ফিচার I শিল্পীপরম্পরা
পারিবারিক ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে সংগীতচর্চা অব্যাহত রেখেছেন অনেকেই। তাদের মধ্য থেকে ক্যানভাসের আয়োজন এই প্রজন্মের শিল্পীদের নিয়ে
স্পন্দন
১৯৭২ সালে আত্মপ্রকাশ ব্যান্ড স্পন্দনের। নাসির আহমেদ অপু, ফেরদৌস জুনিয়র, আফতাব কামাল, ল্যারি, মুসা, কামাল, হ্যাপি আখান্দ্, কাজী হাবলু, শাহেদুল হুদা, ফেরদৌস ওয়াহিদ, প্রয়াত ফিরোজ সাঁই ও শেখ কামাল ছিলেন এই ব্যান্ডে। আবারও ফিরে এসেছে। তবে বদলে গেছে সদস্যরা। ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের সন্তানেরা মিলে পুনরায় রিলিজ করেছে স্পন্দন ব্যান্ডের অ্যালবাম। ফিরোজ সাঁইয়ের ছেলে রায়হান ফিরোজ নাজিম, রেজওয়ান ফিরোজ নিয়াজ ও রেদওয়ান ফিরোজ নাইম এবং কাজী হাবলুর ছেলে কাজী আনান হচ্ছেন এখনকার স্পন্দন ব্যান্ডের সদস্য। নাজিম আছেন ভোকাল ও পার্কাসন প্লেয়ার হিসেবে। গিটারিস্ট হচ্ছেন নিয়াজ। আনাম ভোকাল ও গিটারিস্ট এবং নাইম ড্রামার।
বাবার সঙ্গে তবলা বাজাতে বাজাতে মিউজিকের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন নাজিম। ক্লাস সিক্স-সেভেনে পড়ার সময়। এরপর ড্রামস বাজানোতে মনোযোগী হন। তবে ১০ বছর ধরে তিনি ফুলটাইম ভোকালিস্ট। গান কম্পোজও করেন। ফিরোজ সাঁইয়ের বড় ছেলে রেজওয়ান ফিরোজ নিয়াজও বাবাকে দিয়ে প্রভাবিত। তবে তার আগ্রহ ছিল পিয়ানোতে। বাবার সঙ্গে স্টেজ পারফর্মও করেছেন। পরে গিটারের প্রতি আগ্রহ জন্মায়। তিনিই এখনকার স্পন্দন ব্যান্ডের লিড গিটারিস্ট। ফিরোজ সাঁইয়ের ছোট ছেলে নাইম। বাবার মিউজিক তাকেও প্রভাবিত করেছে। কিছু আন্ডারগ্রাউন্ড ব্যান্ডের সঙ্গেও কাজ করেছেন তিনি। বর্তমানে স্পন্দনের ড্রামার। কাজী হাবলুর ছেলে আনান। বাবা-মা উভয়েই গান করতেন। সংগীতানুরাগী পরিবারে জন্ম। সেই সূত্রেই মিউজিকের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন তিনি। ছোটবেলায় তবলা শিখেছেন কিছুদিন। পরে একটা আন্ডারগ্রাউন্ড ব্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত হন। পার্কাসনেও দখল আছে তার।
এই চারজন মিলে ২০১৩ সালে স্পন্দনের দ্বিতীয় যাত্রার সূচনা করেন। এখন কী ধরনের মিউজিক করছে স্পন্দন? জানানো হয়, এই ব্যান্ডের গান ছিল ফোক ও রকের মিশ্রণ। সেই ধারা বজায় রাখার পাশাপাশি এই সময়ের ডিফারেন্ট সাউন্ডের গানগুলো নিয়ে আসেন তারা। আনান বলেন, ‘আমরা নতুন গানও বানাচ্ছি। এমন নয় যে শুধু আগের গানগুলোই করছি। কারণ, জেনারেশনের সঙ্গে সঙ্গে সাউন্ড ও ইনস্ট্রুমেন্ট চেঞ্জ হয়েছে। এত বছরে অনেক পরিবর্তন এসেছে। কারণ, ব্যান্ডটা একটা জেনারেশন পার করেছে। এখন এই জেনারেশনের সাউন্ড যে রকম হওয়া উচিত, আমরা সে রকম গান করতেই চেষ্টা করছি।’
ব্যান্ডের কার্যক্রম বিষয়ে রায়হান ফিরোজ নাজিম বলেন, ‘আমরা অলরেডি আমাদের ফার্স্ট অ্যালবাম রিলিজ করেছি। স্পন্দন নাম দিয়ে। চল্লিশ বছরের বেশি সময় পরে এসে। এই অ্যালবামে চারটি পুরোনো গান এবং চারটি নতুন গান আছে। সেগুলো ইউটিউবে আছে। আমরা নেক্সট অ্যালবামের জন্য কাজ শুরু করেছি। সেটা আরেকটু অন্য রকম করব। নতুন নতুন আরও কিছু গান সেখানে থাকবে।’
