আসছে ফুটবল বিশ্বকাপ ২০১৮। বাড়ির ছাদে ছাদে পতাকা, চায়ের দোকানে দোকানে চলবে বাগ্বিতণ্ডা। বাংলাদেশিদের মধ্যে বেশির ভাগ ফুটবলপ্রেমীই হয় ব্রাজিল নয়তো আর্জেন্টিনার সমর্থক। আবার এর পাশাপাশি আসছে ঈদুল ফিতর। ঈদ মানেই ছোট পর্দায় মজার মজার নাটকের ধুম।
বিশ্বকাপের উন্মাদনা ও ঈদের আনন্দের মিশেল ঘটিয়েছেন নাট্য নির্মাতা আবু হায়াত মাহমুদ। পলাশ মাহমুদের নির্দেশনায় নির্মাণ করেছেন সাত পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘ফেয়ারপ্লে।’ ঈদের দিন থেকে টানা সাত দিন নাটকটি প্রচার হবে বাংলাভিশনে।
নাটকটি ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা সমর্থকদের তর্ক আরেকটু বেশি জমপেশ করে তুলবে। পাশাপাশি ঈদের আনন্দকে করে তুলবে আরেক কাঠি বেশি সরেস।
‘ফেয়ার প্লে’ নাটকে দুই ভাই চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী ও জাহিদ হাসান, তাদের মধ্যে একজন ব্রাজিলের সমর্থক, আরেকজন আর্জেন্টিনার। এ ছাড়া এতে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা।
নাটকের গল্পে তিশার সঙ্গে জাহিদ হাসান ও চঞ্চল চৌধুরী- দুই ভাইয়েরই একটা প্রেমসুলভ সম্পর্ক থাকে। এদিকে তিশা না ব্রাজিলের সমর্থক, না আর্জেন্টিনার।
চঞ্চল, তিশা ও জাহিদ ছাড়া এ নাটকে আরও অভিনয় করেছেন আবুল হায়াত, দিলারা জামান, রুনা খান, আব্দুল্লাহ রানা, শাহেদ আলী সুজন, সুজাত শিমুল, প্রমুখ।
বিশ্বকাপ উন্মাদনা ও ঈদের আনন্দ ছাড়াও এ নাটকে উঠে এসেছে আরও একটি দিক। বর্তমানে বাজেট সঙ্কটের কারণে দেশি নাটকে একাধিক চরিত্রের উপস্থিতি দেখা যায় না। কিন্তু এ নাটকে সেটি নেই। বরং একটি পরিবারে যত সদস্য থাকা প্রয়োজন, সকল চরিত্র রেখেই নির্মাণ করা হয়েছে নাটকটি।
নাটকটিতে অভিনয় প্রসঙ্গে জাহিদ বলেন, ‘চমৎকার গল্পের একটি পারিবারিক নাটক। আমাদের দেশে নাটকের বাজেট কমে গেছে বলে নির্মাতাকে বাধ্য হয়েই অনেক চরিত্র কমিয়ে ফেলতে হয়। কিন্তু এই নাটকটিতে এমন কিছু করা হয়নি। অনেক দিন পর পারিবারিক আবহের একটা নাটকে অভিনয় করলাম। অভিনয়ের সময়ে মনে হচ্ছিল পরিবারে আছি, নাটকটি যারা দেখবেন তারাও পারিবারিক আবহটা টের পাবেন।’
অভিনেত্রী তিশা বলেন, ‘নাটকটি করার সময় খুব মজা হয়েছে। জাহিদ ভাই, চঞ্চল ভাইয়ের সঙ্গে অভিনয় করা তো সব সময় বেশ আনন্দের। তবে এ নাটকে অনেক বেশি চরিত্র থাকার কারণে, যেমন বাবা আছে, মা আছে, ভাই-বোন আছে, এমনকি বোনের হাজবেন্ড, বাচ্চাও আছে। এই কারণে নাটকটি ব্যক্তিগতভাবে আমার ভালো লেগেছে। আশা করছি নাটকটি বেশ জনপ্রিয়তা পাবে।’
অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘পলাশ মাহবুবের লেখায় চমৎকার উইট থাকে, গল্প থাকে। এ জন্যই নাটকটি করা। তা ছাড়া নাটকটিতে একধরনের পজিটিভ ভাইব রয়েছে। এটা গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বকাপের সময় খেলার পাশাপাশি নাটকটিও সবাই উপভোগ করবে বলেই আমার বিশ্বাস।’
নাটকটির রচয়িতা পলাশ মাহবুব বলেন, ‘এ নাটকে ভাঁড়ামো নেই তবে বিনোদন আছে। এ ছাড়া বিনোদনের মধ্যে দিয়েই এ নাটকের শেষে একটি মেসেজ পাবেন দর্শকরা।’