বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত জাত বারি আম-১ (মহানন্দা), বারি আম-২, বারি আম-৩ (আম্রপালি), বারি আম-৪ (হাইব্রিড), বারি আম-৫, বারি আম-৬, বারি আম-৭, বারি আম-৮ (বহুভ্রূণী), বারি আম-৯ (কাঁচামিঠা), বারি আম-১০। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভাবিত জাতগুলো হলো বাউআম-১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯ ও ১০। এ ছাড়া রয়েছে গোপালভোগ, ল্যাংড়া, ক্ষীরশাপাতি, হিমসাগর, ফজলি ইত্যাদি জনপ্রিয় জাত।
স্বাদে, পুষ্টিতে ও গন্ধে আম অতুলনীয়। তাই আমকে ‘ফলের রাজা’ বলা হয়। আমে প্রচুর ভিটামিন ‘এ’ বা ক্যারোটিন, ভিটামিন ‘সি’, খনিজ পদার্থ ও ক্যালরি রয়েছে। ভিটামিন ‘এ’-এর দিক থেকে আমের স্থান পৃথিবীর প্রায় সব ফলের ওপরে।
আয়ুর্বেদি ও ইউনানি পদ্ধতির চিকিৎসায় পাকা ফল ল্যাকজেটিভ, রোচক ও টনিক বা বলকারকরূপে ব্যবহৃত হয়। রাতকানা ও অন্ধত্ব প্রতিরোধে পাকা আম এমনকি কাঁচা আম মহৌষধ। আমগাছের কচি পাতার রস দাঁতের ব্যথা উপশমকারী। আমের শুকনো মুকুল পাতলা পায়খানা, পুরোনো আমাশয় ও প্রস্রাবের জ্বালা-যন্ত্রণা উপশম করে। জ্বর, বুকের ব্যথা, বহুমূত্র রোগের জন্য আমের পাতার চূর্ণ ব্যবহার করা হয়।
বাংলাদেশের সর্বত্র আমের ফলন হয়। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোর, দিনাজপুর, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, যশোর, সাতক্ষীরা, ঠাকুরগাঁও ও রংপুর জেলায় ভালো জন্মে। ফল হিসেবে খাওয়ার পাশাপাশি আম থেকে চাটনি, আচার, আমসত্ত্ব, মোরব্বা, জ্যাম, জেলি ও জুস তৈরি হয়।