সেলিব্রিটি স্টাইল I পরীমনির পূর্বাপর
একদম পাশের বাসার মেয়েটি থেকে ড্যান্সফ্লোরের ডানা কাটা পরি- সবেতেই সমান পারদর্শী রুপালি পর্দার পরিচিত এ মুখ। সাফল্যের সঙ্গে কাজ করছেন একের পর এক মূলস্রোতের বাংলা ছবিতে। পর্দার মিষ্টি মুখের মেয়েটিকে অন্য রকম সব এক্সপেরিমেন্টাল লুকে তুলে ধরার প্রয়াস করেছে টিম ক্যানভাস। সঙ্গে রইল কথোপকথনের কিছু অংশ
প্রিয় পোশাক?
শাড়ি। একদম ছোটবেলা থেকেই শাড়ির প্রতি আমার অন্য রকম আকর্ষণ। যেকোনো ধরনের শাড়িতেই আমি খুব স্বচ্ছন্দ।
প্রিয় রঙ?
সাদা। এর সুন্দর শুভ্রতায় সবকিছু অনেক হালকা মনে হয়।
প্রথম ক্রাশ?
রনিত রায়। সিরিয়ালে খুব একটা দেখিনি। কিন্তু সিনেমায় তাকে দেখে আমি মুগ্ধ। শেষ ‘কাবিল’ সিনেমায় দেখেছি। খুব ভালো লেগেছে।
নিজের সম্পর্কে সবচেয়ে মজার রিউমার?
নিজের সম্পর্কে শোনা রিউমার আমাকে কখনো আনন্দ দেয়নি। কষ্টও দেয় না।
ব্র্যান্ডপ্রীতি আছে? থাকলে প্রিয় ব্র্যান্ড কোনটি?
তা আছে, কিন্তু আলাদা করে বলার মতো বিশেষ কোনো ব্র্যান্ড নেই পছন্দের তালিকায়।
অপ্রকাশিত প্রতিভা?
আমি কিন্তু ভালো গান গাই।
প্রিয় ভ্রমণের জায়গা?
আমার নানুবাড়ি, বরিশালে। আর দেশের বাইরে চায়নায় ঘুরতে খুব ভালো লাগে।
ব্যাগে কী থাকে সব সময়?
লাইটার। অনেকেই হয়তো অন্য আশঙ্কা করতে পারেন। কিন্তু লাইটার সংগ্রহ করতে আমার ভালো লাগে। তিন শ থেকে সাড়ে তিন শ লাইটার আছে আমার কালেকশনে। এ ছাড়া আমার ব্যাগে চিরুনি আর পারফিউম পাওয়া যাবেই।
প্রিয় সোশ্যাল অ্যাপ?
ফেসবুক। কিন্তু আক্ষেপ একটাই- অনেকেই বন্ধু হতে চাইলেও পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ তো আর আঁটে না ফেসবুকে।
গিল্টি প্লেজার?
মাঝেমধ্যেই রাতে দুধ-ভাত খেয়ে ফেলি আমি। এই অপরাধের মাশুলও দিই নিয়মিত। আধঘণ্টা ধরে হাঁটাহাঁটি করি তারপর।
সবশেষ আপনি কী খেয়েছেন?
চারটা ডিম। তা-ও আবার বড় বড় হাঁসের ডিম। পোচ করা। হা… হা… হা…।
আপনার শখ?
গাছ লাগানো। বাসায় নিজেই বাগান করি আমি। কদিন আগে একটা বরইগাছ লাগিয়েছি বাগানে।
প্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রী?
আলমগীর স্যার, শাবানা ম্যাম, শাবনূর। দেশের বাইরে সুচিত্রা সেন আর হৃতিক রোশন আমার খুব পছন্দ।
কোন ধরনের সিনেমা ভালো লাগে? প্রিয় সিনেমা?
থ্রিলার। প্রিয় সিনেমা ‘ভাত দে।’ ছোটবেলায় আমার দেখে বোঝা প্রথম ছবি এটা। তখন সিনেমাকে সবাই বই বলতো। এটা নিয়ে আমি বেশ ধাঁধায় থাকতাম। ব্যাপারটা আমার নানি তখন আমাকে বুঝিয়ে বলেন। তিনি বলেন, বই যেমন আমরা পড়ে শিখি, সিনেমায় দেখে শেখার, বোঝার ব্যাপার আছে। অনেক কেঁদেছিলাম সিনেমাটা দেখে।
প্রিয় গায়ক-গায়িকা?
ন্যান্সি আপু আর শোয়েব। আমি প্রচুর গান শুনি। সব ধরনের গানই আমার ভালো লাগে। কিন্তু রবীন্দ্রসংগীত আমাকে আলাদাভাবে টানে।
আপনি কি আবেগপ্রবণ?
এটাতে আমি ১০০ তে ১০০। আমার রাগ, হাসি, কান্নায় কোনো মাঝামাঝি ব্যাপার নেই। আমার সব ইমোশনই এক্সট্রিম।
আইডল?
আমার নানু। উনার কাছ থেকে আমি জীবনের অনেক কিছু শিখেছি, জেনেছি। কাজের ক্ষেত্রে শাবানা ম্যাম আর সুচিত্রা সেনের বাইরে আমি যেতেই পারি না।
ছোটবেলায় কী হতে চেয়েছিলেন?
পুলিশ। আমার বাবা পুলিশ ছিলেন, তাই।
ফ্রিজে সব সময় কী থাকে?
প্রচুর চকলেট থাকে। ডাইম চকলেট আমার ফ্রিজ খুললেই পাওয়া যায়। আর মিল্কশেক তো মাস্ট। হোক তা যেকোনো ফ্লেভারের। তবে বাসায় বানানো বাদামের মিল্কশেক আমার খুব পছন্দ।
বাসার সবচেয়ে পছন্দের জিনিস কোনটা?
আমার খাট। পৃথিবীর সবচেয়ে আরামের জায়গা।
পছন্দের শব্দ?
ধুর! এ শব্দটা খুব ব্যবহার করা হয় আমার। আনন্দে, রাগে, দুঃখে- সব সময়। হা… হা… হা…
আজ থেকে দশ বছর পর নিজেকে কীভাবে দেখতে চান?
আমি অনেক গোছালো হলেও পরিকল্পনা করে খুব একটা চলা হয় না। এক বছর পর কী করবো, তারই পরিকল্পনা গুছিয়ে উঠতে পারিনি আমি। দশ বছর তো অনেক দূরে।
জাহেরা শিরীন
স্টাইলিং ও কনসেপ্ট: নুজহাত খান
মেকওভার: পারসোনা
ওয়্যারড্রোব: জিমি
ছবি: সৈয়দ অয়ন