প্রথম অ্যালবামের মিউজিক মিক্সিং ও মাস্টারিংয়ের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে আনান বলেন, ‘যেটা আমাদের জন্য খুব বড় পাওয়া সেটা হচ্ছে, আমরা গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড উইনার উডি পর্নপিটাকসুককে পেয়েছি। তার সঙ্গে আমরা বাংলাদেশ থেকে যখন যোগাযোগ করেছিলাম, তিনি শুনেই বলেছিলেন, তোমরা চলে এসো। তোমাদের গানে মাস্টারিং করতে আমি খুবই পছন্দ করব। তারপর আমরা সবাই গিয়েছিলাম থাইল্যান্ডে। সেখানে মাস্টারিং হয়েছে। তারপর গত বছরের ৫ আগস্ট আমরা রিলিজ করেছি।’
আরমীন মূসা
বাংলাদেশের একজন প্রথিতযশা নজরুলসংগীতশিল্পী নাশিদ কামাল। তিনি আব্বাসউদ্দীন আহমদের নাতনি। মুস্তাফা জামান আব্বাসী তার চাচা এবং ফেরদৌসী রহমান তার ফুফু। নাশিদ কামালের মেয়ে আরমীন মূসা। ওয়েস্টার্ন গান করেন। কিশোরী বয়স থেকেই গানে ঝুঁকেছেন। তবে বয়সটা যেহেতু ছিল পড়াশোনার, তাই গান গাইতে হতো লুকিয়েই। এই ভুবনে আসার পেছনে পরিবারের ভূমিকার প্রশ্নে আরমীন বলেন, ‘গান শেখার ক্ষেত্রে পরিবারের অবদান অনেক বেশি। তবে প্রফেশনালি গানের লাইনে ঢোকার সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। কারণ, আমি শুরুই করেছি ওয়েস্টার্ন মিউজিক দিয়ে।’
নজরুলের গান কখনো গাওয়া হয়েছে কি না, এই প্রশ্নের জবাবে আরমীন বলেন, ‘গত এক বছরে দুটি নজরুলসংগীতে কাজ করেছি। আমি গান শিখেছি আম্মু এবং আমার গুরু সুজিত মোস্তফার কাছে। কিন্তু আগে প্রফেশনালি নজরুলসংগীত গাইনি। অন্যদের উৎসাহে ওই গান দুটি গাইতে হয়েছে। আম্মুর সঙ্গেও অকেশনালি তিন-চারবার স্টেজে পারফর্ম করেছি।’
এখন প্রায় সব ধরনের গান নিয়েই কাজ করছেন ওয়েস্টার্ন মিউজিকের এই শিল্পী। তিনি বলেন, ‘১৬-১৭ বছর বয়সে ওয়েস্টার্ন মিউজিক দিয়ে শুরু করেছিলাম। ৫ বছর ধরে বাংলাদেশে থাকছি। এখন নজরুলগীতি, রবীন্দ্রসংগীত, ফোক, কনটেম্পরারি- সব ধরনের বাংলাদেশি গান নিয়েই কাজ করছি।’
গানের একটি প্রজেক্ট ছাড়াও বিজ্ঞাপন ও সিনেমার মিউজিক নিয়ে এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন এই কণ্ঠশিল্পী। সংগীত নিয়ে আছে নিজস্ব অভিমত। আরমীন মূসা বলেন, ‘গান তো আসলে শুধু বিনোদনের জন্য নয়। তা একটা দেশের একটা সময়ের একটা পরিস্থিতির ডকুমেন্টেশনেও কাজে দেয়। আমার নানারা ১৯৫২ সালে গান করেছেন বাংলা ভাষার জন্য। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার পরিবারের সদস্যরা স্বাধীনতার জন্য গান করেছেন। তো এন্টারটেইনমেন্ট ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার কোনো উদ্দেশ্যই ছিল না; গান করা ছাড়া। সংগীত এন্টারটেইনমেন্টের একটা অংশমাত্র। আমার গান শুধু মিউজিক ভিডিও বানানোর জন্য নয়। তা আরেকজন মানুষের মন খারাপ দূর করার জন্য। ফেমিনিজমের জন্য। গান কেবল পয়সা কামানোর মাধ্যম নয়, এটা সমাজ বদল করারও মাধ্যম।’
