ঈদে পোশাকের সঙ্গে চাই মানানসই গয়না। দেশের গয়ানার দোকানগুলোও যেন নানা ডিজাইনের গয়নার পসরা সাজিয়ে বসেছে। শপিং মলগুলোও জমজমাট। হীরার গয়না তো আছেই, পাশাপাশি আছে কাঠ, পুঁতি, তামা, মাটি, সুতা, পাথর, কাপড় ও কাচের তৈরি বাহারি গয়নাও। ক্রেতারা নিজেদের চাহিদা ও সামর্থ্য অনুযায়ী কিনে নিচ্ছেন পছন্দসই গয়নাটি।
পিছিয়ে নেই ফ্যাশন হাউজগুলোও। সেখানে পাওয়া যাচ্ছে পিতল, ব্রোঞ্জ, অক্সিডাইস, পার্ল ব্যবহার করে তৈরি আধুনিক ফ্যাশনেবল অলঙ্কার। গয়নার আকারে-প্রকারেও রয়েছে নতুনত্ব। অল্প দামে পাওয়া যাচ্ছে বিধায় এসব গয়নার দিকে ঝুঁকছেন অল্প বয়সী তরুণীরা।
তবে এবারের ঈদে গয়নার ক্ষেত্রে কানের দুলে একটু ভিন্নতা দেখা গেছে। মেটালের ভারী দুলে স্টোন বসানো কানের দুলগুলো কিংবা মিনা করা আফগানি দুলগুলো খুব কদর বেড়েছে এবার। এবারের ঈদের গয়নাগুলোতে মোগল ডিজাইনের প্রভাব লক্ষ করা যাচ্ছে।
ঈদে গলার জন্যও বিক্রি হচ্ছে বাহারি নকশার হার। অনলাইন শপগুলো ঘাঁটলেই দেখতে পাবেন তারা রুপার সীতাহার বিক্রি করছে দেদার। সঙ্গে চলছে লেস ও মেটালের চকার। মেটালের নেকলেসের সঙ্গে সেঁটে দেওয়া হচ্ছে রঙবেরঙের সুতার টারসেল। গলার হারে আনা হচ্ছে ফিউশন। এই গয়নাগুলো শাড়ি, কামিজ কিংবা ওয়েস্টার্ন ছাড়াও সব ধরনের পোশাকের সঙ্গেই মানানসই।
চুড়িতেও মেটালের জয়জয়কার। রাজকীয় নকশার রুপা কিংবা পিতলের বালা রয়েছে গ্রাহকদের পছন্দের তালিকায়। পাশাপাশি চলছে রেশমি সুতা পেঁচানো চুড়ি। সেগুলো নানা রঙের। ওসব ছাড়াও বিডসের রঙিন ব্রেসলেটও। সেগুলো ওয়েস্টার্ন পোশাকের সঙ্গে বেশ মানানসই।
নাকের নথে পান্না, রুবি, মুক্তা কিংবা পাথর বসিয়ে ডিজাইন করা নথগুলোও ফ্যাশন সচেতনদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে এবার। নথগুলো পাওয়া যাচ্ছে দেশি ফ্যাশন হাউজে, গাউছিয়া, মৌচাক মার্কেট ও বসুন্ধরা সিটিতে।