বাজারজুড়ে যত্রতত্র ভেজালের অত্যাচার। আজকাল তো জুতা সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ– সর্বত্রই ভেজালের সমাহার। নিরুপায় সাধারণ মানুষ। নকল ও ভেজালের কাছে সবাই যেন জিম্মি! এমনকি প্যাকেটজাত দুধের মধ্যেও রয়েছে আসল-নকল। প্যাকেটের গায়ে লেখা বাহারি প্রশংসাবাণীতে বিশ্বাস না করতে চাইলে, নিজ হাতেই পরীক্ষা করে নিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে চারটি পদ্ধতিতে পরীক্ষা করতে পারেন এই নকলের বালাই। জেনে নিন ও সাবধান হোন।
১) প্যাকেটজাত দুধ কেনার পর প্যাকেট খুলে শুঁকে দেখুন। অনেক ক্ষেত্রে দুধ থেকে সাবানের ফেনার গন্ধ বের হয়। আপনার কেনা দুধ থেকেও যদি সে ধরনের গন্ধ পান, তাহলে সাবধান! আপনার কেনা দুধ নকল হতে পারে।
২) ক্রয় করার পর কিছু পরিমাণ দুধ হাতের তালুতে নিয়ে, আঙুল দিয়ে সামান্য নেড়ে জিভে লাগান। যদি সামান্য মিষ্টি স্বাদ পাওয়া যায়, তাহলে চিন্তার কোনো কারণ নেই। সে ক্ষেত্রে আপনার কেনা দুধ নকল নয়।
৩) দুধ ফুটিয়েও করতে পারেন আসল নকলের পরীক্ষা। ভালো দুধ ফোটালে তার রং কখনোই বদলায় না। কিন্তু নকল দুধ ফোটানোর সময় হালকা হলদেটে ভাব দেখতে পাবেন।
৪) দুধের মধ্যে অনেক সময় ওয়াশিং পাউডার মেশানো থাকে। সে ক্ষেত্রে দুধ কাচের পাত্রে নিয়ে ভালোভাবে ঝাঁকুন। গ্লাসে উৎপাদিত ফেনা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে খুবই চিন্তার বিষয়! সেই দুধে ওয়াশিং পাউডার মেশানো থাকতে পারে। ভালো করে ঝাঁকান। যদি বেশি ফেনা হয় এবং তা বহুক্ষণ স্থায়ী হয়, তাহলে কিন্ত চিন্তার কথা। সম্ভবত ওই দুধে ওয়াশিং পাউডার মেশানো আছে।