skip to Main Content

পরিবেশ সুরক্ষায় সচেতনতা বৃদ্ধিতে, ‘কুমারিকা সেভ দ্য নেচার’ উদ্যোগের অধীনে সম্প্রতি মিরপুরে জাতীয় চিড়িয়াখানায় অনুষ্ঠিত হয়েছে কুমারিকা ও গার্বেজম্যান-এর যৌথ চিড়িয়াখানা পরিষ্কার কার্যক্রম।

গত ২০ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ২০ জন স্বেচ্ছাসেবক, গার্বেজম্যান-এর ৫ জন কর্মী এবং ১০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীর অংশগ্রহণে এই কার্যক্রম পরিচালিত হয়। কার্যক্রমের মাধ্যমে চিড়িয়াখানার বিভিন্ন প্রাঙ্গণ থেকে প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ এবং তা যথাযথভাবে পৃথক ও রিসাইকেল করার ব্যবস্থা করা হয়।

হেমাস গ্রুপের একটি দায়িত্বশীল ব্র্যান্ড ‘কুমারিকা’ বরাবরই প্রাকৃতিক যত্ন নিয়ে কথা বলে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে পরিবেশ সংরক্ষণে ‘কুমারিকা সেভ দ্য নেচার’ উদ্যোগ। অক্টোবর ২০২৩ থেকে অক্টোবর ২০২৪ পর্যন্ত এই উদ্যোগের মাধ্যমে মোট ১১৬৬টি বাড়ি, বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এবং ইভেন্ট মিলিয়ে মোট ১৪,২৪২ কেজি প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এই প্লাস্টিকগুলোর মধ্যে পানির বোতল এবং জুসের বোতল রিসাইকেল করে পলিয়েস্টার স্টেপল ফাইবার তৈরি করা হয়, যা থেকে সুতা ও কাপড় তৈরি করা হয়। শ্যাম্পুর বোতল, প্লাস্টিকের মগ-বালতি ইত্যাদি রিসাইকেল করে প্লাস্টিক লাম্বার তৈরি করা হয়, যা কাঠের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যায়। চিপসের প্যাকেট এবং পলিথিন ব্যাগ পুনর্ব্যবহার করে গবাদি পশুর খামারের জন্য বিশেষ ফ্লোর ম্যাট তৈরি করা হয়।

কুমারিকা ও গার্বেজম্যান-এর যৌথ উদ্যোগে এই চিড়িয়াখানা কর্মসূচি নিয়ে হেমাস কনজ্যুমার ব্র্যান্ডস বাংলাদেশ-এর হেড অব মার্কেটিং, তুষার কর্মকার বলেন: “হেমাস পণ্যের মাধ্যমে ভোক্তাদের কাছে প্রাকৃতিক যত্ন পৌঁছে দেয়ার পাশাপাশি, প্রকৃতির যত্ন নেয়ার বিষয়ে সব সময়ই সচেতন। কুমারিকা ‘সেভ দ্য নেচার’ উদ্যোগটি পরিবেশের সুরক্ষায় হেমাস-এর সুদূরপ্রসারী চিন্তারই প্রথম ধাপ। তারই অংশ হিসেবে এই চিড়িয়াখানা পরিচ্ছন্ন কর্মসূচি, জনসাধারণকে প্রকৃতির যত্নে এগিয়ে আসতে উদ্বুদ্ধ করবে এবং নিজেদের ঘর, শহর ও দেশকে সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন রেখে একটি বাসযোগ্য পরিবেশ বজায় রাখতে উৎসাহ জোগাবে।”

শুধুমাত্র প্রাকৃতিক উপাদান দিয়েই মানসম্মত পণ্য তৈরি ও সরবরাহের সাথে সাথে সামগ্রিকভাবে প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণে ‘কুমারিকা’র দীর্ঘমেয়াদি দায়বদ্ধতার একটি অগ্রসর মাইলফলক এই ‘কুমারিকা সেভ দ্য নেচার’। প্রাথমিকভাবে ঢাকায় শুরু হলেও ধীরে ধীরে এই কার্যক্রমটি দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া হবে। ‘কুমারিকা’ আশা করে— প্রকৃতিকে রক্ষা করার এই অভিযান, সকলের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় আরো ব্যাপকভাবে বিস্তৃত হবে এবং সামনের দিনগুলোতে সবাইকে আরো সচেতন করে তুলবে।

ফুয়াদ/ক্যানভাস অনলাইন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top