skip to Main Content

রাশি রসদ I বৃষের বাসনে

বৃষ রাশির জাতক-জাতিকারা স্বভাবতই পরিশ্রমী। ফলে অন্যরা যেসব রোগে সহজেই কাবু হয়ে যান, বৃষেরা তাতে খুব একটা টলেন না। রাশিগতভাবেই এরা যা খান, তা থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পুরোপুরি শুষে নিতে এদের শরীর বেশ পটু। তবু সব রাশির জন্য সব খাবার উপযোগী নয়। যেমন অতিরিক্ত তেল মসলাদার কিংবা খুব বেশি কার্বোহাইড্রেড আছে এমন খাবার এড়িয়ে যাওয়াই বৃষের জন্য নিরাপদ। এমনকি ভারী খাবার ও টক ফলও এ রাশির জন্য অনুপযোগী।
শুক্র গ্রহের জাতক হওয়ায় অনেকেই বলে থাকেন, লবণ খাওয়ায় বৃষ রাশির তেমন কোনো ক্ষতি নেই। এ কথা সর্বাংশে ঠিক নয়। অতিরিক্ত লবণ, চিনি ও তেল—কোনো রাশির জন্যই শুভ নয়।
বৃষ রাশির নারীদের মধ্যে কেউ কেউ একগুঁয়ে স্বভাবের হয়ে থাকেন। তাদের মন থাকে বিক্ষিপ্ত। সব সময় মন খারাপ হয়ে থাকার একটা প্রবণতা লক্ষ করা যায় তাদের মধ্যে। তাই মানসিকভাবে চাঙা থাকতে কিছু খাবার নিয়মিত খাওয়া যেতে পারে। যেমন বাদাম ও চকোলেট। তবে এ রাশির শিশুদের জন্য চকোলেট হিতে বিপরীত হতে পারে। স্বভাবতই শিশুরা চকোলেটের ওপর আগ্রহী এবং এটি বেশি পরিমাণে খেলে দাঁতের সমস্যা হয়। বৃষ রাশির শিশুরা রাশির প্রভাবে খুব সহজেই দাঁতের রোগে আক্রান্ত হয়।
পাশ্চাত্যের জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে বৃষ রাশির জাতকদের প্রধান উপাদান পৃথিবী। ফলে তাদের থাইরয়েড সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই তাদের এমন খাবার খাওয়া ভালো, যাতে থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে থাকে। পাশাপাশি এ মাসে ওজন ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে এ রাশির সবার মনোযোগী হওয়া কর্তব্য।
বৃষ রাশির বয়োবৃদ্ধদের জন্য চলতি মাসে উপাদেয় হবে ক্র্যানবেরি, বিট, ফুলকপি, শসা, পালংশাক, পেঁয়াজ, কুমড়া, বাদাম, বিনস—এজাতীয় খাবারগুলো। এগুলো খেলে জটিল রোগে আক্রান্ত বৃদ্ধদের রোগজনিত ব্যথা কমতে পারে। তবে যাদের পান-তামাক খাওয়ার বদ-অভ্যাস আছে, তাদের ক্ষেত্রে এসব খাবারে কোনো সুফল মিলবে না।
এ রাশির নবদম্পতির জন্য এ মাসে খাবার-দাবারে খুব একটা বিধিনিষেধ নেই। তাই আত্মীয়দের বাড়িতে ঘুরে-ঘুরে কবজি ডুবিয়ে এটা-সেটা খেলে খুব একটা ক্ষতি হবে না, আশা করা যায়। প্রেমিক-প্রেমিকাদের জন্যও মাসটি শুভ। তবে শুক্র গ্রহের দোষ এড়াতে রাস্তার পাশের খোলা খাবার না খাওয়াই ভালো। অন্যথায় পেটের পীড়ায় ভুগতে হতে পারে।
খাওয়ার পাশাপাশি অন্যকে খাওয়ানোতেও বৃষ রাশির নরনারীরা উদারমনা। এ মাসে এই রাশির জাতক-জাতিকাদের বাড়িতে মেহমানের আনাগোনা একটু বেশিই থাকতে পারে। অতিথিরা সৌভাগ্য বয়ে আনবেন। তবে সেই সৌভাগ্য নির্ভর করবে মেহমানকে খাইয়ে সন্তুষ্ট করার ওপর! তাই একটু বাড়তি খরচ হলেও বৃষ রাশির লোকদের উচিত হবে ঠিকমতো অতিথি সেবা করা। এমনকি ভাইয়ে ভাইয়ে দ্বন্দ্ব থাকলেও দাওয়াত করে খাওয়ালে সেই বিবাদ ঘুচে যেতে পারে এ মাসে।
পানি পানের ক্ষেত্রে এ মাসে বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, এ মাসে বৃষের ভাগ্যে যত রোগ আসার আশঙ্কা রয়েছে, সেগুলোর বেশির ভাগই পানিবাহিত। তাই বাসায় থাকলে ফুটিয়ে আর বাইরে থাকলে কিনে বোতলের পানি পান করাই হবে নিরাপদ।

 কুমারিল ভট্ট
ছবি: ইন্টারনেট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top