ফিচার I লোকজ জলযান
সেই বৈঠা আর পালের নৌকা আজকাল দেখা যায় না। নব্বইয়ের দশকে এই বাহন ফিরিয়ে আনার চেষ্টা হয়েছিল। এখন তা জাদুঘর ও পর্যটনের বিষয় হয়েছে
ব্রহ্মপুত্রের জলে ভেসে চলেছে ৯৩ ফুটের বিশাল এক কাঠের জলযান। মালার নৌকার শরীরটা প্রায় এক শ বছরের পুরোনো। মেরামতির ছাপ তাতে। আরিচা থেকে অনেকটা সময় ভাটির পানে এগিয়ে, উজানে চলে যায় কাজীরহাটের দিকে। ব্রহ্মপুত্রের এক খাত থেকে আরেক খাতে যাওয়া আরকি। এতক্ষণ নৌকা চলছিল যান্ত্রিক শক্তিতে। হঠাৎ করেই সেই শব্দ থেমে যাওয়ায় চারদিকে পিনপতন নীরবতা। শীতের শেষ, তাই পানির তোড় নেই তেমন। গেরুয়া রঙের পাল উঠেছে, বাতাসের জোরেই সে চলবে খানিকটা সময়। যান্ত্রিকতার সুবাদে সেটা ধীর মনে হলেও পালের নৌকাই এককালে ছিল দ্রুতগামী। এই জলযান অভিজ্ঞতা দেয় পুরোনো দিনের নৌযাত্রার। বাইরে থেকে প্রাচীন হলেও ভেতরে আধুনিক রিভার ক্রুজের কোনো ব্যবস্থারই কমতি নেই। ছয়টা কেবিন, দুটো লাউঞ্জ, একটা কিচেন রয়েছে। চলে ডে ক্রুজ ছাড়াও ডিনার আর ওভারনাইট ক্রুজ। প্রতি বেলাতেই সেলিম আর সবুর সাহেবের হাতের জাদুকরি ছোঁয়া, পুরো ট্রিপেই থাকে অভিজ্ঞ গাইড ও আনোয়ার হোসেন (সোহেল) সাহেবের আতিথেয়তা, আবদুল মজিদ ও তার সহকারীদের সুনিপুণ নৌ চালনা। চাইলে ছাদে বসে নৌকার দাঁড়ের দায়িত্ব বুঝে নিয়ে ক্ষণিকের জন্য মাঝি হতে পারেন। দুপুরের খাবারের আগে ব্রহ্মপুত্রের জলে ডুব দিয়ে নেওয়া যায়, ধু ধু চরে হেঁটে আসাও যেতে পারে। যাদের কোনো দিন কাঠের নৌকায় চড়া হয়নি, দেখা হয়নি, তাদের জন্য তো অবশ্যই; আর যারা ছেলেবেলার স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে চান নৌকায় চেপে- তাদের জন্যও আদর্শ এই মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে বড় সচল কাঠের নৌকার এই ভ্রমণ। এতে চেপে ঘুরে বেড়িয়েছেন বিখ্যাত লেখক উইলিয়াম ড্যালরিম্পন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, মিডিয়া টাইকুন টেড টার্নারের মতো বিখ্যাত লোকেরা। বিল ক্লিনটনেরও নৌকায় চড়ার কথা ছিল, তিনি না এলেও তার সফরসঙ্গীরা ঘুরে গেছেন। আরও অনেক রাষ্ট্রদূত ও দূতাবাসের কর্মকর্তারা ঘুরেছেন কনটিকের (কনফ্লুয়েন্স অব টেকনোলজি আইডিয়াস অ্যান্ড কালচার) সঙ্গে।
আরেকটু এগিয়ে, সাভারের দিকে, ধলেশ্বরীর পাড়ে। নদীর ধারে বিশালাকৃতির এক সাম্পান আর পানশী। সঙ্গে বাঁধা ছোট এক কোষা। এমনই এক এলাকায় নদীর ধারে ছাউনির নিচে নিবিষ্ট মনে কাজ করে চলেছেন বৈদ্যনাথ চন্দ্র সূত্রধর ও তার ছেলে কার্তিক চন্দ্র সূত্রধর। একটা মালার আর একটা পানশী বানানোর কাজ চলছিল। আরেক পাশে চলছে নৌকার পাল তৈরির আয়োজন। ফরিদপুর-রাজবাড়ী এলাকার পুইয়া কাঠের টুকরো দিয়ে বানানো হচ্ছে নৌকাগুলো- পুরো স্কেল অনুযায়ী, প্রতিটি খুঁটিনাটি বৈশিষ্ট্যসহ। ছোট বলে এর প্রতি অবিচার হয়েছে এমনটা ভাবার কারণ নেই। আড়াই থেকে তিন ফুটের এই নৌকাগুলোকে বলা হচ্ছে রেপ্লিকা। চব্বিশটা রেপ্লিকা দেখিয়ে দিলেন বৈদ্যনাথ। বয়স ৭৫ পেরিয়েছে, কিন্তু স্মৃতিতে ধার কমেনি। বলে গেলেন আরিচা ঘাটে বসে কুষ্টিয়ার এক সওদাগর এবং নগরবাড়ীর আরেক বণিকের জন্য নৌকা বানানোর সব স্মৃতি। মধ্য চল্লিশের কার্তিক চন্দ্র সূত্রধর পানশীতে কাঠ জুড়ছিলেন। আগুনের উত্তাপে কাঠ বাঁকা করতে করতেই বললেন, এসব ছোট নৌকা বানাতে গজাল, পেরেকের মতো প্রায় সব উপকরণই নতুন করে তৈরি করতে হয়েছে। এ পর্যন্ত বানিয়েছেন ৬০ থেকে ৭০ ধরনের নৌকা। এর ভেতরেই ঘুরে আসা হলো সাম্পানের আশপাশে, আর ফ্লিশ ডিওরের অভ্যন্তরে। সাম্পান মেরামতের অপেক্ষায়, পানশী ফ্লিশ ডিওর ধলেশ্বরীর জলে ভাসছে। পাতাম নামের আরেকটি নৌকা নদীর ওপারে রাখা। ফ্লিশ ডিওরও ব্যবহৃত হয় নৌভ্রমণের কাজেই। ২৪ ধরনের রেপ্লিকা দেখতে দেখতেই জানতে চাইলাম, ‘এখন না হয় আপনারা কাজটি করছেন, এরপর এই নৌকার ভবিষ্যৎ কী? আপনার নাতিরা কি নৌকা বানাবে?’ এমন প্রশ্নের জবাবে প্রথমে বৈদ্যনাথ খানিক চুপ করে থাকলেন। প্রায় শোনা যায় না, এমন করে বললেন, ‘হয়তো করবে, হয়তো না। আমার নাতিরা স্কুলে যায়। হয়তো তারা অন্য পেশা বেছে নেবে’- বলেই স্বর স্তিমিত হয়ে এলো তার।
শুরুর নৌভ্রমণের গল্পটি কনটিকের, যাকে পরে সহযোগিতা করেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ফ্রেন্ডশিপ। পরের নৌকার রেপ্লিকা বানিয়ে তিন হাজার বছরের বেশি আগেকার এই জলযান তৈরির কৌশল টিকিয়ে রাখার প্রকল্পটি ফ্রেন্ডশিপের।
১৯৯৪-৯৫ সালের দিকেই বাংলাদেশের নদী নিয়ে কিছু একটা করার পরিকল্পনা ছিল রুনা খানের। সেটিই বাস্তবে রূপ পায় ইভ মাররের এ দেশে আসার ভেতর দিয়ে। ইভ পুরোদস্তুর এক অ্যাডভেঞ্চারার, নাবিক; এয়ার ফ্রান্সে দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন। তিনি একটি রিভার বার্জ নিয়ে চলে এসেছিলেন বাংলার দক্ষিণ দুয়ার- সুন্দরবনে। সেখানকার প্রকৃতি আর নৌকানির্ভর মানুষের জীবনযাত্রা দেখে বিস্মিত হয়েছিলেন, ভেবেছিলেন তিনি বোধ হয় ফিরে গেছেন হাজার বছর আগে। বিশে^র অধিকাংশ জায়গায় এই ধরনের নৌকা যখন জাদুঘরে, সেখানে বাংলাদেশে প্রাচীন এই জলযান এখনো চলছে। তখনই তিনি সিদ্ধান্ত নেন, বাংলাদেশের চেয়ে ভালো আর কোনো জায়গা নেই নদীভিত্তিক ভ্রমণের জন্য। এমন সময়েই পরিচয় হয় রুনা খানের সঙ্গে। আটঘাট বেঁধে নেমে গেলেন দুজনে। ইভের পরিকল্পনা আর রুনা খানের কর্মতৎপরতা- দুয়ে মিলে দাঁড়িয়ে গেল কনটিক, ১৯৯৭ সালে।
তবে শুরুটা এত মসৃণ ছিল না। নৌকায় করে প্রমোদভ্রমণের চল আগে থাকলেও সেখানে বাংলার ঐতিহ্য উপেক্ষিতই ছিল। কাঠের একটা নৌকায় প্রমোদভ্রমণ হবে- এমন পরিকল্পনা নিয়েই মাঠে নামা হয়েছিল। দেশজুড়ে এক বছর ধরে নৌকা খোঁজা হলো। কিন্তু মোটামুটিভাবে চালানো যাবে পরিবর্তন-পরিবর্ধন করে, এমন জলযান কোথাও পাওয়া যায়নি। বোঝা গেল, আটের দশকের নৌকায় বৈঠার বদলে জুড়ে বসা ইঞ্জিন আর কাঠের শরীরের বদলে স্টিল বসানোর সুফল মিলতে শুরু করেছে, তবে ঐতিহ্যের দামে। কাঠের