skip to Main Content
আর্কা ফ্যাশন উইক সামার ২০২৪: যখন যা থাকছে

বাংলাদেশের ফ্যাশনকে সর্বস্তরে ছড়িয়ে দিতে আবারও অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আর্কা ফ্যাশন উইক। দ্বিতীয় বছরের প্রথম আসর বসছে বৃহস্পতিবার (১৩ জুন ২০২৪) থেকে রোববার (১৬ জুন ২০২৪)। আর্কা ফ্যাশন উইক সামার ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই মিনিসো শিরোনামে। রাজধানীর ২১১ তেজগাঁও লিংক রোডে অবস্থিত আলোকি কনভেনশন সেন্টারে। সকাল ১১ থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত।

এবারের আয়োজন সাজানো হয়েছে নানা বৈচিত্র্যে। যার মধ্যে থাকছে–

মার্কেটপ্লেস

আর্কা ফ্যাশন উইকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলো মার্কেটপ্লেস। এখানে সমাগম ঘটে বিভিন্ন ফ্যাশন ব্র্যান্ড ও ফ্যাশন উদ্যোক্তাদের, যারা এ দেশে তৈরি ফ্যাশন পণ্য নিয়ে কাজ করেন। মার্কেটপ্লেসে অংশ নেওয়া ব্র্যান্ডগুলো যেন টেকসই বিষয়কে গুরুত্ব দেয়, এটাই তাদের কাছে আয়োজকদের প্রত্যাশা। আর্কা ফ্যাশন উইকের মার্কেটপ্লেসে অংশগ্রহণকারীদের বেশির ভাগই মূলত ক্ষুদ্র উদোক্তা বা ই-কমার্স ও এফ-কমার্স ব্র্যান্ড। কিন্তু এসব ব্র্যান্ডের মূল সমস্যা নিজেদের প্রকাশের সুযোগ সীমিত। এই ব্যবধান দূর করে বাংলাদেশের অনন্য সব স্থানীয় ব্র্যান্ডকে একটি প্ল্যাটফর্ম দেওয়ার চেষ্টা করছে আর্কা ফ্যাশন উইক। অংশগ্রহণকারীরা বস্ফোরাস, ঢাকা, হাউস অফ শুই, লিলিথ, স্ট্রাইডস কো ইত্যাদি আরও অনেক ব্র্যান্ডের সঙ্গে একটি বৈচিত্র্যময় কেনাকাটার অভিজ্ঞতার জন্য সাগ্রহে অপেক্ষা করতে পারেন!

ডিজাইন ল্যাব

এটি একটি ইন্টার‍্যাক্টিভ স্পেস। এখানে যে কেউ নিজস্ব ডিজাইনে পোশাক বা অনুষঙ্গ তৈরি করতে পারেন। ধারণাটি হলো, এখানে যে কেউ আসবেন একটি ক্যানভাস কেনার মতো করে। আর এই ক্যানভাস হলো একটি প্লেইন টি-শার্ট, টুপি, টোট ব্যাগ বা স্কার্ফের মতো পণ্য। সেখানে থাকবে সাতটি স্টেশন। এর যেকোনোটি থেকে তারা ব্লক প্রিন্টিং, স্ক্রিন প্রিন্টিং, হ্যান্ডপেইন্ট, অ্যাপলিকে আর প্যাচওয়ার্কের মতো কোনো না কোনো মাধ্যমে ভ্যালু অ্যাড করে নিতে পারবেন নিজের মত করে। এখানে যেকোনো বয়সীই অংশ নিতে পারবেন। উপভোগ করবেন নিজের সৃজনশীলতার সৌন্দর্য। বলে রাখা ভালো, এটি একটি ডিজাইন ল্যাব; কোনো কর্মশালা নয়। ফলে যে কেউ যেকোনো সময়ে আসতে এবং এখান থেকে যে কেউ একটি পণ্য কিনে নিজের পছন্দমতো যেকোনো স্টেশনে গিয়ে নিজের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে পারেন।