মিউজিক নিয়ে যাদের কাজ, তাদের অনেকেই কোনো একটি নির্দিষ্ট ইনস্ট্রুমেন্ট সম্পর্কে বিশেষ আগ্রহী হয়ে ওঠেন। পছন্দের ইনস্ট্রুমেন্টের প্রশ্নে আরমীন মূসা বলেন, ‘আমাদের মিউজিক ওয়ার্ল্ডে আমরা সব সময় বলি, ইয়োর ভয়েস ইজ ইয়োর ইনস্ট্রুমেন্ট। আমি তো ভয়েস নিয়ে কাজ করি, ভয়েসকে ইনস্ট্রুমেন্ট হিসেবেই দেখি। এটিই আমার পছন্দের ইনস্ট্রুমেন্ট।’
ইউসুফ আহমেদ খান
নজরুলসংগীতশিল্পী ইয়াকুব আলী খান। ‘পাটিওয়ালা’ ও ‘কিরানা’ ঘরানার ওপর তালিম পেয়েছেন। শাস্ত্রীয় ও রাগসংগীতে তার দখল এবং অভিজ্ঞতাও আছে। ‘মিরপুর ঘরানা’ নামে একটি নতুন আঙ্গিকে বাংলা সংগীতের ধরন চালু করেছেন এই শিল্পী। তার ছেলে ইউসুফ আহমেদ খান। ক্যারিয়ার গড়েছেন মিউজিকেই। নিজে গেয়ে থাকেন, সংগীত পরিচালনাও করেন। বাবা-মায়ের কাছেই গানের হাতেখড়ি। খাজা সলিমুল্লাহ মাহবুবের কাছেও তালিম নিয়েছেন। পরিবারের মধ্যে গান শেখার ক্ষেত্রে মায়ের উৎসাহকে এগিয়ে রাখেন এই মিউজিক কম্পোজার। বললেন, ‘ইনফ্লুয়েন্সের ক্ষেত্রে আমার মায়ের অবদানই বেশি। বাবা সংগীতের ব্যাপারে আপোসহীন ছিলেন। শৈশবে আমি ছিলাম ডানপিটে। কিন্তু সংগীত তো ধীরস্থির তালিমের ব্যাপারে। বাবা বহুবার আমাকে বের করে দিতেন গানের ক্লাস থেকে। মা কানমলা দিয়ে ফিরিয়ে আনতেন। মায়ের অবদান সবচেয়ে বেশি। তবে বাবার অবদানও অস্বীকার করার উপায় নেই।’
বাবার সঙ্গে স্টেজ পারফর্ম করার সুযোগ পেয়েছেন একাধিকবার। ‘মুন্সিগঞ্জ, চিটাগং ও ঢাকায় পারফর্ম করেছি। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রেও করেছি বহুবার। ঢাকা ইউনিভার্সিটির হলগুলোতে ক্ল্যাসিক্যাল পারফর্ম করেছি। বাবার সঙ্গে মিলে একই অনুষ্ঠানে নজরুলসংগীত পরিবেশন করেছি অনেকবার’- নিজের কথার সঙ্গে যুক্ত করলেন ইউসুফ আহমেদ খান। জানালেন, গানের চর্চার পাশাপাশি সংগীত পরিচালনা, সুর ও সংগীতায়োজনের ভেতর একটু একটু করে ঢোকার চেষ্টা করছেন তিনি। ইতিমধ্যে তার করা সুরে অনেকেই কণ্ঠ দিয়েছেন। কণ্ঠশিল্পী ঝিলিক, নন্দিতা, ঐশী, আঁচলসহ অনেকেই তার গান করেছেন। চলচ্চিত্রের গানেও কাজ করেছেন। তবে সেসব সিনেমা এখনো মুক্তি পায়নি। তার কম্পোজিশনে গেয়েছেন কণ্ঠশিল্পী আব্দুল হাদীও। সেটি এখনো অপ্রকাশিত।
কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ আরটিভি স্টার মিউজিক অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ইউসুফ আহমেদ খান। তার একটি গান ‘এবার ছুটি পেলে’ চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডের বেস্ট মিউজিক হিসেবে ক্রিটিক চয়েজ এবং পপুলারিটি চয়েজে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিল। তবে তিনি বলেন, ‘আমার জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে বাবা-মা। যে পরিবারে জন্মেছি, মনে হয় না শত জন্মেও কারও ভাগ্যে এমন পরিবারে জন্মানোর সুযোগ হয়।’ বংশপরম্পরায় সংগীতের এই সাধনা অব্যাহত রাখতে চান তিনি। নিজের উত্তরসূরিদেরও দেখতে চান শিল্পের এই ধারায়। তিনি বলেন, ‘পূর্বসূরিরা যে কষ্ট করে আমাদের এ পর্যন্ত এনেছেন, আমাদের উচিত আরও কষ্ট করে সেই জ্ঞানটুকু উত্তরসূরিদের কাছে পৌঁছে দেওয়া। আমার পরবর্তী জেনারেশনও যেন গানে থাকে, সে চেষ্টা আমি করব।’ বাবার উদ্ভাবিত ঘরানা নিয়ে কাজ অব্যাহত রাখাই তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। বলেন, ‘মিরপুর ঘরানা আমার বাবার সারা জীবনের গবেষণা। আমি এই ঘরানা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চাই। বাবার সৃষ্ট বিভিন্ন বন্দিশকে বই আকারে প্রকাশ করব।’
