লা মেরিডিয়ান ঢাকার আয়োজনে শেন দে রতিশার বাংলাদেশের দ্বিতীয় গালা নাইট শেষ হয়েছে। সম্প্রতি, হোটেলটির ফ্যাভোলা রেস্টুরেন্টে জাঁকজমকপূর্ণ এই উৎসবটি অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বব্যাপী কার্যক্রম পরিচালনাকারী ‘শেন দে রতিশার’ পরিবারে নতুন সদস্য হিসেবে যুক্ত হয় শেন দে রতিশার বাংলাদেশ।
শেন দে রতিশার হলো ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব গ্যাস্ট্রোনমি’র অংশ। এই পরিবারে ৮০ টিরও বেশি দেশে প্রায় ২৫ হাজার সদস্য রয়েছে। সমমনা ভোজনরসিক যারা সুস্বাদু খাবার পছন্দ করে ও রন্ধনশিল্প নিয়ে আগ্রহ আছে তারাই এই পরিবারের সদস্য। সারা বিশ্বের নবিশ, পেশাদার ও যারা বিভিন্ন ধরনের খাবারের সমঝদার তাদের একত্রিত করাই এই সংগঠনটির উদ্দেশ্য। তারা হোটেল, রেস্টুরেন্ট পরিচালনাকারী কিংবা এক্সিকিউটিভ শেফ কিংবা ওয়েটারও হতে পারে।
ভোজ উৎসবটিতে ভোজনরসিকদের জন্য বিভিন্ন ধরনের খাবার পরিবেশন করা হয়। মূল খাবার পরিবেশনের আগে লা মেরিডিয়ান ঢাকার পুরস্কার জয়ী শেফগণ অতিথিদের মিনি লবস্টার পাকোড়া, স্মোকড স্যালমন ও ব্লিনিস মিল ফোয়ে দিয়ে তৈরি ক্যানাপে, স্যাফরন আইওলি ও কোয়েলের ডিম দিয়ে তৈরি বীফ টারটার ও পিকলড বিটরুট দিয়ে বানানো মিনি স্যু বান এবং গোটস চিজ ক্রেম শনটিই পরিবেশন করা হয়।
এরপরে হোটেলের শেফগণ অতিথিদের স্বাদে ভরপুর খাবার পরিবেশন করেন। এর মধ্যে রয়েছে ডাক প্রসূটোর কারপাতসো। এর সাথে সালাদ তৈরিতে ব্যবহৃত পাতা, বার্নট অরেঞ্জ, পিকান প্রলিন, ম্যাপল, স্যাফ্রন ও বলসামিক ভিনেগারও পরিবেশন করা হয়। এছাড়াও, হোম স্মোকড লবস্টারের টেইল-এর সাথে ছাইভ বেয়াহ, সয়া বিন ও ক্রিস্প পারমাজান টুইল পরিবেশন করা হয়। উৎসবে মূল কোর্স হিসেবে অস্ট্রেলিয়ান বিফ টেনডারলয়েন এর সাথে পোচড ম্যারো, ব্রেইজস মাশরুমস, পটেটো গ্রেইটিন ও বোর্দোলেইজ জু পরিবেশন করা হয়। পরিশেষে, অতিথিদের মাঝে সুস্বাদু ফরাসী ডেজার্ট ওমলেট নভেজিয়ান গ্লেইজড এর সাথে ফ্রুট সালসা ও বনবনস পরিবেশন করা হয়।
এ নিয়ে লা মেরিডিয়ান ঢাকার জেনারেল ম্যানেজার কনস্ট্যান্টিনোস এস গ্যাভ্রিয়েল বলেন, ‘শেন দে রতিশার বিশ্বের খাবার সমঝদারদের সংঘ হিসেবে পরিচিত। শেন দে রতিশার বাংলাদেশের দ্বিতীয় গালা নাইটে সকল শেন সদস্যদের আমন্ত্রণ জানাতে পেরে অত্যন্ত গর্বিত। এই জমকালো আয়োজনে আমাদের অংশীদার হওয়ার জন্য প্রাইম ব্যাংককে আমরা ধন্যবাদ জানাই।’