপ্রথিক। ২০০৪ সালে গঠিত সিভিয়ার ডিমেনশিয়া ব্যান্ড সে সময়ের আন্ডারগ্রাউন্ড মিউজিকে অভাবনীয় সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়। এ দেশের কোনো ব্যান্ড এর আগে ডেথ মেটাল নিয়ে এতটা সার্থকতার সঙ্গে পারফর্ম করেনি। তাই মেটালপ্রেমীরা সাদরে গ্রহণ করে নেয় সিভিয়ার ডিমেনশিয়ার এক্সট্রিম মিউজিক।
বাংলাদেশে ডেথ মেটালের পাইওনিয়ার- এই পরিচয়ের বাইরেও সিভিয়ার ডিমেনশিয়ার আরও কিছু সাফল্য আছে। ২০০৭ সালে ভারতের ডেমনস্টিলার রেকর্ড লেবেলের মাধ্যমে প্রকাশিত হয় তাদের প্রথম ঊচ (Epitaph of Plassey), যেখানে ঐতিহাসিক পলাশীর যুদ্ধকে বিষয় করে গাওয়া পাঁচটি গান স্থান পায়। বাংলাদেশের প্রথম ব্যান্ড হিসেবে সিভিয়ার ডিমেনশিয়া এই ইপি নিয়ে অংশগ্রহণ করে একটি আন্তর্জাতিক স্প্লিট অ্যালবামে। ‘রাইজ অব দ্য ইস্টার্ন ব্লাড’ নামের এই অ্যালবামে সিভিয়ার ডিমেনশিয়া ছাড়া ছিল ভারতের ব্যান্ড ডেমোনিক রিজারেকশন, পাকিস্তানের ডাস্ক আর সিঙ্গাপুরের হেল্মসিক ব্যান্ডের গান। তারা বাংলাদেশের প্রথম ডেথ মেটাল ব্যান্ড হিসেবে ২০০৭ সালে মুম্বাই এবং পুনের দুটি বিশাল কনসার্টে অংশগ্রহণ করে। ২০১২ সালে নেপালের ডেথ মেটালফেস্টে ৫ হাজার মেটাল হেডের সামনে বাংলাদেশের মেটাল গান কতটা শক্তিশালী আর পরিণত, তা তুলে ধরে ব্যান্ডটি। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ডেথ মেটালের শ্রোতাদের কাছে সিভিয়ার ডিমেনশিয়া প্রিয় হয়ে উঠতে থাকে। ভাইসের মতো বিখ্যাত মিডিয়া পাবলিকেশনে প্রকাশিত হয় তাদেরকে নিয়ে করা এক্সক্লুসিভ ফিচার। দুঃখজনক যে, ২০১২ সালের পর থেকে ব্যান্ডটির কার্যক্রম স্তিমিত হয়ে যায়। তবে নতুন করে তারা আবার সক্রিয় হয়েছেন। তাদের ভাষায়, আরও পরিণত হয়ে ফিরে এসেছেন তারা। এ বছরের শুরুর দিকে একটি মিক্সড অ্যালবাম ‘ওয়ার জার্নাল’-এ পাবলিশ হয়েছে তাদের নতুন গান ‘কনকারিং দ্য ব্লেজিং ফ্লেম’। আর ট্রানসেন্ডিং অবসকিউরিটি এশিয়া নামের একটি রেকর্ড লেবেলের সঙ্গেও সম্প্রতি তারা চুক্তিবদ্ধ। এই লেবেল থেকে অচিরেই আসবে তাদের নতুন অ্যালবাম। সিভিয়ার ডিমেনশিয়ার অতীত বিবেচনা করলে এ কথা বলা যায়, এই অ্যালবামের মাধ্যমে আবারও ইতিহাস সৃষ্টি করবে ব্যান্ডটি।

