সেলিব্রিটি স্টাইল I স্টানিং রকস্টার
স্কুলপড়ুয়া গানপাগল তিন বন্ধুর আড্ডা থেকে নব্বইয়ের সাড়া জাগানো ব্যান্ড ব্ল্যাক। তারপর কিছুদিনের বিরতি। ২০১২ সালে ব্যান্ড ইন্দালো দিয়ে নতুন শুরু। মিউজিশিয়ান জন কবীরের দীর্ঘ বাইশ বছর সময় কেটেছে এভাবেই। গান নিয়ে। কণ্ঠ দেওয়ার পাশাপাশি লিরিক এবং কম্পোজিশনেও তিনি সৃষ্টিশীল। শুধু তা-ই নয়, ছোট পর্দায়ও সপ্রতিভ। ক্যানভাসের স্টুডিওতে এসেছিলেন তিনি। তার মুখোমুখি জাহেরা শিরীন
আপনার ফ্যাশন আইকন?
জন কবীর: ডেভিড বাওয়ি। যদিও আমি তাকে ফলো করি না, বাট আই থিঙ্ক, ফ্রম অল দ্য মিউজিশিয়ানস হি ইজ দ্য মোস্ট গ্লোরিয়াস পারসন টু লুক অ্যাট।
পছন্দের ফ্যাশন ট্রেন্ড?
জন কবীর: স্লিপার, শর্টস আর যেকোনো ধরনের টি-শার্ট।
ওয়্যারড্রোবের এমন একটা পোশাক, যা সবচেয়ে বেশিবার পরা হয়েছে?
জন কবীর: আমি দুই বা তিনটা টি-শার্টই সারা মাস ঘুরেফিরে পরি। বাকিগুলো ওয়্যারড্রোবেই পড়ে থাকে।
আপনার সৌন্দর্যের রহস্য?
জন কবীর: আমার দাড়ি। অনেকেই ভাবে, এটা কালার করানো। কিন্তু তা নয়। একদম আসল।
কাউকে যদি গ্রুমিং টিপস দিতে চান?
জন কবীর: দ্য বেস্ট গ্রুমিং টিপ আই ক্যান গিভ টু এনিওয়ান ইজ জাস্ট বি ইওরসেল্ফ। নো ম্যাটার হোয়াট ইউ আর ওয়্যারিং। অর নট ওয়্যারিং!
বিউটি রুটিনে কী করা হয়?
জন কবীর: আমি চেষ্টা করি প্রতিদিন আট ঘণ্টা ঘুমাতে। রাত ১২টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত। দ্যাটস দ্য বিগেস্ট বিউটি টিপ আই ক্যান গিভ অ্যান্ড আই ফলো।
মাস্ট হ্যাভ বিউটি প্রডাক্ট?
জন কবীর: হেয়ার ক্রিম!!
নিজের চুল নিজে কেটেছেন কখনো?
জন কবীর: এখন কাটি। হা হা
কী সবচেয়ে ভালো রান্না করতে পারেন?
জন কবীর: সেদ্ধ চিকেন। শুধু লবণপানিতে চিকেনটা সেদ্ধ করে নিই। তারপর নান্দোসের সস দিয়ে খেতে হয়। স্বাদ অতটা ভালো নয়, কিন্তু প্রিটি হেলদি। এটাই আমার সিগনেচার ডিশ। হা হা
অপ্রকাশ্য প্রতিভা?
জন কবীর: আই থিঙ্ক আ লিটল বিট অব ইন্টেরিয়র ডিজাইনিং।
কিশোর জনকে কী উপদেশ দিতে চাইতেন?
জন কবীর: জীবনে কিছু বাজে অভ্যাস ছিল, সেগুলো না করলেও হতো!
নিজেকে গুগল করা হয়েছে কখনো?
জন কবীর: হোয়াই উড আই ডু দ্যাট! অনেকেই করে নাকি?
পছন্দের সিনেমা?
জন কবীর: অনেক আছে। একটা বলতে গেলে তো ঝামেলা। আচ্ছা, সিটি অব এঞ্জেলস।
পছন্দের পাখি?
জন কবীর: কাক।
পছন্দের ফুল?
জন কবীর: ফুল তো অতটা পছন্দ করি না। ছোটবেলায় বাসায় শুধু রজনীগন্ধা দেখতাম। ভেবেছিলাম এটাই পৃথিবীর একমাত্র ফুল।
পছন্দের খাবার?
জন কবীর: ডিম ভাজি, ভাত, ডাল।
অপছন্দের খাবার?
জন কবীর: আইসক্রিম।
জীবনে পাওয়া সেরা উপহার?
জন কবীর: জীবনটাই তো উপহার। হোয়েন ইউ আর অ্যাবাউট টু ডাই- তখন বোঝা যায় ব্যাপারটা।
সেরা সারপ্রাইজ?