দ্য রানওয়ে

বিভিন্ন ডিজাইনারদের নিয়ে আয়োজিত রানওয়ে চলবে তিন দিন ধরে। প্রতিদিন চার ভাগে অনুষ্ঠিত হবে ফ্যাশন শো। আজরা মাহমুদ, মেহরুজ মুনির এবং আসাদ সাত্তারের তত্ত্বাবধানে সজ্জিত রানওয়ের প্রতিটি সাবধানে নির্বাচন ও পরিচলনার পরিকল্পনা করা হয়েছে। আফসানা ফেরদৌসির তত্ত্বাবধায়নে ডিজাইন স্কুলের শিক্ষার্থীদের তৈরি একটি সংগ্রহ ছাড়াও রানওয়ের র‍্যাম্পে ২৩ জন ডিজাইনার থাকবেন। যাদের মধ্যে কয়েকজন নতুন ও উদীয়মান ডিজাইনারের পাশাপাশি থাকবে দেশীয় ফ্যাশন শিল্পের পথপ্রদর্শকদেরও হাজিরা।

সেমিনার

আর্কা ফ্যাশন উইকের এবারের আসরে নতুন অধ্যায় হিসেবে যোগ হচ্ছে সেমিনার। কেননা, আর্কা ফ্যাশন উইক ফ্যাশনের সমস্ত দিকে নজর দিতে চায়; বিশেষত যেখানে রয়েছে এই শিল্পের নানা সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ। ফলস্বরূপ, বাংলাদেশের ফ্যাশন শিল্পের বিদ্যমান সমস্যা সমাধানের জন্য সেমিনার আয়োজন অপরিহার্য বলে মনে করেছে কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ১৪ জুন দুপুর ২:৪০ থেকে দুপুর ৩:৩০টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য সেমিনারের বিষয়– ‘টাঙ্গাইল তাঁত ভবিষ্যতের বুনন: সমসাময়িক ফ্যাশনে ঐতিহ্যের ভূমিকা’। বক্তা ইউনেসকোর সংস্কৃতি বিষয়ক প্রোগ্রাম অফিসার কিজি তাহনিন; বাংলাদেশ তাঁতশিল্প বোর্ডের প্রকল্প প্রধান মোঃ আইয়ুব আলী; টাঙ্গাইল শাড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রঘুনাথ বাসাক; জাতীয় হস্তশিল্প পরিষদ, বাংলাদেশের (এনসিসিবি) সভাপতি চন্দ্রশেখর সাহা এবং বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউএফটি) ফ্যাশন স্টাডিজ বিভাগের প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক শর্মিলি সরকার। মডারেটর জীশান কিংশুক হক।

১৫ জুন, দুপুর ২:৪০ থেকে ৩:১০টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য সেমিনারের বিষয়– ‘দ্য নিউ ভ্যানগার্ড: বাংলাদেশের আরএমজি সেক্টরে নেক্সট-জেন লিডারশিপের ক্ষমতায়ন’। বক্তা ব্লুচিজ আউটফিটারের প্রতিষ্ঠাতা এবং হোহেনস্টেইন টেক্সটাইল টেস্টিং ইনস্টিটিউট জিএমবিএইচ অ্যান্ড কো-এর আঞ্চলিক পরিচালক ড. মোহাম্মদ কামরুজ্জামান; এভিন্স গ্রুপের পরিচালক শাহ রায়িদ চৌধুরী এবং এক্সপেরিয়েন্স গ্রুপের আমিরার ব্যবস্থাপনা পরিচালক জয়নব মাকসুদ। মডারেটর আসাদ সাত্তার।

‘ফ্যাশন ফরোয়ার্ড: বাংলাদেশের ফ্যাশন শিক্ষার ভবিষ্যৎ গঠন’ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে ১৫ জুন, দুপুর ৩:২০ থেকে ৩:৫০টা পর্যন্ত। মডারেটর শেখ সাইফুর রহমান। বক্তা দেশ গ্রুপ অব কোম্পানিস-এর ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর বিদ্যা অমৃত খান এবং বিইউএফটি’র প্রো ভাইস চেন্সেলর প্রফেসর ড. ইঞ্জিনিয়ার আইয়ুব নবী খান।

একই দিন দুপুর ৩:২০ থেকে ৩:৫০টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য সেমিনারের বিষয়– ‘সমসাময়িক ভোক্তারা আসলে কী চান: খুচরা ক্ষেত্রে ফাঁকি’। বক্তা কে-ক্রাফটের ম্যানেজিং পার্টনার এবং দেশীদশ-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা খালিদ মাহমুদ খান; ফ্যাশন ইনফ্লুয়েন্সার সোবিয়া আমিন; টেপারডের প্রতিষ্ঠাতা রায়ান চৌধুরী। মডারেটর আউমিয়া খন্দকার।

