চলে গেলেন কিংবদন্তিতুল্য কণ্ঠশিল্পী লতা মঙ্গেশকর। উপমহাদেশের সংগীতের এই মহাতারকার কর্মময় পথচলা শেষ হলো ৯২ বছরে। রোববার সকাল ৮টা ১২ মিনিটে মধ্য মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে তিনি মারা যান। টাইমস অব ইন্ডিয়া, হিন্দুস্তান টাইমসসহ বেশ কিছু ভারতীয় গণমাধ্যম তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
জানুয়ারির শুরুতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকর। ছিলেন আইসিইউতে। একসময় কোভিড নেগেটিভ হলেও পরে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন। এরপর চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছিলেন। তার শারীরিক অবস্থার উন্নতিও হয়েছিল। একসময় ভেন্টিলেশন সাপোর্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়। আশার আলো দেখছিলেন চিকিৎসকেরা। তবে শনিবার লতা মঙ্গেশকরের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়।
‘এশিয়ার নাইটিঙ্গেল’খ্যাত এই শিল্পীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোকের ছায়া নামে ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন মহলে। বিনোদনজগতের সংশ্লিষ্টরা ছাড়াও প্রবাদপ্রতিম এই গায়িকার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাজনীতিবিদ, খেলোয়াড়সহ নানা জগতের মানুষ।
সাত দশক ধরে দর্শক ও সমালোচকের হৃদয় তৃপ্ত করে চলা ভারতীয় সংগীতের এই কিংবদন্তি ১৯২৯ সালে ভারতের ইন্দোরে জন্মগ্রহণ করেন। ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ১৯৪২ সালে, মারাঠি গান গেয়ে। ১৯৪৬ সালে তিনি প্রথম হিন্দি সিনেমার জন্য গান করেন।
২০০১ সালে লতা মঙ্গেশকর ভারতের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ভারতরত্ন পান। ১৯৮৯ সালে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৯ সালে তার ৯০তম জন্মদিনে ভারত সরকার ‘ডটার অব দ্য নেশন’ উপাধিতে ভূষিত করে।