ব্ল্যাক জ্যাং

ব্ল্যাক জ্যাং

বাংলাদেশের হিপহপ জগতে পরিচিত নাম আপটাউন লোকলজ। ২০১০ সালে ‘হেই মামা হেই’ গান দিয়ে এখানকার শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এই র‌্যাপ ক্রু। অনন্য ফ্লো, রাইম আর স্বতন্ত্র স্টাইলের কারণে রাতারাতি বাংলা র‌্যাপ গানে জায়গা করে নেন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ব্ল্যাক জ্যাং।
স্টেজে ব্ল্যাক জ্যাং হিসেবে পরিচিত হলেও এই র‌্যাপারের প্রকৃত নাম আসিফুল ইসলাম সোহান। ১২ বছরের বেশি বাংলা র‌্যাপ গান নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। এ দেশের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে গত এক দশকে প্রান্তিক অবস্থান থেকে র‌্যাপ গানকে একটি দৃঢ় অবস্থানে নিয়ে এসেছেন সোহান। র‌্যাপ কালচারে নিজের একটা লক্ষ্যযোগ্য অবস্থান তৈরি করেছেন তিনি। দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশেও বাংলাদেশের র‌্যাপারদের অবস্থান চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে তার ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।
২০১৫ সালে ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে নেক্সট লেভেল কালচার এক্সচেঞ্জ নামক এক প্রোগ্রামে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন সোহান। সে সময় দেশের হিপহপ সিনারিওতে যেসব প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পী কাজ করছিলেন, তাদের অনেককে নিয়ে প্রথমে ঢাকায় পাঁচ দিনব্যাপী একটি ওয়ার্কশপ আয়োজিত হয় শিল্পকলা একাডেমিতে। কর্মশালা শেষে সবার মধ্য থেকে সোহান সুযোগ পান যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার। অনুষ্ঠানে নানা দেশের শিল্পীরা অংশগ্রহণ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি শহরে সোহানসহ অন্যরা বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নেন। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে তিনি নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দেন। অন্যদিকে তিনি বিভিন্ন ওয়ার্কশপ ও ট্রেনিংয়ে অংশ নিয়ে শিখতে পেরেছেন অনেক কিছু। একজন শিল্পী হিসেবে প্রফেশনালিজমের বিষয়টি তিনি শিখেছেন ওই উৎসবের ওয়ার্কশপে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই অনুষ্ঠান শেষে তিনি বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা হাতে আল-জাজিরা টেলিভিশনে সাক্ষাৎকারও দিয়েছিলেন। ২০১৭ সালে আমন্ত্রিত হয়ে গেছেন ইংল্যান্ডে। সেখানকার সাউথ ব্যাংক সেন্টার থেকে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয় ‘ডিস্ক উইদাউট বাউন্ডারি’ নামের অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জন্য। সেখানে তিনিসহ এশিয়ার ৬ জন এবং ইউকের ৬ শিল্পী অংশগ্রহণ করেন। ইংল্যান্ডে গিয়েও লন্ডন, ম্যানচেস্টারসহ কয়েকটি শহরে পারফর্ম করেন সোহান। তার ভাষায়, বাংলা র‌্যাপের সঙ্গে ব্রিটিশ শ্রোতাদের নাচতে দেখা একটা স্মরণীয় অভিজ্ঞতা ছিল।
এসব অনুষ্ঠানের বদৌলতে তার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে ভারতসহ বিভিন্ন দেশের সমকালীন শিল্পীদের। ফলে বেশ কিছু যৌথ কাজের সুযোগ তৈরি হয়েছে। যেমন সোহান ও ভারতীয় র‌্যাপার ডিএমসির ‘নো বাউন্ডারি’ গানটি নেটফ্লিক্স প্রযোজিত ছবি ‘এক্সট্রাকশন’-এ স্থান পেয়েছে। ডিএমসি তার সঙ্গে ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের প্রোগ্রামে। নো বাউন্ডারি গানটির প্রাথমিক চিন্তা শুরু হয় সেই ট্যুর চলার সময়েই। দেশে ফেরার পর এর মিউজিক করা হয়, যেখানে বাংলাদেশের লোকজ বাঁশির ব্যবহার এক নতুন মাত্রা নিয়ে আসে। পরবর্তীকালে গানটিতে ব্ল্যাক জ্যাং-এর গাওয়া অংশ এক্সট্রাকশন ছবিতে ব্যবহৃত হয়। উল্লেখ্য, ছবির নির্মাতারাই নো বাউন্ডারি গানটি পছন্দ করেন।
সোহান পেশাদারিত্বের সঙ্গে র‌্যাপ গান করে যেতে চান। তিনি বিশ্বাস করেন, এ দেশের র‌্যাপ তথা মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির বিপুল সম্ভাবনা আছে। বাংলাদেশের লোকজ সুর, বাদ্যযন্ত্র ও গানের দর্শন বিশ্বে অনন্য আবেদন রাখতে সক্ষম বলে মনে করেন তিনি।
ট্রেইনরেক

