পৃথিবীতে যত রত্ন আছে, তার মধ্যে সবচেয়ে মূল্যবান হচ্ছে হীরা। এটি বিশুদ্ধ কার্বন থেকে সৃষ্টি হয়ে থাকে। পৃথিবী থেকে প্রতিবছর প্রায় ২৬০০০ কেজি খনিজ হীরা উত্তোলন করা হয়। যার মূল্য প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলারের বেশি।
ভারতবর্ষের মানুষ ৬ হাজার বছর ধরে হীরার সঙ্গে পরিচিত বলে ধারণা করা হয়। মাটির প্রায় ১৪০ থেকে ১৯০ কিলোমিটার নিচে পৃথিবীর কেন্দ্র ও আবরণের মাঝখানে প্রচণ্ড তাপ ও চাপের কারণে হীরা গঠিত হয়। গঠিত হতে সময় লাগে ১ থেকে ৩.৩ বিলিয়ন বছর। গবেষকদের মতে, সকল হীরাই যে পৃথিবীতে সৃষ্টি হয়েছে তেমন নয়, পৃথিবীতে এমন অনেক হীরা পাওয়া গেছে, যা পৃথিবীর বাইরে থেকে পৃথিবীতে এসেছে।
হীরার মূল্য নির্ভর করে মূলত এর রঙ, কীভাবে কাটা হয়েছে, এটি কতটা স্বচ্ছ এবং এর ক্যারেটের উপর। স্বর্ণের ক্ষেত্রে ক্যারেটকে বিশুদ্ধতার একক ধরা হলেও রত্নপাথরের ক্ষেত্রে ক্যারেট হচ্ছে ভরের একক। এ ক্ষেত্রে ১ ক্যারেট সমান দুই শ মিলিগ্রাম।
এবার বিজ্ঞানীরা এত পরিমাণ হীরার সন্ধান পেয়েছেন, যা মানুষের কল্পনাকেও ছাপিয়ে যায়। যার পরিমাণ কোয়াড্রিট্রিলিয়ন টন! এ পরিমাণ বিলিয়ন-ট্রিলিয়ন টনের চেয়েও অনেক বেশি। তবে সেই হীরা উদ্ধার করা সহজ কাজ হবে না বলে জানিয়েছেন অনুসন্ধানকারীরা।
যুক্তরাষ্ট্রের এমআইটির গবেষকেরা সম্প্রতি সিসমিক জরিপ করে এ হীরার সন্ধান পেয়েছেন। তারা বলছেন, বিপুল পরিমাণ এ হীরা আছে ভূপৃষ্ঠের ৯০ থেকে ১৫০ মাইল গভীরে। অংকের হিসাবে কোয়াড্রিট্রিলিয়ন টন বা এক ট্রিলিয়ন টনের ১,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০ গুণ বেশি হীরা রয়েছে সেখানে।
বর্তমান প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভূপৃষ্ঠের এত গভীরে থেকে হীরা উত্তোলন করা সম্ভব নয়। তবে ভবিষ্যতে হয়তো উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারে সে হীরাও উত্তোলন করা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন গবেষকেরা।


I m a discuverar of Bangladesh diamond mine
I m a discuverar of Bangladesh diamond mine from Camilla