নৌকা চাইলেই আর মিলবে না। বেশ পরে নগরবাড়ীতে একটার খোঁজ মেলে- সেটাই এখন ই-৬১৩। এই নৌকায় প্রথম হালটি লাগানো হয়েছিল ১৯৩০ সালে। স্বাভাবিকভাবেই সেটি আর নেই, তবে এই নৌকাটা চলছে ৯১ বছর ধরে! এটির ইন্টেরিয়র-এক্সটেরিয়র এবং মেরামতে অথেনটিসিটি বজায় রাখতে প্রয়োজন ছিল কে বা কারা নৌকাটি তৈরি করেছিলেন, সেই এলাকার খোঁজ। সন্ধান পাওয়া গেল না। এবার নামতে হলো মিস্ত্রির সন্ধানে। কয়েক মাসের মধ্যেই খোঁজ পাওয়া গেল পাবনা এলাকার বৈদ্যনাথ চন্দ্র সূত্রধর, ভজন চন্দ্র সূত্রধরদের। তারা বংশানুক্রমে এই ধরনের নৌকা বানানোয় সিদ্ধহস্ত ছিলেন। প্রায় দেড় বছর লেগে যায় মালার নৌকাটাকে পছন্দমতো ঢঙে আনতে।
তবে অশনিসংকেত পাওয়া গিয়েছিল মালার মেরামতির সময়েই। সূত্রধর আর কামারদের সঙ্গে কাজ করতে গিয়েই দেখা গেল, তারা জীবনসায়াহ্নে উপনীত। এই প্রজন্ম চলে গেলে তিন হাজার বছরের নৌকা বানানোর শিল্পও হারিয়ে যাবে। তখন ব্যাপারটা কেবল পর্যটকদের জন্য প্রমোদতরী বানানোর মধ্যেই আর আটকে রইল না, ঐতিহ্যবাহী এই শিল্পকে রক্ষার দায়িত্বটাও তারা কাঁধে তুলে নিলেন। এরপর ১৯৯৮ সালে বহরে যোগ হয় ফ্লিশ ডিওর বা সোনালি তীর নামের পানশী। একটা পাতাম আর সাম্পানও রয়েছে, যদিও সেগুলো প্রমোদতরী হিসেবে নয়, বরং প্রদর্শনের জন্যই তৈরি। আরও দুটো ছিল- পালওয়ারি আর বাইচের নৌকা, তবে সেগুলো এখন টিকে নেই।
২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ফ্রেন্ডশিপ। অবশ্য এর মধ্যেই ইভের নিয়ে আসা রিভার বার্জ পরিণত হয়েছে হাসপাতালে, লাইফবয়-ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল নামেই এখন যার পরিচিতি। ফ্রেন্ডশিপ একই সঙ্গে বেসরকারি উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক উদ্দেশ্যমূলক সংগঠনও; যার অনেক কর্মকান্ডের একটি বাংলার নৌকার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও উপাদান সংরক্ষণ করা। কনটিকের প্রমোদভ্রমণের পাশাপাশি কাঠের নৌকার শেষ প্রজন্মের কারিগরদের নিয়মিত চর্চার ক্ষেত্র তৈরির পরিকল্পনা করা হয়। তবে বড় নৌকা বানানো, সেটা রক্ষণাবেক্ষণের খরচ আর স্থান সংকুলান বেশ দুঃসাধ্য। তাই তাদের কাজ ছোট রেপ্লিকায় ফুটিয়ে তোলার কথা ভাবা হয়। তৈরি হলো বড়গুলোর ব্লুপ্রিন্টে আড়াই ফুট-তিন ফুট নৌকা। প্রথমে সূত্রধরেরা রাজি হননি, নিমরাজি হওয়ার পর দেখা গেল, মনমতো হয়নি সেই নৌকা। অনেক অধ্যবসায়, শ্রম, মেধা আর সময় খরচের পর এক সময় বেরোল কাক্সিক্ষত সব রেপ্লিকা। শুধু বৈদ্যনাথই নন, এখন সেখানে কাজ করছেন তার ছেলেরাও- হয়তো তারাও স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন তাদের এই পেশা, আর দক্ষতা ছোট করে হলেও টিকে থাকবে।
