নগরীতে বেড়েই চলেছে মানুষের বসবাস। তবে প্রয়োজন অনুযায়ী বাড়েনি যানবাহন। আর যে পরিমাণ যানবাহন আছে, তা দিয়েই লেগে যায় যানজট। এসব কারণে রাস্তায় বের হয়ে গাড়ি পাওয়া যায় না সহজে। ফলে প্রতিদিনই গড়পড়তা নষ্ট হচ্ছে হাজার হাজার কর্মঘণ্টা।
তবু অফিসে যেতে হয়। দৌড়ে দৌড়ে বাস ধরে একরকম বাদুড়ঝোলা হয়েই পৌঁছাতে হয় কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে।
এদিকে এগিয়ে চলেছে প্রযুক্তি। যাতায়াত ব্যবস্থাকে সহজ করতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনামের বেশ কিছু শহরে চালু হয়েছে উবার সার্ভিস। উবার আসার পর যাতায়াত ব্যবস্থা আরও বেশ সহজ হয়ে উঠছে। ফলে উবারের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। উবার ছাড়াও আছে পাঠাও। সাশ্রয়ী মূল্যের যাতায়াতের মাধ্যম হওয়ায় সম্প্রতি ঢাকাতেও মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীদের সংখ্যা দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তবে নিরাপত্তার জন্য উবারে ওঠার আগে কিছু বিষয় খেয়াল রাখা আবশ্যক।
নিরাপত্তা: গাড়িতে ওঠার আগে ব্যাগ বা লাগেজ রাখার জায়গাটি ভালো করে চেক করে দেখুন, সেখানে অন্য কোনো ব্যাগ, লাগেজ বা সন্দেহ করার মতো কোনো কিছু আছে কি না। কেননা, সেখানে মাদকদ্রব্য থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে পুলিশে ধরলে আপনি ফেঁসে যেতে পারেন।
জিপিএস ট্র্যাকিং: যাতায়াতের সময় উবারের ‘শেয়ার স্ট্যাটাস’ এবং ‘লাইভ জিপিএস ট্র্যাকিং’ ফিচার আপনার কাছের মানুষদের নিশ্চিন্ত রাখে। এই ফিচারের সাহায্যে আপনি নিজেই দেখতে পারবেন যে আপনি কোথায় এবং কোন পথ ধরে যাচ্ছেন। তা ছাড়া নির্দিষ্ট গন্তব্যের অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হবে না আপনাকে।
ড্রাইভার ছাড়া অন্য যাত্রী: উবারে ওঠার সময় গাড়িতে ড্রাইভার ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি থাকলে তাকে নামিয়ে দিন। অন্যথায় আপনি ছিনতাইয়ের কবলে পড়তে পারেন।
হেলমেট: মোটরসাইকেলে আরোহণের সময় অবশ্যই হেলমেট পরিধান করুন। এতে করে আইন মানার পাশাপাশি আপনার সুরক্ষাও নিশ্চিত হবে।
হেল্পলাইন: উবারের অ্যাপে জাতীয় হেল্পলাইন নম্বর ৯৯৯ অন্তর্ভুক্ত আছে। কোনো জরুরি প্রয়োজনে আপনি এই নম্বরে কল করতে পারেন। কল করলে নিয়োজিত প্রতিনিধিরা আপনার সাহায্যে এগিয়ে আসবেন।