ট্রেইনরেক

ওয়াকেন ওপেন এয়ার হলো হেভি মেটাল ব্যান্ডের তীর্থস্থান। বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই হেভি মেটাল উৎসব শুরু হয়েছিল ১৯৯০ সালে। প্রতিবছর আগস্টের শেষ চার দিন এর আসর বসে জার্মানির হামবুর্গ থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরের ওয়াকেন গ্রামে। গত বছরের ১-৩ আগস্ট অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই মিউজিক ফেস্টিভ্যাল। বিশ্বের প্রায় ৮০টি দেশের ২০০-এর বেশি ব্যান্ড অংশ নেয় সেখানে। তাতে প্রথম বাংলাদেশি ব্যান্ড হিসেবে নাম লেখায় ‘ট্রেইনরেক’। কিন্তু এই যাত্রা মোটেই সহজ ছিল না। বিখ্যাত সব ব্যান্ডের সঙ্গে টক্কর দিতে হয়েছে। আন্ডারগ্রাউন্ড শো, কমিউনিটি সেন্টার থেকে কাবাব ঘরের আড্ডাতেও পারফর্ম করেছেন তারা। তারপর নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ রেখে তবেই ওয়াকেন ফেস্টিভ্যালে প্রথম বাংলাদেশি ব্যান্ড হিসেবে গান গেয়েছে ট্রেইনরেক।
২০১৮ সালের আগস্টে বাংলাদেশে আয়োজন করা হয় ওয়াকেন ব্যাটল। এই উৎসবে ট্রেইনরেকসহ অংশ নেয় ৮৭টি ব্যান্ড। বিজয়ী হয়ে তারা পা রাখেন দ্বিতীয় পর্যায়ে- বেঙ্গালুরু ওপেন এয়ারে। সেখানে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় ভারত, শ্রীলঙ্কা ও নেপালের ব্যান্ডগুলো। ৯ ফেব্রুয়ারি ট্রেইনরেক অর্জন করে আশাতীত সাফল্য- মঞ্চে তাদের নাম ঘোষণা করা হয় বিজয়ী হিসেবে। ওয়াকেনে যাওয়ার স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেয়। তারপরেও সংগ্রাম বাকি ছিল- জার্মানি যাওয়ার ব্যবস্থা নিজেদেরই করতে হয়েছে। এ ক্ষেত্রে পরিবারিক সহায়তাই ছিল মুখ্য। জার্মানি পৌঁছানোর পর সেখানে তাদের থাকার ব্যবস্থা করেছিলেন দুই প্রবাসী বাংলাদেশি। দুজনের নামই ফয়সাল। ক্যানভাসের সঙ্গে আলাপে এই দুই ফয়সাল ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান ট্রেইনরেকের সদস্যরা।
ওয়াকেনের মঞ্চে তাদের পারফরম্যান্সের ভিডিও খুব দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে। বাংলাদেশের মেটালপ্রেমীসহ সংগীতবান্ধব মানুষের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠে ট্রেইনরেকের নাম। এত বড় মঞ্চে পারফর্ম করার সুবাদে বিশ্বের মেটাল শ্রোতাদের কাছেও রাতারাতি পৌঁছে যান তারা। বেঙ্গালুরুতে জয়ের পরেই তাদের নিয়ে ফিচার করেছিল রোলিং স্টোন ইন্ডিয়ার মতো বিখ্যাত ম্যাগাজিন। আর ওয়াকেনে বাজানোর পর ট্রেইনরেক নিয়ে প্রতিবেদন প্রচার করে জার্মানির ডিডব-টিভি। এ ছাড়া হামবুর্গে কাইজারকেলার নামের একটি ক্লাবের মঞ্চে পারফর্ম করে ট্রেইনরেক। যেখানে প্রায় ৬০ বছর আগে পারফর্ম করেছিল বিটলস। ট্রেইনরেক মনে করে, জার্মানিতে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে পারফর্ম করতে পারাটা ছিল তাদের সেরা অর্জন। তাদের বিশ্বাস, খুব দ্রুতই তারা কেবল ওয়াকেন ফেস্টিভ্যালে পারফর্ম করতে পারা একমাত্র বাংলাদেশি ব্যান্ড থাকবে না, তাদের দেখানো পথে আরও অনেকে পৌঁছে যাবে ওই স্টেজে, উন্মাতাল লক্ষ দর্শকের সামনে বাংলাদেশকে নতুন করে পরিচিত করাতে।
মাস্টার ডি

