বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রোগের তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে ভিডিও গেমের আসক্তি। বিশেষজ্ঞরা ইলেকট্রনিক গেমের মধ্যে আসক্তির ঝুঁকি শনাক্ত করেছেন। ফলে ডব্লিউএইচওর ইন্টারন্যাশনাল ক্ল্যাসিফিকেশন অব ডিজিজের (আইসিডি) ১১তম সংস্করণে এটি স্থান পেতে চলেছে। সম্প্রতি জেনেভায় অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে বিষয়টি উত্থাপন করেন ডব্লিউএইচওর মুখপাত্র তারিক জাসারেভিক। সংস্করণটি প্রকাশিত হচ্ছে চলতি বছরের জুলাইয়ে।
ডব্লিউএইচওর বিশেষজ্ঞদের মতে, গেমিং ডিজঅর্ডার হলো ভিডিও গেমিংয়ের প্ল্যাটফর্মের একটি আচরণগত বৈশিষ্ট্য। যা মানুষের অন্যান্য কাজের তুলনায় গেমকে বেশি প্রাধান্য দেয়। নেতিবাচক প্রভাব পড়ার পরও তা চালিয়ে যায়। তারিক জাসারেভিক বলেন, কেউ যদি এক বছর ধরে গেমিংয়ে অস্বাভাবিক আকর্ষণবোধ করে থাকে, তবে তাকে ডিজঅর্ডারে আক্রান্ত বলে ধরে নিতে হবে।
সম্প্রতি গেমিং ডিজঅর্ডারে আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে দি আমেরিকার জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন এক সার্ভে প্রকাশ করেছে। গবেষকেরা সেখানে উল্লেখ করেছেন, যেসব শিশু প্রতিদিন ভিডিও গেম খেলে, তারা অন্য শিশুদের তুলনায় প্রতিদিন গড়ে অতিরিক্ত ১৬৩ কিলোক্যালরি গ্রহণ করছে। এতে তারা মোটা হচ্ছে। বাড়ছে রোগের ঝুঁকি।