রেনেসাঁ ঢাকা গুলশান হোটেল বাহার মাল্টিকুইজিন রেস্টুরেন্টে উদ্বোধন করেছে তাদের নতুন কালিনারি সংযোজন ‘জায়কা সিগনেচার আ লা কার্ট’ মেনু। ভারতীয় রন্ধনশৈলীর ঐতিহ্যবাহী স্বাদকে আধুনিকতার ছোঁয়ায় নতুনভাবে উপস্থাপনের লক্ষ্যে এই বিশেষ মেনু সাজানো হয়েছে। যেসব খাদ্যরসিক খোঁজেন হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া ঘরোয়া স্বাদ আর একই সঙ্গে চান পরিশীলিত ও আধুনিক অভিজ্ঞতা, জায়কার পুরো যাত্রা ঠিক তাদের জন্যই। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

জায়কার প্রতিটি পদে রয়েছে প্রজন্ম ধরে চলে আসা রন্ধন ঐতিহ্যের ছাপ। ধীর আঁচে রান্না করা গ্রেভির গভীরতা থেকে শুরু করে তন্দুরের ধোঁয়াটে সুগন্ধ– মেনুর প্রতিটি আইটেমে তুলে ধরা হয়েছে ভারতীয় রান্নার সকল উপাদান। একই সঙ্গে যোগ করা হয়েছে সমসাময়িক উপস্থাপনার সৃজনশীলতা, যা একে আরও গ্রহণযোগ্য, আকর্ষণীয় ও সময়োপযোগী করে তুলেছে।
নতুন মেনুর শুরুতেই আছে কোণ দোসা, দক্ষিণ ভারতের ঐতিহ্যবাহী দোসাকে আধুনিক রূপে পরিবেশনের এক চমৎকার উদাহরণ। রয়েছে তন্দুরি প্রন শুটার, যেখানে মসলার সুগন্ধ আর আগুনে পোড়া চিংড়ির স্বাদ মিলিয়ে তৈরি হয়েছে উপকূলীয় স্বাদের এক অনন্য গল্প। মেনুর মূল আকর্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে লাহোরি মাটন দম বিরিয়ানি, যা জাফরান, ঘি ও বিশেষ মশলার সংমিশ্রণে যেন তুলে ধরে পুরোনো দিনের উৎসবের সুবাস। পাশাপাশি রয়েছে নরম মোলায়েম বিফ কাকোরি কাবাব, আওধি রন্ধনশৈলীর রাজকীয় ঐতিহ্যের প্রতীক। আর রয়েছে বিখ্যাত রাজস্থানি লাল মাস, যার আগুনে ও গভীর স্বাদ মরু অঞ্চলের রুক্ষ সৌন্দর্যকে প্রতিফলিত করে।

ডেজার্ট অংশেও আছে সৃজনশীলতার দারুণ প্রকাশ; যেমন আনজির বাসুন্দি, যেখানে ধীরে কমানো দুধে ডুমুরের স্বাদ তৈরি করে উৎসবের মতো সমৃদ্ধ মিষ্টি অভিজ্ঞতা। মোতিচুর মুস ম্যাজিক ঐতিহ্যবাহী মোতিচুরের লাড্ডুকে আধুনিক, মোলায়েম মুসে রূপান্তর করা হয়েছে। আর কাজু কাটলি চিজকেক– যেখানে মিঠাইয়ের নস্টালজিয়া আর ওয়েস্টার্ন ডেজার্টের স্নিগ্ধতা মিলেছে এক অনন্য সমন্বয়ে।

জায়কা সিগনেচার আ লা কার্ট মেনুর প্রতিটি পদই বহন করে একেকটি গল্প– ঐতিহ্য থেকে নবায়ন, পরিচিতি থেকে নতুন স্বাদের অভিযাত্রা। রিজার্ভেশন ও তথ্যের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন ০১৭০৪১১২৬৪৮ নম্বরে।
- ক্যানভাস অনলাইন
ছবি: রেনেসাঁ ঢাকা গুলশান হোটেল-এর সৌজন্যে