মাস্টার ডি

এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বেশ পরিচিত তরুণ শিল্পী মাস্টার ডি। অল্প বয়সে কানাডায় প্রবাসী হওয়া এই শিল্পীর অনুপ্রেরণা ছিলেন মা। ভালোভাবে ইনস্ট্রুমেন্ট বাজাতে শেখা ও পারফর্ম করতে পারার গুরুত্ব কতখানি, সেটা জেনেছেন মায়ের কাছ থেকেই। ক্যারিয়ারে তার প্রথম ব্রেক আসে ‘দ্য বিলজ অ্যান্ড কাশিফ’-এর প্রথম অ্যালবামের ‘টু স্টেপ ভাংরা’র মাধ্যমে। এই ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য ছিলেন মাস্টার ডি। সাফল্যের এই পথ ধরেই তার ক্যারিয়ারে যুক্ত হয় আরও অর্জন। যেমন পাঞ্জাবি র‌্যাপগানের উল্লেখযোগ্য শিল্পী বোহেমিয়ার সঙ্গে ‘টেনশন স্ট্রেস’ শিরোনামের গান করা। সেখানে প্রথমবারের মতো পাঞ্জাবি গানের সঙ্গে বাংলা ভাষা ব্যবহৃত হয়। তা ছাড়া দেশিফেস্ট-এ প্রথম বাংলাদেশি সলো আর্টিস্ট হিসেবে পারফর্ম, ২০১৯ সালে তার করা ‘তুমি যাইও না’ গানটি বছরের জনপ্রিয় ভাইরাল ট্র্যাক হয়ে ওঠা, সম্প্রতি নুসরাত ফারিয়ার সঙ্গে করা ট্র্যাক ‘আমি চাই তোমাকে’-র দেশ ও দেশের বাইরের শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয়তা লাভও তার অর্জনের অংশ।
এই শিল্পী বাংলাদেশের আরবান মিউজিককে আরও পরিণত ও সমৃদ্ধ করার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করছেন। এদিক থেকে বাংলা ভাষায় আরবান মিউজিকের সূচনা তার হাত ধরেই। বিভিন্ন দেশের, স্বতন্ত্র ভাষার শিল্পীদের সঙ্গে নানা ধরনের সংগীত নিয়ে কাজ করার ব্যাপক অভিজ্ঞতা হয়েছে তার। একই সঙ্গে নিজের সংগীতের ‘ডিএনএ’-তে বাংলার উপস্থিতি মাস্টার ডিকে একজন ব্যতিক্রমী শিল্পী হিসেবে বিকাশে সহায়তা করেছে। তিনি ভবিষ্যতে বাংলা ভাষার সংগীতকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিয়ে যেতে চান। পারফর্মিং আর্টিস্ট পরিচয়ের পাশাপাশি মাস্টার ডি প্রডিউসার ও কম্পোজার হিসেবে নিজেকে দেখতে আগ্রহী। উঠতি প্রতিভাবান শিল্পীদের ক্যারিয়ারের অগ্রগতিতে তিনি ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে চান।

ছবি: ক্যানভাস এবং ইন্টারনেট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top