ক্যানভাস রিপোর্ট
সুমাইয়া চৌধুরী কৃতিকা। এ প্রজন্মের মডেল ও ফিটনেট ট্রেইনার। ২০১৮ সালে মডেলিং ক্যারিয়ার শুরু। মূলত কাজ করছেন স্টিল ফটোগ্রাফিতে। র্যাম্পেও ক্যাটওয়াক করছেন, তবে খুব বেশি নিয়মিত নয়। এখন তার মনোযোগের পুরোটা জুড়ে রয়েছে ফিটনেস।
অত্যাধুনিক ওয়ার্কআউট প্রোগ্রাম ‘জুম্বা’র লাইসেন্সধারী ফিটনেস ইনস্ট্রাক্টর সুমাইয়া। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এই আন্তর্জাতিক ফিটনেট-পার্টি প্রোগ্রামের লাইসেন্স এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে পেয়েছেন গোণা কয়েকজন। তাদের মধ্যে সুমাইয়া সর্বকনিষ্ঠা।
ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে জন্মগ্রহণ করা ও বেড়ে ওঠা কৃতিকা ‘ক্যানভাস’কে জানান, ছোটবেলা থেকেই ফিটনেসের প্রতি তার দারুণ আগ্রহ। স্কুলে পড়াকালেই নিজের মতো ফিটনেস চর্চা করতেন। তবে একটু বড় হতেই এ ব্যাপারে আরও সচেতন হয়ে ওঠেন। জিমে যোগ দেন ২০১৭ সালের দিকে। এ সময়ে বাড়িতে পারসোনাল ট্রেইনারও ছিল তার।
শারীরিক সুস্থতা ও পারফেক্ট বডি টোনের প্রতি কৃতিকার প্রবল অনুরাগ। তাই ফিটনেস সংক্রান্ত বিভিন্ন কোর্স করতে থাকেন। এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রেও ছিলেন বেশ কিছুদিন। এদিকে, কোভিড পিরিয়ডে জুম্বার প্রতি আকর্ষণ বাড়ে তার। অংশ নেন এই আন্তর্জাতিক ফিটনেস প্রোগ্রামে। দীর্ঘ প্রক্রিয়া ও পরীক্ষার ভেতর দিয়ে ট্রেইনার হিসেবে অর্জন করেন লাইসেন্স।
জুম্বার বিশেষত্ব হলো, এটি মূলত লাতিন মিউজিকের ট্র্যাকে এক ধরনের নাচতে নাচতে ফিটনেস প্র্যাকটিস করা। তবে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে। দেখা গেছে, অন্যান্য সাধারণ ওয়ার্কআউট প্রোগ্রামে যেখানে গড়ে ৩০০ ক্যালরি বার্ন হয়, সেখানে মাত্র এক ঘণ্টার জুম্বা প্র্যাকটিসেই ক্যালরি বার্ন ঘটে ৬৫০ থেকে ৭০০। তাই এক ধরনের পাগলামির ভেতর দিয়ে বেশি ক্যালরি বার্ন করার এবং নিখুঁত ফিটনেস অর্জনের দারুণ উপায় এটি।
ইতোমধ্যেই ফিটনেস সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু মর্যাদাপূর্ণ সার্টিফিকেট অর্জনকারী প্রফেশনাল ফিটনেস ট্রেইনার সুমাইয়া চৌধুরী কৃতিকা বলেন, ‘মডেলিং করলেও আমি আগামী ১০ বছর ফিটনেসের ওপর মূল ফোকাস রাখতে চাই। জুম্বাকে বাংলাদেশে পরিচিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যেতে চাই।’
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে আরও জানালেন, নিজের একটা জুম্বা অ্যান্ড ফিটনেস স্টুডিও প্রতিষ্ঠা করতে চান তিনি। এর কাজ এ বছরই শুরু করার আশা রাখছেন।
তবে মডেলিং কিংবা অভিনয় যে একেবারেই ছেড়ে দেবেন, তা নয়। ইতোমধ্যেই গিয়াস উদ্দীন সেলিমের ‘গুণীন’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। ছোটবেলা থেকে অভিনয়ের ইচ্ছে থাকলেও ‘গুণীন’ই ছিল এ ক্ষেত্রে ক্যামেরার দাঁড়ানোর তার প্রথম অভিজ্ঞতা। আরও কিছু চলচ্চিত্র ও অন্যান্য প্রোডাকশনে অভিনয়ের প্রস্তাব থাকলেও তাড়াহুড়ো করতে নারাজ কৃতিকা। জানালেন, পছন্দসই ও বৈচিত্র্যময় চরিত্র পেলেই অভিনয় করবেন, তা সেই চরিত্রের স্ক্রিন-টাইম যতই হোক।