জন কবীর: পাই নাই মনে হয় এখনো। অথবা এত পেয়েছি যে মনে নাই। যেকোনো একটা হবে।
একটা মিথ্যা বলেন?
জন কবীর: আমি প্লেবয়!
ফার্স্ট ক্রাশ?
জন কবীর: ফার্স্ট না, আমার অলটাইম ক্রাশ ড্রু বেরিমোর।
আপনার রাশি?
জন কবীর: কর্কট।
ডাকনাম?
জন কবীর: সবাই জন নামেই ডাকে।
জীবনে পাওয়া সেরা উপদেশ?
জন কবীর: আমার মা-বাবার কাছ থেকে। ডু হোয়াটএভার মেকস ইউ হ্যাপি। শুধু খেয়াল রাখতে হবে, সেটা করার সময় অন্য কেউ যেন কষ্ট না পায়।
নিজেকে কীভাবে স্মরণীয় রাখতে চান?
জন কবীর: স্মরণীয় রাখতে চাই না। যাদের মনে রাখার তারা মনে রাখবে, ভুলে যাওয়ার হলে ভুলে যাবে।
জীবনে কোনো কিছু রিডু করার অপশন থাকলে কী করতেন?
জন কবীর: স্বাস্থ্যসচেতন হতাম আরও আগে থেকে।
ড্রিম কোলাব?
জন কবীর: ক্রিস কর্নেলের সঙ্গে। কিন্তু যেহেতু তিনি বেঁচে নেই, ড্রিমটা ড্রিমই থেকে গেল।
ইন্ডাস্ট্রির কোন মিউজিশিয়ানের সামনে নার্ভাস লাগে?
জন কবীর: অনেকের নাম আছে, কিন্তু সবচেয়ে বেশি নার্ভাস হয়ে যাই হাসান ভাইয়ের সামনে। আই ডোন্ট নো হোয়াই!
কার গান শুনে বড় হয়েছেন?
জন কবীর: মাইকেল জ্যাকসন।
রেডিওতে যখন প্রথম নিজেকে শোনেন, কোথায় ছিলেন?
জন কবীর: তখন বাংলাদেশে এফএম রেডিও মাত্র চালু হয়েছে। গাড়িতে ছিলাম। আই ওয়াজ প্রিটি এক্সাইটেড।
নিজের করা সবচেয়ে পছন্দের গান?
জন কবীর: সরি। কান্ট আনসার দ্যাট। এভরি সং ইজ ক্লোজ টু মাই হার্ট। দে আর লাইক মাই চাইল্ড।
‘ব্ল্যাক’ ব্যান্ডের পোস্টার এখনো অনেকের কাছেই আছে। আপনার বাসায় কার পোস্টার আছে?
জন কবীর: পার্ল জ্যামের আছে, সাউন্ডগার্ডেনের আছে।
একটা ফিকশনাল ক্যারেক্টার, যার সঙ্গে প্রেম করতে চান?
জন কবীর: দ্য ক্যারেক্টার পেনি ফ্রম অলমোস্ট ফেমাস।
গিল্টি প্লেজার?
জন কবীর: আই লাভ বয় ব্যান্ডস!
আপনি কি আবেগপ্রবণ?
জন কবীর: যথেষ্ট। আমি অভিমানী।
একটা শব্দ যা খুব বেশি বলা হয়?
জন কবীর: ইটজ দ্য ‘এফ’ ওয়ার্ড!
ছোটবেলায় কী হতে চেয়েছিলেন?
জন কবীর: কিছুই না। আমার বাবা-মা শিখিয়েছেন, জীবনে লক্ষ্য থাকা ভালো। কিন্তু এটা হতেই হবে, সেটা করতেই হবে, ব্যাপারটা এমন হওয়া উচিত নয়।
বাসার সবচেয়ে পছন্দের ব্যাপার?
জন কবীর: আমার ফ্যামিলি। আই অ্যাম আ হিউজ ফ্যামিলি পারসন। মা, ভাইয়েরা, আমার মেয়ে (ইটজ আ ডগ) – ওদের জন্যই বাসায় ফিরতে ইচ্ছা করে।
সৃষ্টিকর্তাকে প্রশ্ন করার সুযোগ মিললে কী জানতে চাইবেন?
জন কবীর: প্রশ্ন করব না। কারণ, জানি, উত্তর পাওয়া যাবে না। হা হা
দশ বছর পর নিজেকে কীভাবে দেখতে চান?
জন কবীর: দশ বছর বাঁচব নাকি সেটাই তো জানি না। অত সব চিন্তা করে লাভ নাই!
মডেল: মিউজিশিয়ান জন কবীর
মেকওভার: পারসোনা মেনজস
ওয়্যারড্রোব: ওটু
স্টাইলিং ও কনসেপ্ট: নুজহাত খান
আর্ট ডিরেকশন: দিদারুল দিপু
ছবি: সৈয়দ অয়ন