অ্যাডভার্টোরিয়াল I করপোরেট দুনিয়ায় সাফল্যের মন্ত্র
এহসানুর রহমান। সফল করপোরেট ব্যক্তিত্ব। দেশের শীর্ষস্থানীয় রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান রূপায়ণ হাউজিং এস্টেট লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর—হেড অব সেলস। রিয়েল এস্টেট সেক্টরে ২১ বছর ধরে সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন তিনি। দীর্ঘ পথচলায় এই অভিজ্ঞ সেলস পারসোনালিটির রয়েছে অনন্য সব অর্জন। নিজেকে পরিণত করেছেন অনুসরণীয় ব্যক্তিত্বে। করপোরেট দুনিয়ায় যারা নতুন, তাদের জন্য তার এ পথচলা নিঃসন্দেহে এক দারুণ প্রেরণা।
ক্যারিয়ার স্টোরি
মর্যাদাপূর্ণ ক্যারিয়ারের অধিকারী এহসানুর রহমানের করপোরেট জার্নির শুরু ১৯৯০ সালে। সে বছর একটি বাংলাদেশি শিপিং কোম্পানিতে যোগ দেন। ১৯৯৪ সালে সেটি রূপ নেয় মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে। চো ইয়ং লাইন নামের ওই কোম্পানিতে ২০০০ সাল পর্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দেশে-বিদেশে কর্মব্যস্ত দিন কাটান তিনি। নিজেকে প্রমাণ করেন এক দক্ষ ও আদর্শ কর্মকর্তা হিসেবে।
এরপরই কর্মক্ষেত্র পাল্টে নেন এহসানুর রহমান। ২০০১ সালে যোগ দেন রূপায়ণ হাউজিং এস্টেট লিমিটেডে। এখানে শুরুতে তার পদ ছিল জুনিয়র এক্সিকিউটিভ। শিপিং সেক্টর থেকে রিয়েল এস্টেট সেক্টরের মতো একেবারেই ভিন্ন ট্র্যাকে যোগ দিয়ে নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জের ভেতর দিয়ে এগিয়ে যেতে হয় তাকে। এরই মধ্যে ওয়ান-ইলেভেন, শেয়ারবাজারে ধস, করোনা মহামারির দাপটের মতো নানান প্রতিকূল সময়ের নেতিবাচক প্রভাব পড়ে রিয়েল এস্টেট সেক্টরেও। এহসানুর রহমান তার বিচক্ষণতা ও দক্ষতা দিয়ে সেই সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে, নানান চড়াই-উতরাই পেরিয়ে একই সঙ্গে ব্যক্তিগত উন্নয়নের পাশাপাশি নিজের প্রতিষ্ঠানকেও দেখিয়েছেন সমৃদ্ধির পথ। এরই স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির একজন এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর।
অর্জন ও সাফল্যের মূলমন্ত্র
এক প্রতিষ্ঠানে ২১ বছর কাটাতে পারা নিজের সবচেয়ে বড় অর্জন বলে মনে করেন করপোরেট জগতের উদাহরণযোগ্য সফল ক্যারিয়ারের অধিকারী এহসানুর রহমান। তিনি বিশ্বাস করেন, যদি কেউ কোনো প্রতিষ্ঠানের ওনারশিপ অনুভব করে, তাহলে সেই প্রতিষ্ঠানের সাফল্য নিজের ক্যারিয়ারের সাফল্য হিসেবে ধরা দেবে। এটিই এই সফল করপোরেট ব্যক্তিত্বের সাফল্যের মন্ত্র।
শখের ঘড়ি
ঘড়ির কাঁটা ধরে ব্যস্ত সময় কাটাতে হয় একেকজন করপোরেট ব্যক্তিত্বকে। একান্তই অবসর কাটানোর মতো ফুরসত পাওয়া এ সেক্টরে যথেষ্ট ভার। তবু এতটুকু সময় পেলে পরিবার, সহকর্মী ও শৈশবের বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসেন এহসানুর রহমান। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ঘড়ি পরতেও তার ভালো লাগে। শখের তালিকায় আরও রয়েছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পারফিউম। ইতিমধ্যেই এর দারুণ এক কালেকশন তার রয়েছে বলে তিনি জানান।
পেশাগত অভিযাত্রা
বাংলাদেশে রিয়েল এস্টেট সেক্টরে ২১ বছরে এহসানুর রহমান সেলস ফিল্ডে বহু নতুন ও অগ্রগামী আইডিয়ার প্রয়োগ ঘটিয়েছেন। দীর্ঘ এই পথপরিক্রমায় অসংখ্য রিয়েল এস্টেট সেলফ প্রফেশনাল তৈরি করতে পেরে তিনি আনন্দিত। তার অধীনে কিংবা তার ডিপার্টমেন্টে যারা কাজ করেছেন, তাদের কাছে রিয়েল এসেস্ট সেলস ফিল্ডে তিনি হয়ে উঠেছেন যেন এক অনুসরণীয় উদাহরণ ও প্রতীক। পেশাদারি মনোভাবের জায়গা থেকে তিনি মনে করেন, কোনো প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করলে সাফল্য নিশ্চিতভাবেই ধরা দেবে।
নতুন প্রজন্মের জন্য
করপোরেট দুনিয়া মানেই নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জের সামনে পড়া। এহসানুর রহমান তার দীর্ঘ ক্যারিয়ারে একদিকে যেমন একের পর এক পেয়েছেন সাফল্যের দেখা, অন্যদিকে কখনো কখনো ব্যর্থতাকেও কাছ থেকে দেখতে হয়েছে তাকে। নিজ পেশাকে ভালোবেসে, নিজের দায়িত্বের প্রতি সৎ থেকে, কঠোর পরিশ্রম ও মনোনিবেশের মাধ্যমে ব্যর্থতাকে সাফল্যে রূপান্তর করার জাদু দেখাতে পেরেছেন বলেই করপোরেট সেলস সেক্টরে তিনি রীতিমতো এক উদাহরণে পরিণত হতে পেরেছেন। তাই সাময়িক ব্যর্থতায় হতাশ না হয়ে সফল এই করপোরেট ব্যক্তিত্বের দেখানো পথে এগিয়ে গেলে তরুণ প্রজন্মও ছুঁতে পারবে সাফল্যের চূড়া।
লাইফস্টাইল ডেস্ক
ছবি: সংগ্রহ