আহমেদ সোরেন
আশির দশকের শেষ ভাগে তৈরি হয় ব্যান্ড নোভা। প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আহমেদ ফজল। তার গাওয়া ‘স্কুল পলাতক মেয়ে’ গানটি এখনো অনেকের পছন্দের প্লে লিস্টে রয়েছে। তার সন্তান আহমেদ সোরেন। তিনিও আছেন মিউজিক নিয়ে। ছোটবেলায় খেলার ছলে বাবার সঙ্গে গিটার নিয়ে নাচানাচি করতে করতেই মিউজিকের হাতেখড়ি বলে জানালেন সোরেন। তাই ঠিক কবে থেকে মিউজিকের সঙ্গে নিজের সংযুক্তি, তার সঠিক দিনক্ষণ চট করে বলতে পারলেন না। মিউজিক প্রডাকশনের সঙ্গে যুক্ত হন ২০১৫ সালে। তার পরিচালিত একটি মিউজিক ব্যবহৃত হয় নাটকে। সেটিই প্রথম কাজ। তবে প্রডাকশনে যাওয়ার আগেও গিটার নিয়ে মেতে থাকতেন। মিউজিকে নিজের পথচলা বিষয়ে সোরেন বলেন, ‘বাবার থেকে উৎসাহিত হয়ে ব্যান্ড করি। আন্ডারগ্রাউন্ডে আমার একটি ব্যান্ড ছিল। তার আগে গিটারিস্ট হিসেবে ভালোই পরিচিতি ছিল। অনেক জায়গায় বাজিয়েছি। পরে আমাদের ব্যান্ড থেকে অ্যালবাম রিলিজ করি। সেখান থেকেই যাত্রা শুরু। ব্যান্ড মেম্বাররা অনেক বছর একসঙ্গে কাজ করেছি। একসময় সবাই আলাদা হয়ে গেছি। পরে আমি ব্যান্ড ছেড়ে মিউজিক প্রডিউসার হই।’
মিউজিক করার ক্ষেত্রে পরিবারের আনুকূল্যকে খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন সোরেন। বলেন, ‘মিউজিকের টেস্ট আসতে পারে পারিবারিকভাবে। গাইডিং আসতে পারে। সবচেয়ে বেশি যা আসে, তা হলো সাপোর্ট। আমি পরিবার থেকে মিউজিক করার সহযোগিতা পেয়েছি। বাবা-মা আমাকে প্রচুর সাপোর্ট দিয়েছেন।’
কম্পোজার হওয়ার কারণে অনেক ধরনের মিউজিক ইনস্ট্রুমেন্ট নিয়ে কাজ করতে হয় সোরেনকে। পছন্দের বাদ্যযন্ত্র গিটার। ছোটবেলা থেকেই গিটারের সঙ্গে তার বেড়ে ওঠা। ‘আমি আমার আইকন ও আইডলকে দেখেছি এই গিটার দিয়েই স্টেজ মাতাতে। বাবাকে বাজাতে দেখেই এই ইনস্ট্রুমেন্টটার প্রতি আমার আগ্রহ জন্মে এবং এটি ভালোভাবে শিখি।’ নিজের কথার সঙ্গে যুক্ত করেন তিনি।
গত দুই বছরে বিভিন্ন নাটকে প্রায় ৫৫টি মিউজিক নিয়ে কাজ করেছেন সোরেন। নিজের সেরা কাজ প্রসঙ্গে বলেন, ‘গত বছর এবং এ বছর কাজল আরেফিন অমি ভাইয়ের সঙ্গে দুটি নাটকে কাজ করেছি। কাউকে যদি আমার সেরা কাজ সম্পর্কে সাজেস্ট করতে হয়, আমি সেই দুটি গানের কথাই বলব। প্রথমটি রয়েছে ‘মুঠোফোনে’। সেটা অভিনেতা আফরান নিশোর নিজের কণ্ঠে গাওয়া ‘এই নীল বর্ষায়’ গানটি। দ্বিতীয়টি হলো সানগ্লাস নাটকের ‘সানগ্লাস অন’। এ দুটি কাজ উপভোগ করতে সাজেস্ট করব।’
সাক্ষাৎকার গ্রহণ : ইফতিখার ইনান
শ্রুতলিখন : লাইফস্টাইল ডেস্ক
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত। তবে আরমীন মূসার ছবিটি রেজাউল হকের সৌজন্যে প্রাপ্ত