চিকিৎসাবিজ্ঞানে এক্স-রে তথা রঞ্জনরশ্মির ভূমিকা অপরিসীম। ১৮৯৫ সালে উইলহেম রনজেন এই রশ্মি আবিষ্কার করেন। এক্স-রে হচ্ছে ক্ষুদ্র তরঙ্গদৈর্ঘ্যবিশিষ্ট একধরনের তাড়িত চৌম্বক বিকিরণ। সাধারণ আলোর চেয়ে এর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য অনেক কম বলে এটি দর্শন অনুভূতি সৃষ্টি করতে পারে না।
এক্স রে-এর মাধ্যমে শরীরের অভ্যন্তরীণ অবস্থা সম্পর্কে একটি দৃশ্যমান চিত্র দেখতে পান চিকিৎসকেরা। সেই চিত্রের হেরফের দেখেই রোগ নির্ণয় করেন তারা। তবে আবিষ্কারের পর থেকে এখন পর্যন্ত এ রশ্মি দ্বারা সৃষ্ট ছবিগুলো কেবল সাদাকালো ও দ্বিমাত্রিকই ছিল। কিন্তু এখন সাদাকালোর ও দ্বিমাত্রিক এক্স-রের দিন শেষ।
প্রযুক্তির অবদানে এখন থেকে রঙিন এক্স-রে দেখা যাবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে। পাশাপাশি ত্রিমাত্রিক এক্স-রেও মিলবে এখন থেকে।
রঙিন ও ত্রিমাত্রিক এক্স-রের এর আবিষ্কারক নিউজিল্যান্ডের কয়েকজন বিজ্ঞানী। দ্য নিউইয়র্ক টাইমস তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইউরোপের সার্ন ফিজিকস ল্যাবের কন গবেষক মিলে রঙিন ও ত্রিমাত্রিক এক্স-রে প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন। বিজ্ঞানীরা এটি আবিষ্কার করেছেন পার্টিকেল ট্র্যাকিং টেকনোলজির সাহায্যে নিয়ে। হিগস-বোসন কণার অনুসন্ধানকারী বিখ্যাত লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডারের সাহায্যেই চিকিৎসাবিজ্ঞানে যুক্ত হয়েছে নতুন এ আবিষ্কার।
সার্ন জানিয়েছে, এখন থেকে এর মাধ্যমে আরও পরিষ্কার ও নিখুঁত ছবি পাওয়া যাবে। ফলে রোগনির্ণয় আরও সূক্ষ্ম হবে।
গবেষকেরা বলেছেন, আগে চিকিৎসাবিজ্ঞানে দ্বিমাত্রিক এক্স-রে করে দেহের অস্থি বা পেশির যে ছবি পাওয়া যেত, তার চেয়ে আরও নিখুঁত ও চকচকে এক্স-রে চিত্র পাওয়া যাবে নতুন এই পদ্ধতিতে। হাড়ের ক্যানসারের চিকিৎসা করতে রঙিন ও ত্রিমাত্রিক এক্স-রে যুগান্তকারী ভুমিকা পালন করবে বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা।