skip to Main Content

নখদর্পণ I উৎসবে মানানসই

কিন্তু পোশাক আর লুকের সঙ্গে কো-অর্ডিনেশনে ঝক্কি কম। ভার্সাটাইল বলেই তো

১০ দিনের ছুটিতে ২০টি আউটফিট। ঈদের ছুটি মানে কিন্তু তা-ই! ড্রেসের সঙ্গে মিলিয়ে হওয়া চাই জুতা, ব্যাগ, ঘড়ি, হেয়ার অ্যাকসেসরিজ; এমনকি নেইল পেইন্টও। নইলে ঈদের আনন্দটাই যেন ম্লান। তবে ম্যাচিং-ম্যাচিংয়ের এই যাত্রায় নখের স্বাস্থ্যের দিকে না তাকালে পরে ডার্মাটোলজিস্টের কাছে গুনতে হতে পারে মোটা অঙ্কের টাকা। তাহলে স্টাইলের সঙ্গে সমঝোতা, নাকি যা হওয়ার হোক, দেখে নেওয়া যাবে মনোভাব? উপায় কী।
এই ঈদে নেইল পেইন্ট হবে এমন, যা মানানসই সব আউটফিটের সঙ্গেই। ভার্সাটাইল নেইল কালার বাছাই খানিকটা কঠিন হলেও একেবারে অসম্ভব কিছু নয়। বোল্ড কিন্তু উৎসব উপযোগী ওয়ার্ম টোনের সংমিশ্রণে মেনিকিউর হতে পারে ঈদ গো-টু লুকেরই একটি অপরিহার্য অংশ। সপ্তাহজুড়ে সাজপোশাক তো রেডি, এবার পালা নখগুলোকে উৎসবের রঙে রাঙানোর।
পার্ল নেইল
না, নখে মুক্তা বসাতে হবে না! মিনিমাল পার্ল ইন্সপায়ার্ড কালারে নখগুলোকে রাঙিয়ে নিলেই দেখতে বেশ লাগবে। মুক্তার রং যেহেতু গোলাপি, সোনালি, রুপালি বা হালকা নীলাভ হয়; তাই নখগুলোকে একটু ক্রিমি টোনে রাঙিয়ে নিলেই সব আউটফিটের সঙ্গে সহজে মানিয়ে যাবে এই নেইল কালার। কোনো বাড়তি ঝামেলা ছাড়াই দেশি কিংবা ওয়েস্টার্ন আউটফিটের সঙ্গে মানানসই এই মেনিকিউর করে নিতে পারেন ঈদের আগেভাগেই।
মডার্ন মোকা মুজ
মোকা কফি কিংবা মুজের মতো শীতল এই রং। মানিয়ে যায় সব স্কিন টোনে। পৃথিবীজুড়ে নেইল আর্টিস্টরা তাদের ক্লায়েন্টদের সাজাচ্ছেন প্যান্টোনের সেরা রং বাদামি আর অফ হোয়াইটের টোনে। এগুলো একদিকে যেমন জানান দেয় ওল্ড মানি কালার প্যালেট, অন্যদিকে মানিয়ে যায় সব পোশাকের সঙ্গে। ক্রিম কালারের বেইজ কোটিংয়ে গ্লেজি ভাব দিয়ে, হালকা নেইল পেইন্ট প্রয়োগের মাধ্যমে তৈরি হয় আলটিমেট নেইল লুক। মডার্ন শিক লুককে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই এই মেনিকিউর স্টাইলের কাজ।
নখের আগায় ক্রোম
ফ্রেঞ্চ মেনিকিউর মানিয়ে যায় সব সাজে, সব পোশাকের সঙ্গে, তবে এর সঙ্গে নখের টিপে একটু ফিউচারিস্টিক ডিজাইন জুড়ে দিলে মন্দ কি? ফ্রেঞ্চ মেনিকিউরে ফিউচারিস্টিক ভাব আনতে ব্যবহার করা যেতে পারে সোনালি, রুপালি, ব্রোঞ্জ ও মেটালিক কোনো একটা রং। গ্লেজি বোল্ড ভাইবে যোগ হবে আভিজাত্যের ছোঁয়া।
গ্লিটারি রেইনবো
ওয়্যারড্রোবে হরেক রঙের জামা, আর নখে থাকবে রংধনুর ছোঁয়া। বেশ মানিয়ে গেল! শত শত নেইল পেইন্টে খরচা না করে নখ সাজিয়ে নেওয়া যেতে পারে রঙে। গোল্ডেন কিংবা সিলভার—যেকোনো রঙের গ্লিটার দিলে যোগ হবে উৎসব মুখরতা।
নিউট্রাল ব্রাউন
বাদামির কত শেড চারদিকে! ব্রাউন স্কিনের জয়জয়কার বলেই কিন্তু বেড়েই চলেছে নিউট্রাল এই রঙের চাহিদা। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, মিন্ডি কেইলিং, তারাজি হেন্সনের মতো সেলিব্রিটিরা নিউট্রাল ব্রাউনে নখ সাজাচ্ছেন বহু বছর ধরে। শুধু মাথায় রাখা চাই, কোন ব্রাউন শেড স্টাইলকে আরও এনহেন্স করছে, সেদিকে।

