সিগারেট ছেড়ে অনেকেই বিকল্প হিসেবে ই-সিগারেটকে বেছে নিতে চান। কিন্তু নর্থ ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা জানাচ্ছে, সিগারেটের মতোই ই-সিগারেট স্বাস্থ্যের পক্ষে একই রকম ক্ষতিকর। সিগারেটের তামাকের মতোই ই-সিগারেটের বিশেষ ফ্লেভারেও টক্সিক কেমিক্যাল পাওয়া গেছে বলে গবেষণায় ধরা পড়েছে। এই টক্সিক কেমিক্যাল ফুসফুসের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়্যাল ডিফেন্স সিস্টেমকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। নর্থ ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা থেকে এমনটাই জানা গেছে।
এর আগে আরেকটি গবেষণা থেকে জানা গিয়েছিল, ই-সিগারেটের ধূমপায়ীদের মধ্যে একটা অংশ ফুসফুসে সংক্রমণে আক্রান্ত হচ্ছেন। লিভারের অসুখেও ভুগছেন অনেকেই। ই-সিগারেটের ফ্লেভারের রাসায়নিক থেকে নানা ধরনের অসুখের আশঙ্কা থেকে যায়। এমনকি সিগারেটের মতোই ই-সিগারেট সেবন করলেও ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
এই গবেষণা থেকে জানা যাচ্ছে, সিনামাল্ডেহাইড নামে এক প্রকার জৈব রাসায়নিক যৌগ ই-সিগারেটের ফ্লেভারের মধ্যে মিশে থাকে। এই রাসায়নিক জৈব যৌগ সিগারেটের তামাকের মধ্যে থাকা অ্যাল্ডেহাইড টক্সিকের মতোই। শরীরের জন্য সিনামাল্ডেহাইড ও অ্যাল্ডেহাইড একই রকম ক্ষতিকর। ই-সিগারেটের মধ্যে থাকা ই-লিকুইডের উপাদান এই সিনামাল্ডেহাইড নামক জৈব রাসয়নিক যৌগটি। তাই সাবধান! ফুসফুস সংক্রমণ, লিভারের অসুখ, এমনকি ক্যানসারের আশঙ্কা দূর করতে সিগারেটের মতোই ই-সিগারেট থেকেও দূরে থাকুন। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরবিজ্ঞানের অধ্যাপক ও গবেষকেরা এমনই পরামর্শ দিচ্ছেন।