টাঙ্গাইল তাঁত প্রদর্শনী

১৩ জুন বিকেল ৫টায় শুরু হবে এই বিশেষ প্রদর্শনী। আর্কা ফ্যাশন উইকের এ অধ্যায় সাজানো হয়েছে বাংলাদেশের ঐতিহ্যময় টাঙ্গাইল তাঁতকে মাথায় রেখে। সমসাময়িক ডিজাইনে টাঙ্গাইল তাঁতকে অংশীদার করার লক্ষ্যে, আর্কা ফ্যাশান উইক একে অনুষ্ঠানের বিভিন্ন বিভাগে যেমন সেমিনার, ফ্যাশন রানওয়ে এবং প্রদর্শনীতে অন্তর্ভুক্ত করেছে । এই উদ্যোগ সাত জন উদীয়মান শিল্পীকে তাঁত সম্প্রদায়ের সঙ্গে যুক্ত করে একটি সহযোগিতামূলক প্রদর্শনী তৈরি করেছে; যা টাঙ্গাইল তাঁতের গভীর ইতিহাস, বর্তমান শৈল্পিক অনুশীলন এবং ভবিষ্যতের সম্ভাবনাগুলো প্রদর্শন করে। নেতৃত্বে নওশিন খাইর; শেখ সাইফুর রহমান, তাহসিন এন চৌধুরী এবং জুয়েল এ. রবের পরিচালনায় এ উদ্যোগের ফলাফল আর্কা ফ্যাশন উইকের শো ‘২৪-এ প্রদর্শিত হবে। শিল্পীরা হলেন তুলসী রানী দাস, আসিফ ইফতেখার, তানিশা তাসনিম কুয়াশা, অনিকা তাসনিম অনুপ, সারাহ জাবিন, মহোসিন কবির এবং নাজমুন নাহার কেয়া।

কনসার্ট

কনসার্টের আয়োজন রয়েছে আর্কা ফ্যাশন উইক সামার ২০২৪-এর প্রতিদিন শেষ বেলায়; রাত ৮টা থেকে। তাতে ১৩ জুন ফিরোজ জং ও কার্নিভাল; ১৪ জুন মুজা; ১৫ জুন ইন্দালো এবং শেষদিন বিশেষ শিল্পী বা ব্যান্ডের পরিবেশনা উপভোগ করতে পারবেন দর্শনার্থীরা।

ফেস অব বাংলাদেশ

১৩ জুন বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠিত হবে ‘ফেস অব বাংলাদেশ’। এটি এমন একটি মডেলিং প্রতিযোগিতা যা বাংলাদেশের সৌন্দর্য, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের প্রতিনিধিত্বকারী ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে অনুষ্ঠিত হয়। ফেস অব বাংলাদেশ-এর লক্ষ্য বাংলাদেশি মডেলদের বৈচিত্র্য ও প্রতিভা প্রদর্শন করা এবং তাদের মডেলিং ও বিনোদন শিল্পে এগিয়ে যাওয়ার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করা। ফেস অব বাংলাদেশ মূলত দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত এশিয়া মডেল ফেস্টিভ্যালের ‘ফেস অব এশিয়া’ বিভাগের জাতীয় প্রতিযোগিতা। এতে পূর্বের বিজয়ীরা হলেন মেহেদী হাসান পলাশ, শাহেলা মজুমদার নিধি, মারুফ রহমান তন্ময় এবং শিরিন আকতার শীলা– যারা ২০১৯ সালের এশিয়া মডেল ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। হাসনাত জামি ও মরিয়ম দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন, যা ২০২২ সালে এশিয়ান মডেলিং দৃশ্যে দেশের উপস্থিতি আরও ফুটিয়ে তুলেছিল। ২০২৩ সালে বি প্রসাদ এবং ফাবলিহা খান কোরিয়ায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে এই ধারা অব্যাহত রেখেছিলেন । পলাশ ফেস অব এশিয়া ২০১৯ জিতে নিজের চিহ্ন রেখে এসেছেন এবং শীলা শীর্ষ মডেল হয়েছিলেন। এই বছর ফেস অব বাংলাদেশ-এর গ্র্যান্ড ফিনালেতে ৭ জন মেয়ে এবং 8 জন ছেলে প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছেন, যারা সোশ্যাল মিডিয়া আইকন রাফসান শাবাব, স্টাইলিস্ট মাহমুদুল হাসান মুকুল; রানওয়ে ওনার টুম্পা, আজরা মাহমুদ ট্যালেন্ট ক্যাম্পের প্রতিষ্ঠাতা আজরা মাহমুদসহ আরও অনেকের পরিচালিত একটি কঠোর প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। এই প্রতিযোগিতার বিচারকের আসন গ্রহণ করবেন পারসোনার ব্যবস্থাপনা পরিচালক, উদ্যোক্তা এবং সৌন্দর্য বিশেষজ্ঞ কানিজ আলমাস খান; ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি ইনসাইডার, হেরিটেজ টেক্সটাইল এক্সপার্ট এবং হাল ফ্যাশন (প্রথম আলো) কনসালট্যান্ট শেখ সাইফুর রহমান; প্রাক্তন মডেল এবং বাংলালিংকের ব্র্যান্ড ও যোগাযোগ পরিচালক উরফি আহমেদ; এশিয়া মডেল ফেস্টিভ্যালের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা পরিচালক রাউলেন লি; কুহু প্লামন্দন; জুরহেরহেমের ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর মেহরুজ মুনির; আর্কা স্টুডিও এবং আর্কা ফ্যাশন উইকের প্রতিষ্ঠাতা আসাদ সাত্তার; মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০১৯ শিরিন আকতার শীলা। বিজয়ীরা অক্টোবর মাসে দক্ষিণ কোরিয়া ভ্রমণ করবেন ফেস অব এশিয়া ২০২৪, রোড টু গ্যাংওন ল্যান্ডের জন্য।