মস্কো মিউল নেইল
খটমট এই নামটার রহস্য একটা শাইনি কপার মগ থেকে নেওয়া, যাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে রাখা যায় গরম পানীয়। এই লুক ক্রিয়েট করতে প্রথমে কোনো কপার শেডের জেল নেইল পেইন্ট অ্যাপ্লাই করা চাই। এর ওপরে দিতে হবে ডার্ক ব্রাউন কিংবা কালো রঙের একটা ক্রোম কোটিং। ব্যস, মানিয়ে যাবে ঈদের প্রিয় পোশাকের সঙ্গে।
স্মোক স্ক্রিন ম্যানি
রংটা হালকা বেগুনি। সঙ্গে থাকবে একটু ধূসর আভা। খানিকটা গ্লিটারি। যেন পুরো মহাকাশের কাব্য! অসম্ভব শোনালেও স্মোক স্ক্রিন মেনিকিউরের জয়জয়কার চলেছে বিশ্বজুড়ে। একটা চুম্বকীয় রং, যা নখে দেবে তরঙ্গের ঢেউ; মানিয়ে যাবে সব সাজের সঙ্গে।
স্টারবাস্ট
নখেই ফুটুক তারার ফুল। হয়তো মনে করিয়ে দিতে পারে জ্যোতিষবিদ্যা কিন্তু আসলে নখে থাকবে ঠিক তারার মতো উজ্জ্বল হয়ে। গোলাপি আভার নেইল পেইন্টে একটা ক্রোম পেইন্ট দিয়ে ঠিক নখের মাঝ বরাবর এঁকে নেওয়া যেতে পারে তারা। মনে হবে নখেই হচ্ছে স্টারবাস্ট!
বাবল বাথ নেইলস
না, নখকে বাবলে গোসল দিতে হবে না। এই নেইল স্টাইলে চাই একটা পারফেক্ট পেডিকিউর। নখ থাকবে একদম ক্ল্যাসিকভাবে ট্রিম করা। নেইল পেইন্ট হওয়া চাই সফট ক্রিমি বেবি পিংক টোনের। ব্যস, রেডি বাবল বাথ নেইলস। সফট স্টাইলের বলে যেকোনো সাজের সঙ্গে মানিয়ে যাবে অনায়াসে।
মেটালিক মুন
নখের গোড়ায় স্বাভাবিকভাবে চাঁদের মতো শেপ থাকে, যাকে বলে নেইল মুন। এই নেইল মুনকে আরও একটু স্টাইলিশ দেখাতে নখ সাজানো যেতে পারে মেটালিক মুনে। নখে একটা ক্ল্যাসিক নিউট্রাল টোন অ্যাপ্লাই করে নেইল মুনের ওপর এঁকে নেওয়া যেতে পারে মেটালিক কালারের মুন শেপ। ব্যস, পার্টি লুক রেডি।
মার্বেল ম্যানি
ব্লুমিং জেলপলিশ চক্রাকারে ব্যবহারের মাধ্যমে এই ইফেক্ট ফুটিয়ে তোলা সম্ভব। সাটেল লুক রাখতে চাইলে অপেক্ষাকৃত হালকা আর বোল্ড লুকের জন্য অপেক্ষাকৃত ডিপ রঙের নেইল পেইন্ট ব্যবহার করলেই চলবে।
কুল লাইলাক কালার
লাইলাক হালকা গোলাপি রঙের হওয়ায় খুব সহজে যেকোনো স্কিন টোনে মানিয়ে যায়। রঙিন কিংবা সাদা—যেকোনো পোশাকের সঙ্গে বর্ণিল সাজে সেজে উঠতে। নখে এই সাটেল রঙের যোগ সাজকে করে তুলবে অভিজাত।
স্টোন নেইলস
না, সেই টিনেজের মতো নখে কোনো পাথর বসাতে হবে না; বরং নেইল পেইন্টের রংটাই হবে এমন, যাতে থাকবে আর্দি ভাইব। দেখতে লাগবে নদীপাড়ের কোনো একটা দামি পাথরের মতো। লুকে দেবে আভিজাত্যের ছোঁয়া।

 বিদিশা শরাফ
ছবি: সংগ্রহ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top