নৌকার ঐতিহ্য, তা নিয়ে এত কর্মযজ্ঞ- এসব সাধারণ মানুষের ভেতরে পৌঁছে দিতে নানা ধরনের পরিকল্পনা রয়েছে ফ্রেন্ডশিপের। বড় নৌকাগুলো তৈরির সময়ে তার বিবরণ পুঙ্খানুপুঙ্খ লিখে রাখা হয়েছে। পরিকল্পনা রয়েছে তিন হাজার বছর ধরে প্রায় অপরিবর্তিত নদীর নৌকা আর বিভিন্ন বিদেশি প্রভাবে বদলে যাওয়া সমুদ্রগামী নৌকা নিয়ে দুটো আলাদা বই প্রকাশের। বাংলায় একই সময়ে ১২০ ধরনের নৌকা দেখা যেত, যা অবিশ্বাস্য! ফ্রেন্ডশিপ এনজিও যেসব চর এলাকায় কার্যক্রম পরিচালনা করছে, সেসব স্থানে স্কুলের শিক্ষার্থীদের হাতে মাল্টিমিডিয়া ফোন বেশ সহজলভ্য। তারা বিভিন্ন দেশের ঐতিহ্য সম্পর্কে জানছে, কিন্তু নিজেদের নিয়ে গর্ব করার মতো কিছু আছে কি? এই ভাবনা থেকেই পরিকল্পনা হয় সহজ ভাষায় স্কুলের শিক্ষার্থীদের উপযোগী করে নৌকা নিয়ে বই লেখার। জাতীয় পাঠ্যপুস্তক ও শিক্ষাক্রম বোর্ডেরও আশ্বাস মিলেছে। এখন ইউপিএলের সহযোগিতায় চলছে সম্পাদনার কাজ। আপাতভাবে শিশুশ্রেণি থেকে ক্রমান্বয়ে সপ্তম শ্রেণির বইয়ের কাজ চলমান। ২০১৫ সালে ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ডে-তে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সঙ্গে লালবাগ কেল্লায় নৌকা নিয়ে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল, যেখানে তৎকালীন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এই বইয়ের কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন।
শুধু দেশে নয়, দেশের বাইরেও বাংলার নৌকার জয়রথ ছুটে চলেছে। ক’বছর আগে প্যারিসের মেরিটাইম মিউজিয়ামে চার মাসের একটি বড় প্রদর্শনী হয়েছিল, যেটা সেখানে বেশ সাড়া জাগিয়েছিল। এরপর একটা সি সাইড মিউজিয়ামে তিন মাসের একটি প্রদর্শনীর কথা থাকলেও এতটাই জনপ্রিয় হয়েছিল যে সেটা দেড় বছর স্থায়ী হয়েছিল। এখন লুক্সেমবার্গে একটি ছোট পপ-আপ দোকান রয়েছে, কয়েক মাসের জন্য অনুদানে পাওয়া। সেখানে ফ্রেন্ডশিপের কাজের এলাকার নারীদের তৈরি জামদানি স্কার্ফ থেকে নৌকার রেপ্লিকা- সবই রয়েছে। নিজের দেশের ঐতিহ্যকে ধরে রাখা এবং কতটা উদ্ভাবনের সঙ্গে সেটা সংরক্ষণ করা হচ্ছে- সেসব জরুরি। ফ্রেন্ডশিপের একটা নৌকা যে কিনেছে, সে আসলে ওই নৌকাটার ইতিহাস, গঠন সবই জানছে; যদি কোনো সূত্রধর ইতিহাসের সেই সুতাটা ধরার জন্য না-ও বেঁচে থাকে, নৌকাটাই কালের সাক্ষী হয়ে রয়ে যাবে।
এ ছাড়া ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় রয়েছে নিজেদের একটি নৌকা জাদুঘরের। নকশাও করা হয়েছে। কাজ চলছে বাংলাদেশের জন্য তিন হাজার বছরের পুরোনো নৌকা তৈরির জ্ঞান ও দক্ষতাকে ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের অস্পর্শনীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তকমা লাগানোরও।
২০০৬ সালে ফ্রেন্ডশিপের প্রধান নির্বাহী রুনা খান রোলেক্স অ্যাওয়ার্ড ফর এন্টারপ্রাইজ জিতেছেন এই নৌকার আবির্ভাব ঘটিয়ে। ১৯৯৪-৯৫ সালে যখন ইকো-ট্যুরিজম শব্দটাই অজানা ছিল এ দেশে, তখন তিনি সেটার চিন্তাই কেবল করেননি, হাতে-কলমে দেখিয়েছেন নৌকার মাধ্যমে। এই অহংকার কেবল ফ্রেন্ডশিপেরই নয়, বরং গোটা জাতির।
আল মারুফ রাসেল
ছবি: লেখক, মাসুক উর রহমান, ফ্রেন্ডশিপ