skip to Main Content

রাশি রসদ I বৃশ্চিকের বাসনে

অল্পতেই রেগে যাওয়া বৃশ্চিক রাশির স্বভাব। তাই মেজাজ শান্ত রাখে এমন খাবার খাওয়া চাই সারা বছর। যেমন চকোলেট, মধু, মরিচ, গ্রিন টি, বাদাম, ডিম, পনির ইত্যাদি। এ রাশির গ্রহ লাল, মানে মঙ্গল। সেখান থেকেই যত বিপত্তি। তবে তাদের এই খিটখিটে মেজাজের লাগাম টেনে ধরতে পারবে পানি। দিনে আট গ্লাস পানি পান করা চাই।
বৃশ্চিক রাশির জাতক-জাতিকাদের মেজাজ ছোটবেলা থেকেই গোলমেলে! তাই বলে অল্প বয়সেই চকোলেট কিংবা পনিরের মতো খাবার বেশি খাওয়া যাবে না। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। এ রাশির নারীর জন্য আয়রন সমৃদ্ধ খাবার উপাদেয়। বিশেষ করে কলিজা, রাজমা, পালংশাক, ডিমের কুসুম, মসুর ডাল, কাজুবাদাম, শিমের বীচি ইত্যাদি।
বৃশ্চিক রাশির প্রতীক বিছা। প্রাণীটি এমনিতে শান্ত স্বভাবের, তবে বিষাক্ত। এই স্বভাব রয়েছে বৃশ্চিক রাশির লোকদের মধ্যেও। তারা অত্যন্ত প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে থাকেন। এ দোষের জন্য তাদের সঙ্গে অন্যদের খুব একটা সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে না। এমনকি ব্যবসা বা চাকরির ক্ষেত্রেও সমস্যা হয়। তাই এ সমস্যা কাটতে যার ওপর মেজাজ বেশ খারাপ হবে, তাকে দাওয়াত করে খাওয়াতে পারেন। সুফল মিলবে। খাবারে মানুষের মন গলে।
মঙ্গলবার এ রাশির জন্য শুভ দিন। কিছু খাবার এ রাশির জন্য শুভ বার্তা বয়ে আনতে পারে। যেমন কলা, কালো চেরি, নারকেল, শসা, বাদাম, ভাপানো সবজি, টমেটো, ফুলকপি, বিনস ইত্যাদি। আসছে শীতকাল। এ সময় প্রচুর সবজি উঠবে। সেগুলো ভাপে রান্না করে খেলে ভাগ্য খুলবে। স্বাস্থ্যও থাকবে ভালো। টমেটোর সঙ্গে এ রাশির ভাগ্য সরাসরি যুক্ত। কারণ, টমেটোর রং লাল। এ রাশির প্রভাবক গ্রহ মঙ্গলও লাল। তা ছাড়া বৃশ্চিকই একমাত্র রাশি, যার জাতক-জাতিকারা নিজেদের ভাগ্যকে খুব দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। তাই সব খাবারে টমেটো রাখার চেষ্টা করা যেতে পারে; বিশেষ করে সস হিসেবে। যদিও বাজারে কিনতে পাওয়া সসের ওপর ভরসা না করাই ভালো। বাসায় বানিয়ে নিলে নিশ্চিন্তে খাওয়া যাবে।
মিলেমিশে থাকার জন্য পরিবারের সবাই সপ্তাহে অন্তত এক দিন ফুলকপির কোনো পদ খাওয়ার চেষ্টা করুন। ফুলকপির ফুলগুলো যেমন একটির সঙ্গে আরেকটি জুড়ে থাকে, সেই বন্ধন তৈরি হবে পরিবারেও। বিশেষ করে এ রাশির মেয়েদের জন্য এই সবজি বেশ উপাদেয়। দলছুট স্বভাবের হওয়ায় বৃশ্চিক নারীদের মন বোঝা দায়! তা ছাড়া তাদের মন বেশ উড়ুউড়ু। তাই নিয়মিত মেডিটেশন তাদের জন্য অত্যন্ত জরুরি। তবে এ সময়ে তাদের খাওয়া চাই হলুদমিশ্রিত দুধ। এ খাবার তাদের মনকে স্থির করবে।
বৃদ্ধ বয়সে বৃশ্চিক রাশির বেশির ভাগ মানুষই রগচটা হয়ে উঠতে পারেন। তাই সেই বয়সে তাদের সঙ্গে বুঝে-শুনে আচরণ করা ভালো। এই রগচটা স্বভাবের কারণে তারা অনেক সময় তাদের ওষুধের কোর্স সম্পন্ন করেন না। পরিবারের অন্যদের সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখা চাই।
এবার আসা যাক চলতি মাসের হিসাবে। এ মাসে বৃশ্চিকের খাদ্যাভ্যাসে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। যারা ডায়েট করছেন, তারা এতে সুফল পাবেন। তবে মাদক এই রাশির ভাগ্যকে দুর্ভাগ্যে পরিণত করে। তাই সৌভাগ্য পেতে চাইলে নেশাজাতীয় দ্রব্য থেকে দূরে থাকা চাই।

 কুমারিল ভট্ট
ছবি: ইন্টারনেট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top