ঈদুল আজহা তে মুক্তিপ্রপ্ত সিনেমাগুলো ঈদুল ফিতরে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমার চেয়েও ভালো ব্যাবসায় করেছে বলে জানিয়েছে ব্লকবাস্টার কর্তৃপক্ষ। গত ঈদুল ফিতরে “শান” এবং “গলুই” দর্শকদের প্রত্যাশা পূরণ করেছে বলেই, এই ঈদুল আজহায় “দিন-দ্যা ডে” এবং “পরাণ” মুভির সফলতা দেখা যাচ্ছে। কারণ দর্শক বিশ্বাস করা শুরু করেছে যে, বাংলাদেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে এবং দর্শকের রুচির দিকে দৃষ্টি দেওয়া শুরু করেছে নির্মাতারাও। ব্লকবাস্টার সিনেমাতে “দিন-দ্যা ডে” এবং “পরাণ” মুভি’র টানা দুই সপ্তাহ হাউজফুল শো প্রত্যাশাকে আরও বাড়িয়ে তুলছে যা আগামী দুই সপ্তাহ ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছে ব্লকবাস্টার কর্তৃপক্ষ ।
পরাণ সিনেমায় মুখ্য ভুমিকায় অভিনয় করেছেন শরিফুল ইসলাম রাজ, বিদ্যা সিনহা মিম, ইয়াশ রোহান। অন্যদিকে, ইরানিয়ান চলচ্চিত্র নির্মাতা মুর্তজা আতশ জমজম এর নির্দেশনায় নির্মিত দিন-দ্যা ডে সিনেমায় মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অনন্ত জলিল এবং বর্ষা। ।চলচ্চিত্রে আয়ের দিক দিয়ে এবারের ঈদুল আজহায় মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমার আয় এই বছরে ঈদুল ফিতরে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমার আয়ের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি।
দর্শক খরা এবং সিনেমা হলের স্বল্পতার কারণে যেখানে নির্মাতারা আগ্রহ হারিয়েছিল সেখানে “দিন-দ্যা ডে” এবং “পরাণ” চলচ্চিত্রের সফলতা আবার নির্মাতাদের আশার আলো দেখাচ্ছে। এতে করে বাংলাদেশের ফিল্ম ইন্ডাস্টি ধীরে ধীরে জৌলুস ফিরে পাচ্ছে। দর্শকরা পরিবারসহ হলে গিয়ে পরিপূর্ণ বিনোদন উপভোগে আগ্রহী হয়ে উঠছে।
এই দুটি চলচ্চিত্র যদি বক্সঅফিসে ফ্লপ হিসেবে গণ্য হতো, যদি দর্শকরা হলে গিয়ে ছবি দুটি না দেখতো তাহলে কার কী লাভ হতো? এই দিক থেকে ভাবলে যেসব কাদা ছোড়াছুড়ি চলছে তা আর হবার সুযোগ থাকতো না। একটি ইন্ডষ্ট্রিকে আবার তার গৌরব ফিরিয়ে দিতে এবং অর্থনৈতিক ভাবে চাঙ্গা করে তোলার জন্য যে উদার মানসিকতার দরকার, তা বোধহয় থাকা উচিত, কারণ যদি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির জৌলুশ ফেরে তবে আখেরে এদেশের জনগণেরই লাভ হবে। অনেক অনেক বিনিয়োগ হবে এবং এর ফলে অধিকতর কর্মসংস্থান হবে।
লেখক
এ এইচ রাজু
অপারেশন ইনচার্জ
ব্লকবাস্টার সিনেমা