এশিয়ান লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ডস (এএলএ) ২০২১ -এ ‘অর্গানাইজেশনাল অ্যাওয়ার্ডস’ বিভাগে ‘বেস্ট অর্গানাইজেশন ফর ওয়ার্কপ্লেস অ্যান্ড পিপল ডেভেলপমেন্ট’ পুরস্কার অর্জন করেছে ডিজিটাল বাংলাদেশের কানেক্টিভিটি পার্টনার গ্রামীণফোন। ১০ জুন এই আয়োজনের ১৯তম আসর অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে কর্মীদের সুস্থতা এবং সকল কর্মীকে সমান অগ্রাধিকার প্রদানসহ অন্তর্ভুক্তিমূলক সংস্কৃতি বিকাশে গ্রামীণফোনের ভূমিকা ও দৃষ্টিভঙ্গির কারণে প্রতিষ্ঠানটিকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
এ বছর অনুষ্ঠানটি ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে এশিয়ান লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ডস’র দক্ষ জুরি কাউন্সিল নতুন সম্ভাবনা উন্মোচনের লক্ষ্যে গ্রামীণফোনের অসামান্য প্রচেষ্টাকে অভিনন্দন জানান। খাত সংশ্লিষ্ট তিন শতাধিক ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
গ্রামীণফোনের প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা সৈয়দ তানভির হোসেন বলেন, ‘কর্মীদের সুস্থতা, অন্তর্ভুক্তিমূলক সংস্কৃতি, প্রজেক্ট অটোমেশন, ডিজিটালভাবে পরিচালিত এইচআর সর্বপরি মানবসম্পদ ও নেতৃত্ব বিকাশকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিবেচনা করে গ্রামীণফোন। যা আমাদের দায়িত্বশীল ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হিসেবে এ খাতে এগিয়ে থাকতে সহায়তা করেছে। এশিয়ান লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড ২০২১ অর্জন আমাদের জন্য অত্যন্ত সম্মানের। আমরা এই অর্জন গ্রামীণফোন পরিবারের সকল নিবেদিত কর্মীর প্রতি উৎসর্গ করছি।’
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গ্রামীণফোন জানিয়েছে, দেশের কানেক্টিভিটি পার্টনার হিসেবে গ্রামীণফোন ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের পূর্ণ সম্ভাবনা উন্মোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। গ্রামীণফোনের কর্মীদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে খাত সংশ্লিষ্ট নানা প্রশিক্ষণ গ্রহণের ও নতুন বিভিন্ন বিষয় শেখার সুযোগ করে দিয়েছে। বর্তমানে বৈশ্বিকভাবেই কাজের ক্ষেত্রে এসব প্রশিক্ষণের চাহিদা রয়েছে। গ্রামীণফোন এইচআর, রোবোটিকস প্রসেস অটোমেশন (আরপিএ) এবং ওয়ানজিপির মতো বিভিন্ন বিষয়ে উদ্ভাবন এবং ডিজিটালাইজেশনকে অগ্রাধিকার দেয়, যা প্রতিষ্ঠানটিকে ডিজিটাল এইচআর বিকাশে অন্যতম অগ্রণী প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সহায়তা করেছে। গ্রামীণফোন মানুষকে প্রয়োজনীয় বিষয়ের সাথে সংযুক্ত করতে বিশ্বাসী। তাই, মানুষকে কেন্দ্র করে নিন্মোক্ত চারটি বিষয় গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে গ্রামীণফোন: ‘অলওয়েজ এক্সপ্লোর’, ‘ক্রিয়েট টুগেদার’, ‘কিপ প্রমিসেস’ এবং ‘বি রেসপেক্টফুল’।