কোথাও বৈষম্য কাম্য নয়। সেটা হোক নারী, পুরুষে কিংবা অন্য কোথাও। বর্তমান বিশ্বে বৈষম্য দূর করতে সবাই-ই সচেষ্ট। এমনকি নারী পুরুষের পাশাপাশি হিজড়া জনগোষ্ঠীর অধিকার সংরক্ষণেও সোচ্চার হয়ে উঠেছে বিশ্ব।
তারই ধারাবাহিকতায় জাপান বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পেতে যাচ্ছে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরা। একটি মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ে আর দুবছর পর থেকে তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের ভর্তির সুযোগ দিতে যাচ্ছে।
নারীদের উচ্চশিক্ষার জন্য ১৮৭৫ সালে স্থাপিত ওকানোমিজু বিশ্ববিদ্যালয়টি জাপানের প্রথম কোনো উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেখানে হিজড়া বা তৃতীয় লিঙ্গের শিক্ষার্থীরা ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে।
টোকিওর ওকানোমিজু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, যেসব শিক্ষার্থীর জন্মলিঙ্গ পুরুষ কিন্তু তাদের স্ত্রীলিঙ্গ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে, তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ দেবে তারা।
দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, টোকিওর ওকানোমিজু বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্তটি অভূতপূর্ব। নিঃসন্দেহে এটি প্রশংসার যোগ্য। এ ধরনের ঘটনা দেশটিতে প্রথম ঘটছে কি না- তা নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।
তিনি বলেন, ‘আশা করি তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের প্রয়োজনীয়তাগুলোর কথা উপলব্ধি করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবে।’ এ ছাড়া প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ই এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০২০ সালের শিক্ষাবর্ষ থেকে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে হিজড়াদের ভর্তির কার্যক্রম শুরু হবে।