বৃষ্টিমুখর ঋতু যেমন ভালো লাগে, তেমনি এর কিছু বিড়ম্বনাও আছে। বিশেষ করে এ ঋতুর স্যাঁতসেঁতে কাদাপানি মানুষকে বিব্রত করে। সবচেয়ে বড় বিড়ম্বনা পোহাতে হয় কাপড় নিয়ে।
এ ঋতুর হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজে গেলে যেমন অসুখ-বিসুখ টেনে আনে তেমনি ক্ষতি করে কাপড়েরও। আবার এ ঋতুতে কাপড় শুকানোও অনেক ঝক্কি। তার ওপর কাপড়ে ফাঙ্গাসের আক্রমণ তো আছেন। যদিও কাপড়ের ফাঙ্গাস অনেক সময় বোঝা যায় না। কাপড়ের ফাঙ্গাস থেকেও হতে পারে অসুখ। তাই বর্ষায় চাই বাড়তি সতর্কতা। কিন্তু করণীয় কী? চলুন, জেনে নিই।
অনেকেই বর্ষা ঋতুতে ঘরের ভেতরই দড়ি টানিয়ে কাপড় শুকাতে দেন। এটি আপনার স্কিনের ক্ষতি করতে পারে। এমনকি শিশুদের জন্যও এটি ক্ষতিকর। এ ক্ষেত্রে বারান্দার যেদিকে পানি ছিটে আসে না, সেদিকে কাপড় শুকাতে দিন। রোদ উঠলে রোদে দিন।
কোনো কাপড় একনাগাড়ে দু-তিনদিন ভেজা থাকলে সেই কাপড় থেকে ব্যাকটেরিয়াজনিত কারণে দুর্গন্ধ বের হয়। কাপড়ে গন্ধ হলে ডিটারজেন্ট ও অ্যান্টিসেপটিক লিকুইড দিয়ে কাপড় ধুয়ে নিন।
যে পোশাকগুলো পরের দিন পরতে চাইছেন সেগুলো আগের দিন ধুয়ে বারান্দায় শুকাতে দিন। ওই কাপড়ের দিকে একটি টেবিল ফ্যান ছেড়ে রাখুন। পানি ঝরে যাওয়ার পর হালকা ভেজা অবস্থায় কাপড়গুলো তুলে এনে উল্টে নিয়ে আয়রন করে নিন। দেখবেন কাপড় শুকিয়ে ঝরঝরে হয়ে গেছে।
যখন রোদ উঠবে, তখন কাপড় শুকাতে দেওয়ার পাশাপাশি ঘরের আলমারি ওয়্যারড্রবের সব ড্রয়ার খুলে দিন। দরজা জানালাও খুলে দিন। এতে করে ঘরের গুমোট ভাব কেটে যাবে। মাঝে মধ্যে আলমারির কাপড়গুলো বিছানায় মেলে দিয়ে ফ্যান ছেড়ে দিন।
আলমারির ও ওয়্যারড্রবের ভেতরে খবরের কাগজ বিছিয়ে রাখুন। এতে করে কাপড়ের আর্দ্রতা দূর হবে। খবরের কাগজের বদলে চকও রাখতে পারেন।
যে কাপড়গুলো এ ঋতুতে ব্যবহার করা হবে না, সেগুলো প্রথমে খবরের কাগজ তারপর পলিব্যাগে ভরে সংরক্ষণ করুন। বর্ষা শেষে কাপড়গুলো রোদে শুকিয়ে নিন।
কাপড়ের ভাঁজে ভাঁজে চন্দন কাঠ রাখতে পারেন। এতে করে কাপড় থেকে সুগন্ধ ছড়াবে।
কাপড়ে কাদা লাগলে বাইরে থেকে আসার সঙ্গে সঙ্গেই কাপড়টি ধুয়ে ফেলার চেষ্টা করুন। দেরি করলে কাপড়ে দাগ বসে যেতে পারে। প্রথমে কাদা লাগার অংশটি ধুয়ে ফেলুন, তারপর পুরো কাপড়টা ধুয়ে নিন।
বর্ষায় সুতি কাপড় শুকাতে বেশি সময় লাগে। তাই এ ঋতুতে যতটা সম্ভব সিনথেটিক কাপড় পরুন।