বলে রাখা ভালো, আর্কা ফ্যাশন উইক প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয় ২০২৩ সালের ২৬ থেকে ২৮ অক্টোবর। তাতে উপস্থিত হয়েছিলেন সাত হাজার দর্শনার্থী, যাদের অধিকাংশই তরুণ প্রজন্মের। গতবারের মতো এবারও আর্কা স্টুডিও ডিজাইনার ও ব্র্যান্ডদের সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

আর্কা ফ্যাশন উইকের মূল উদ্দেশ্য পোশাক রপ্তানিকারক থেকে ফ্যাশন রপ্তানিকারক দেশে বাংলাদেশের উন্নীত হওয়ার প্রক্রিয়াকে ত্বরাণ্বিত করা। পাশাপাশি আমাদের সংস্কৃতিকে বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে বাংলাদেশি ব্র্যান্ড ও রিটেইল লেবেলগুলোর সাফল্যে অবদান রাখা। আর্কা বিশ্বাস করে, আমাদের ফ্যাশন এবং টেক্সটাইল শিল্পের এই বিবর্তন বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিকে আরও উন্নত করতে সাহায্য করবে।

আর্কা ফ্যাশন উইক সামার ২০২৪-এর পার্টনারগুলোর মধ্যে রয়েছে– পাওয়ার্ড বাই মিনিসো; লাক্সারি ভেহিকল পার্টনার অডি; ব্যাংকিং পার্টনার প্রাইম ব্যাংক; ফ্যাশন পার্টনার আমিরা অ্যাপেয়ারেল, বাংলাদেশ দৃপ; ব্যাকস্টেজ পার্টনার সানসিল্ক; পৃষ্ঠপোষক সান, কনা ক্যাফে, সিএএফ, দানিয়া, ইগলু আইসক্রিম, ইভিভা ইতালিয়ান রিস্তোরান্তে; হাইড্রেশন পার্টনার ব্লু; সান প্রটেকটর পার্টনার আমলিন স্কিন; মিডিয়া পার্টনার ক্যানভাস ম্যাগাজিন, দ্য ডেইলি স্টার লাইফস্টাইল, দ্য ফ্রন্টপেজ, ক্যাবলগ্রাম, চ্যানেল ২৪; অ্যাসোসিয়েট পার্টনার লাউডওয়ার্কস, ব্লিটজ, আজরা মাহমুদ ট্যালেন্ট ক্যাম্প, আলোকি, ই কিউব প্রোডাকশনস, ডাক পিয়ন ডিজিটাল, পারসোনা, আর্কা স্টুডিও, হাল ফ্যাশন, আইস টুডে।

  • ক্যানভাস অনলাইন
    ছবি: ছবি: আর্কা ফ্যাশন উইক-এর সৌজন্যে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top