উন্নত জাতের মধ্যে রয়েছে বারি কাঁঠাল-১, বারি কাঁঠাল-২ ও বাউ কাঁঠাল-১। কাঁঠালকে কোষের বৈশিষ্ট্য অনুসারে তিন ভাগে ভাগ করা যায়- খাজা, আদরসা ও গালা।
কাঁঠালে প্রচুর শর্করা, আমিষ ও ক্যারোটিন রয়েছে। এর শাঁস ও বীজকে চীন দেশে বলবর্ধক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কাঁঠালের পোড়া পাতার ছাইয়ের সঙ্গে ভুট্টা ও নারকেলের খোসা একত্রে পুড়িয়ে নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ঘা বা ক্ষতস্থানে ব্যবহার করলে ঘা শুকিয়ে যায়। শিকড়ের রস জ্বর ও পাতলা পায়খানা নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়।
বাংলাদেশের সব জেলাতেই কাঁঠাল উৎপন্ন হয়। তবে ঢাকা, টাঙ্গাইল, গাজীপুর, নরসিংদী, দিনাজপুর, ময়মনসিংহ, রংপুর, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, মৌলভীবাজার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া উল্লেখযোগ্য। কাঁচা কাঁঠাল তরকারি, পাকলে ফল হিসেবে এবং এর বীজ তরকারি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। কাঁঠালের ভুতি ও মোথা গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়।