বুদ্ধি মানুষের মানসিক সম্পদ। আমাদের আশপাশে নানান বুদ্ধিবৃত্তিক মানুষ রয়েছেন। কারও বুদ্ধি বেশি কারও কম। কারও স্থূল বুদ্ধি কারও আবার তীক্ষ্ণ বুদ্ধি। বুদ্ধির উপস্থিতি একটি মানুষকে চালাক অথবা বোকার তকমা দেয়। বুদ্ধিতে শাণ না দিলে ধীরে ধীরে কমতে পারে। পাশাপাশি প্রয়োজন কিছু খাবার, যা বুদ্ধির বাড়াতে কাজে লাগে। আসুন, জেনে নিই সেই খাবারগুলো।
তুলসী পাতা: বাড়ির উঠানে বা বাগানে এমনকি ঝোপঝাড়ে সহজেই চোখে পড়ে এ গাছটি। মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে তুলসী পাতা দারুণ কাজে দেয়। তুলসী পাতা খেলে সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কে অক্সিজেনপূর্ণ রক্তের সরবরাহ বেড়ে যায়। ফলে কগনিটিভ ফাংশনে উন্নতি ঘটতে সময় কম লড়ায়।
অশ্বগন্ধা: বুদ্ধিমত্তা বাড়াতে অশ্বগন্ধা খুব কার্যকর ভূমিকা রাখে। অশ্বগন্ধায় উপস্থিত একাধিক উপকারী উপাদান, যা মস্তিষ্কের কোষের কাজের পরিমাণকে বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায় এবং বুদ্ধির তীক্ষ্ণতা বাড়ে। পাশাপাশি মস্তিষ্কজনিত বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে অশ্বগন্ধা উপকারে আসে।
জায়ফল: জায়ফল সাধারণত বিরিয়ানিতে মসলার কাজ করে। কিন্তু এর কিছু উপকারিতা রয়েছে। এক গবেষণায় জানা গেছে, জায়ফল মস্তিষ্কের কোষ সুস্থ রাখে।
হলুদ: হলুদ একটি পরিচিত মসলা। প্রতিদিন রান্নায় হলুদ থাকেই। এই মসলায় এমন কিছু উপাদান আছে, যা মস্তিষ্কের কাজ করার ক্ষমতা বাড়ায়।
লবঙ্গ: মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তায় লবঙ্গ কাজে আসে। পাশাপাশি সার্বিকভাবে মস্তিষ্কের উন্নতি ঘটায়। বুদ্ধির বৃদ্ধি ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখে।
দারুচিনি: মস্তিষ্কের পাশাপাশি শরীর সুস্থ রাখতেও এ মসলা বেশ কার্যকর। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে এটি অতুলনীয়। নানা রকম নিউরোলজিক্যাল সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে দারুচিনির তুলনা হয় না। পাশাপাশি নার্ভাস সিস্টেমকে দারুচিনি পর্যাপ্ত ভিটামিন সরবরাহ করে। মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায়।

