যদিও ঘাম মানবদেহের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু কিছু মানুষ রয়েছেন যারা অতিরিক্ত ঘামেন। সাধারণ তাপমাত্রায় অন্যরা যখন দিব্যি ঘুরে বেড়ান, সে সময় তারা ঘেমে চুপচুপ হয়ে যান। এই অতিরিক্ত ঘামা মোটেও ভালো লক্ষণ নয়। যারা বেশি ঘামেন তারা চিকিৎসকের পরামর্শে থাইরয়েডে কিছু হলো কি না, সেটি পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। বেশি ঘামানো যেসব সমস্যার ইঙ্গিত দেয় সেগুলো জেনে নিন এখানে।
ডায়াবেটিস কিংবা লো ব্লাড সুগার: অতিরিক্ত ঘামানো টাইপ ১ এবং ২- উভয় ধরনের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ প্রকাশ করে। ইনসুলিন উৎপাদনে সমস্যা এবং রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ঝামেলা হলেও মানুষ অতিরিক্ত ঘামাতে পারে। অনেকের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়েও অনেক কম থাকে বিধায় শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত ঘামা রক্তে নিম্নমাত্রার গ্লুকোজের লক্ষণ প্রকাশ করতে পারে।
সংক্রমণ: বেশি ঘামানো ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের লক্ষণ। তবে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ সব সময় প্রাণঘাতী হয় না। সংক্রমণের ধরন অনুযায়ী কেউ কেউ জ্বর, শীত লাগা, অতিরিক্ত ঘামাম ছাড়াও আরও অনেক কিছুতে আক্রান্ত হতে পারেন। সংক্রমণে মারাত্মক হলে সেপসিস হতে পারে। সময়মতো চিকিৎসা না হলে তা সেপটিক শকে চলে যেতে পারে। আর তাই বেশি ঘামলে সংক্রমণের চিন্তা মাথায় রেখে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।
হার্ট অ্যাটাক: আকস্মিকভাবে কেউ যদি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ঘামতে থাকেন, তাহলে তার কার্ডিয়াক সমস্যা বিবেচনায় আনতে হবে। হঠাৎ অস্বাভাবিক ঘাম অনেক সময় হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ প্রকাশ করে। ফলে এ অবস্থাকে অবহেলা না করে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের দ্বারস্থ হতে হবে।